Рет қаралды 92
বাওরের পানিতে ভাসছে সেতু, শুনে অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই। আমার কাছেও অবাক লেগেছিল। তাই আজ চলে এলাম। প্রথমেই ১০০০ ফুট দীর্ঘ ভাসমান সেতুতির একটি চক্কর দিয়ে আসি।
অবাক করা এই কাজ বাস্তবে রুপ দিয়েছে, ঝাঁপা গ্রাম উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ৬০ জন উদ্দামি মানুষ, এবং তাদের সৃষ্টিশিল চিন্তা শক্তি। ভাসমান এই সেতুটি নির্মিত হয়েছে ঝাপা বাওরের উপরে। সেতুটির মাঝখানে দারালে, দেখতে পাবেন, চার পাসের নয়নাভিরান প্রাকৃতিক সুন্দরজ । বাওরের পানি খুবি সচ্ছ। তাই পানির দিকে তাকালেই, দেখতে পাবেন পানির নিচের লতা পাতা গুলো, পানির স্রতের সাথে দোল খাচ্ছে। আর মনে হবে বাতাসের সমুদ্রে হাবু ডুবু খাচ্ছেন।
সেতুটি সংযুক্ত করেছে ঝাপা গ্রাম এবং রাজগঞ্জ বাজার কে। গত ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে ঝাপা গ্রামের মানুষ গুল ছিল পানি বন্দি। প্রায় ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বাঁওড়টি প্রায় তিন বর্গকিলোমিটারের ঝাঁপা গ্রামকে বেষ্টিত করে রেখেছে। বাওরের চারপাশে ৯ টি গ্রাম। প্রতিদিন হাটবাজার এবং নিত্য দিনের প্রয়জন মেটাতে, নৌকায় করে পূর্ব তীরের রাজগঞ্জ বাজারে আসতে হয়। সেতুটি নির্মাণের আগ পর্যন্ত, ২০,০০০ গ্রাম বাসির জাতায়েতের এক মাত্র ভরসা ছিল নৌকা এবং মঝির উপরে। প্রায় সময়ী ঘোটত, দুর্ঘটনা। সময় মত মিলত নাহ, নৌকা। নয় গ্রামের মানুষের যোগাযোগে ভোগান্তির কথা চিন্তা করে ভাসমান সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সেতুটি নিরমানে খরছ হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা। সরকারি কোন অর্থ সহযোগিতা ছারাই। পুরু পুরি বাক্তি উদ্দেগে, গ্রাম বাসির সহজগিতায় তৈরি হয়েছে ভাসমান সেতুটি। ঝাপা গ্রামবাসী, প্রমান করে দেখাল, দশের লাঠি একের বোঝা। লোহার পাত, প্লাস্টিকের ড্রাম এবং লোহার সিট দিয়ে তৈরি হয়েছে সেতুটি। সেতু তৈরিতে, নেয়া হয়নি কোন প্রকৌশলীর সাহায্য। সেতু তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে আট শ ৫০ টির মত প্লাস্টিকের ড্রাম, আট শ মণ লোহার পাত ও দুই শ পঞ্চাশটি লোহার শিট। দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে, লোহার পাত দিয়ে একেরপর এক ড্রাম যুক্ত করে তৈরি করা হয়েছে ৮ ফুট চওড়া এক হাজার ফুট দীর্ঘ সেতুটি। সেতুর দুই পাশে বাঁশ দিয়ে আরও ৩০০ ফুট সংযোগ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে এই ৩০০ ফুটের পানি শুকিয়ে যায়। এই সেতুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল, ভ্যান-রিকশাসহ ছোট যানবাহন চলাচল করতে পারে।
এত সময়ত শুনলেন, স্বপ্ন পূরণের কথা। কিন্তু কিভাবে আসল এই স্বপ্ন পুরনের বুদ্ধি।
বাঁওড়ের পানির ওপর ছয়টি প্লাস্টিকের ড্রাম দিয়ে লোহার অ্যাঙ্গেলের ওপর দুটি শ্যালো মেশিন ভাসিয়ে বাওর থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল, তাই দেখে প্রথমে ভাসমান সেতুর কথা চিন্তা করেন মো. আসাদুজ্জমান । এরপর গ্রামবাসীকে নিয়ে একটি বড় বৈঠক করা হয়। বৈঠকে বাঁওড়ে ভাসমান সেতু করার সিদ্ধান্ত হয়। তখন স্থানীয় বিশ্বাস ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি লেদ মেশিন কারখানার মালিক রবিউল ইসলামকে সেতু তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এটি ছিল শত বছরের স্বপ্ন পূরণের শুরুর কথা।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসের ২ তারিখে সেতুটি সবার চলা চলের জন্য খুলে দেয়া হয়। সেই দিনটি ছিল ঝাঁপা গ্রাম বাসির স্বপ্ন পূরণের দিন। তৈরি হয়েছিল দুই পারের মানুষের এক বিসাল মিলন মেলা। নীল এবং কমলা রঙের দৃষ্টিনন্দন সেতুটি দেখতে, প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে কয়েক শত দর্শনার্থী ভিড় করে। সেতুটি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকায় ঝাঁপা বাঁওড়ে অবস্থিত। আমারত ঘুরে দেখা শেষ। চাইলে আপনারাও চলে আসতে পারেন।
ভিডিও টি ভাললাগলে আমার চ্যানেল subscribe করুন। এবং পরবর্তী ভিডিও পেতে বেল আইকনে ক্লিক করুন। লইক কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
Facebook page: ARISH Lifestyle
link:
www.facebook.c...
Tag,
ভাসমান সেতু,vasoman setu,
vasoman setu jessore,vasoman setu josor,
vasoman bridge,vasoman bridge jessore,
vasoman satu bangladesh,vasoman setu bd,
vasoman bridge bangladesh,drum bridge,
যশোর,floating bridge,যশোরের ঝাপা বাওড়,ঝাপা বাওড়,
ড্রামের তৈরি সেতু,ড্রামের সেতু,ঝাপা সেতু,মনিরামপুর,মনিরামপুর ব্রিজ,মনিরামপুরে ভাসমান সেতু,মনিরামপুর ভাসমান ব্রিজ,
floating bridge in jessore,jessor floating bridge,jessore,যশোরের ভাসমান সেতু,বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতু,
১৫০ জন মিলে তৈরি ঝাঁপা বাওড় ভাসমান সেতু ৷ Jhapa Baor Floating Bridge |Jashore bridge| Drum Bridge
Facebook Profile: Emu Ahamed
link :
✓www.facebook.c...
#3 travellers
Contact us: haneyahamedakib@gmail.com