আমি বলরাম বসুর নাতনি সুপর্ণা বসুপাল, আমাদের বাড়িতে বহুকাল আগে বোধহয় বাবুরাম মহারাজের আত্মীয় তারক নামে একজন এসেছিলো। বলরাম বসুর মতো হুবহু দেখতে তাঁর ছেলে গোপীনাথ বসু চিনতে পেরেছিলো, যে বেলুড়মঠের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতো, অচেনা তারকবাবু একটা এটাচি হাতে এসেছিলো, আমাকে ভালোভাবে পরখ করে জলযোগ করে চলে যায়, জেঠু গোপীনাথ চিনতেন, কিণ্তু আমার মা ওতো গুরুত্ব দেয়নি, ঠাকুমারা ছোটবেলায় দাদুর জমিদারির অনেক গল্প করতো, আমি মন দিয়ে শুনতাম শুধু গল্প বলেই, পরে জানলাম দেখলাম গল্প নয় সব একশোভাগ সত্যি। আপনারা অনেকেই আমার চেনা, তবে কোন কোন জায়গায় দেখেছি সব মনে নেই। দাদুর কে ছিলো, ইতিহাসে কেনো তাঁর নাম, আমি কতো বড়ো মানুষের নাতনি এটা জানা থেকেই প্রচন্ড আনন্দ হয়, দাদুর বাড়িগুলো ঘুরে দেখতে খুব ইচ্ছা করে,অনেক বাড়ীর সামনে পুকুর গাছপালা আছে এই লোভে,দাদুর বলারামমন্দির যেমন হুবহু বারান্দাওলা অমন বাড়ি আমার বাবা মোহনলাল বসু বানাতে চেয়েছিল,শেষ অবধি হয়নি।