👍👍👍👍

⚠️আপন পথ বেছে নাও । অন্ধকার ফিতনার ভয়ানক প্রতিচ্ছবি দিন দিন মানবতাকে গ্রাস করে ফেলছে। কু'ফরের পক্ষ থেকে এই পক্ষে অথবা ওই পক্ষে (কুফরের সাথে অথবা মু'জাহিদে'র সাথে) থাকার ঘোষণা প্রচার করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক মুসলমানের একটি বিষয় বুঝে নেওয়া আবশ্যক যে,পরিক্ষার এই হলটি অতিক্রম করা ব্যতিত জান্নাত ও জাহান্নামের ফয়সালা হতে পারে না। এবং শুধু মৌলিক ঈমানের দাবি করাটাই পরকালীন মুক্তির জন্য যথেষ্ট নয়। মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা এরশাদ করেন - اَحَسِبَ النَّاسُ اَنۡ یُّتۡرَکُوۡۤا اَنۡ یَّقُوۡلُوۡۤا اٰمَنَّا وَ هُمۡ لَا یُفۡتَنُوۡنَ ﴿۲﴾وَ لَقَدۡ فَتَنَّا الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِهِمۡ فَلَیَعۡلَمَنَّ اللّٰهُ الَّذِیۡنَ صَدَقُوۡا وَ لَیَعۡلَمَنَّ الۡکٰذِبِیۡنَ ﴿۳﴾ মানুষ কি মনে করে যে,আমরা ঈমান এনেছি এ কথা বললেই তাদেরকে পরিক্ষা না করেই ছেড়ে দেওয়া হবে? আমি তো তাদের পূর্ববর্তীদেরকেও পরিক্ষা করেছিলাম। আর মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা অবশ্যই জেনে নিবেন ( পরিক্ষার অংশ গ্রহণের ব্যপারে) কারা সত্যবাদী ও কারা মিথ্যাবাদী। [সূরা আনকাবূত ২-৩] وَ لَنَبۡلُوَنَّکُمۡ حَتّٰی نَعۡلَمَ الۡمُجٰہِدِیۡنَ مِنۡکُمۡ وَ الصّٰبِرِیۡنَ ۙ وَ نَبۡلُوَا۠ اَخۡبَارَکُمۡ ﴿۳۱﴾ আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে পরীক্ষা করব, যতক্ষণ না আমি জেনে নেই তোমাদের মধ্যে মু জা হি দ ও ধৈর্যশীল এবং আমি তোমাদের কর্মকাণ্ড পরীক্ষা করবো। [সূরা মুহাম্মদ ৩১] বর্তমান বিশ্বের মানুষ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে এক ভয়াবহ যুদ্ধের দিকে ধাবমান,যা দিবালোকের মত প্রতিয়মান। কেউ যুদ্ধ করছে ঈমান তথা আল্লাহর পথে আল্লাহর সাহায্যে। আর কেউ যুদ্ধে করছে তাগূত দজ্জা'ল এর পথে শয়তানের সাহায্যে। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা এরশাদ করেন - اَلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا یُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ۚ وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا یُقَاتِلُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ الطَّاغُوۡتِ فَقَاتِلُوۡۤا اَوۡلِیَآءَ الشَّیۡطٰنِ ۚ اِنَّ کَیۡدَ الشَّیۡطٰنِ کَانَ ضَعِیۡفًا ﴿٪۷۶﴾ যারা মুমিন তারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করে, আর যারা কফের তারা তাগূতের পথে যুদ্ধ করে । কাজেই তোমরা শয়তানের বন্ধুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর; শয়তানের কৌশল অবশ্যই দুর্বল।[সূরা নিসা ৭৬] সময় এসেছে জেগে উঠার,নিজের বিবেককে প্রশ্ন করার। নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে প্রতিকূলতার ভিতরেও আল্লাহর পথে ঈমানের পরিক্ষা দেওয়ার, এর থেকে পিছিয়ে থাকার কোন অবকাশ নেই। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা এরশাদ করেন - اَمۡ حَسِبۡتُمۡ اَنۡ تَدۡخُلُوا الۡجَنَّۃَ وَ لَمَّا یَعۡلَمِ اللّٰہُ الَّذِیۡنَ جٰہَدُوۡا مِنۡکُمۡ وَ یَعۡلَمَ الصّٰبِرِیۡنَ ﴿۱۴۲﴾ "তোমরা কি মনে কর যে, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করবে, অথচ আল্লাহ্ তা'আলা জেনে নিবেন না তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করেছে আর কে ধৈর্য্যধারণ করছে? [সুরা আল ইমরান ১৪২] وَ قَاتِلُوۡہُمۡ حَتّٰی لَا تَکُوۡنَ فِتۡنَۃٌ وَّ یَکُوۡنَ الدِّیۡنُ کُلُّہٗ لِلّٰہِ ۚ فَاِنِ انۡتَہَوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ بِمَا یَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ ﴿۳۹﴾ আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে থাকবে যতক্ষণ না ফেৎনা দূর হয় এবং দ্বীন পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্য হয়ে যায় তারপর যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহ্‌ তো তার সম্যক দ্রষ্টা। [সুরা আল অনফাল ৩৯] বিশ্বনবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেহুতু শেষ নবী, সেহেতু তার নবুওয়্যাতও চলবে কিয়ামত পর্যন্ত। সুতরাং কিয়ামতের অবাধি যা কিছু ঘটবে, কোন পরিস্থিতিতে কী করবে? সব ব্যপারই তিনি দিক- নির্দেশনা দিয়েছেন। হাদিস প্রতি লক্ষ্য করলেই তা প্রতিয়মান হয় - হযরত হুযাইফা( রাঃ)থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সময় থেকে কিয়ামত পর্যন্ত যা কিছু হবে সবকিছুই বর্ণনা করছেন। কোনটাই বাকি রাখেন নি [সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং ৩৭০২] অতএব কারো এ কথা বলার অবকাশ নেই যে,এই ফিতনার যুগে ভিন্ন মতাদর্শের সকলেই হক্বের দাবী করে, আমরা কোনটিকে হক্ব, আর কোনটিকে বাতিল বলবো বুঝিনা।