Рет қаралды 21,499
অহরহ তব আহ্বান প্রচারিত....
রবীন্দ্রসঙ্গীত
[ এখানে " জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে " এই রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রথম স্তবক ব্যাতিরেকে বাকি অংশ গীত হয়েছে ]
শিল্পী : সৌগত কুন্ডু
সঙ্গীতায়োজন : অরিজিৎ সেনগুপ্ত
চিত্রায়ণ : শ্রী উত্তম
Ahoraho tabo awhan procharito...
[ Janaganamana adhinayak.. excep the very first stanza ]
Rabindrasangeet
রচনা পরিচিতি
রচনাকাল: ১৩১৮ (ডিসেম্বর,১৯১১)
কবির বয়স: ৫০
রচনাস্থান: কলকাতা
প্রকাশ: মাঘ ১৩১৮ , তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-ভারতবিধাতা |
ধর্মসঙ্গীত (১৯১৪)।
'The Morning Song of India' -- The Bengalee, Dec 1911; Poems 51 by the poet himself
গীতবিতান(পর্যায়;#/পৃ): স্বদেশ-স্বদেশ; ১৪/২৪৯
রাগ / তাল: ইমন / কাহারবা
স্বরলিপি: আনন্দসঙ্গীত পত্রিকা(১৩২৫); গীতপঞ্চাশিকা (১৩২৫); বাকে; সঙ্গীতগীতাঞ্জলি; ভারততীর্থ (১৩৫৪); স্বরবিতান ১৬ (গীতপঞ্চাশিকা);স্বরবিতান ৪৭
স্বরলিপিকার: ব্রজেন্দ্রলাল গাঙ্গুলি; দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর; এ. এ. বাকে; ভীমরাও শাস্ত্রী; দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর; ঐ; ঐ
পাদটিকা:
২৮শে ডিসেম্বর ১৯১১, কোলকাতায় কন্গ্রেস অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে গানটি উদ্বোধনী সঙ্গীত হিসেবে গীত হয়। সম্পূর্ণ কাকতালীয় যে সেসময় ইংল্যাণ্ডের সম্রাট পঞ্চম জর্জ কোলকাতায় ছিলেন। অনেকে মনে করেন গানটি রাজপ্রশস্তি হিসেবে রচিত; একথা আদৌ সত্য নয়। এখনও এ ধুয়ো ওঠে মাঝে মাঝে। বিশদ তথ্য নীচে দেওয়া গেল।
২৮শে অক্টোবর ১৯৩৭, কোলকাতার কন্গ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি গানটিকে ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের স্বীকৃতি দেয় এবং স্বাধীনতা লাভের পর থেকে প্রথম স্তবকটি স্বাধীন ভারতের জাতীয় সঙ্গীত।
পাঠভেদ:
পাঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মারাঠা...
তুমি চিরসারথি
[ গীবিন ] ১ম সং ১৩৩৮।
আলোচনা
জনগণমনঅধিনায়ক গানটি কোনো উপলক্ষ্য-নিরপেক্ষ ভাবে আমি লিখেছি কিনা তুনি জিজ্ঞাসা করেছ। বুঝতে পারছি এই গানটি নিয়ে দেশের কোনো কোনো মহলে যে দুর্বাক্যের উদ্ভব হয়েছে তারই প্রসঙ্গে প্রশ্নটি তোমার মনে জেগে উঠল। তোমার চিঠির জবাব দিচ্ছি কলহের উষ্মা বাড়াবার জন্য নয়, ঐ গান রচনা সম্বন্ধে তোমার কৌতূহল মেটাবার জন্যে।...
সে বৎসর ভারতসম্রাটের আগমনের আয়োজন চলছিল। রাজসরকারে প্রতিষ্ঠাবান আমার কোনো বন্ধু সম্রাটের জয়গান রচনার জন্যে আমাকে বিশেষ করে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। শুনে বিস্মিত হয়েছিলুম, সেই বিস্ময়ের সঙ্গে মনে উত্তাপেরও সঞ্চার হয়েছিল। তারই প্রবল প্রতিক্রিয়ার ধাক্কায় আমি জনগণমনঅধিনায়ক গানে সেই ভারতভাগ্যবিধাতার জয়ঘোষণা করেছি, পতনঅভ্যুদয়বন্ধুর পন্থায় যুগযুগধাবিত যাত্রীদের যিনি চিরসারথি, যিনি জনগণের অন্তর্যামী পথপরিচায়ক-- সেই যুগ যুগান্তরের মানবভাগ্যরথচালক যে পঞ্চম বা ষষ্ঠ বা কোনো জর্জ'ই কোনোক্রমেই হতে পারেন না, সে কথা রাজভক্ত বন্ধুও অনুভব করেছিলেন। কেননা তাঁর ভক্তি যতই প্রবল থাক্, বুদ্ধির অভাব ছিল না। আজ মতভেদবশত আমার প্রতি বাকরুদ্ধ ভাবটা দুশ্চিন্তার বিষয় নয়, কিন্তু বুদ্ধিভ্রংশটা দুর্লক্ষণ। (২৪৬)
--পুলিনবিহারী সেনকে লেখা চিঠি, ২০শে নভেম্বর ১৯৩৬
তুমি যে প্রশ্ন করেছ এ রকম অদ্ভুত প্রশ্ন পূর্বেও শুনেছি।
'পতনঅভ্যুদয় বন্ধুর ... দিনরাত্রি'-- শাশ্বত মানব-ইতিহাসের যুগযুগধাবিত পথিকদের রথযাত্রায় চিরসারথি বলে আমি চতুর্থ বা পঞ্চম জর্জের স্তব করতে পারি, এরকম অপরিমিত মূঢ়তা আমার সম্বন্ধে যাঁরা সন্দেহ করতে পারেন তাঁদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া আত্মাবমাননা। (২৪৭)
--সুধারানী সেনকে লেখা চিঠি, ২৯শে মার্চ, ১৯২৯ (?)
'জনগণমনঅধিনায়ক' গানটার যে মাত্রাধিক্যের কথা বলেছ সেটা অন্যায় বল নি। ঐ বাহুল্যের জন্যে 'পঞ্জাব' শব্দের প্রথম সিলেব্ল্টাকে দ্বিতীয় পদের গেটের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখি--
পন্। জাব সিন্ধু গুজরাট মরাঠা ইত্যাদি।
'পঞ্জাব'কে 'পঞ্জব' করে নামটার আকার খর্ব করতে সাহস হয়নি, ওটা দীর্ঘকায়াদের দেশ। ছন্দের অতিরিক্ত অংশের জন্য একটু তফাতে আসন পেতে দেওয়া রীতি বা গীতি বিরুদ্ধ নয়। [১৮ অক্টোবর ১৯২৯]...
'জনগণ' গান যখন লিখেছিলেম তখন 'মারাঠা' বানান করি নি। মরাঠিরাও প্রথম বর্ণে আকার দেয় না। তার পরে যাঁরা শোধন করেছেন তাঁরাই নিরাকারকে সাকার করে তুলেছেন, আমার চোখে পড়ে নি। [১০ই নভেম্বর ১৯২৯]
--দিলীপকুমার রায়কে লেখা দুটি চিঠি
--রবীন্দ্রনাথ, সঙ্গীতচিন্তা, বিশ্বভারতী ১৩৭৩
সূত্র gitabitan.net
এখানে " জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে " এই রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রথম স্তবক ব্যাতিরেকে বাকি অংশ গীত হয়েছে
অহরহ তব আহ্বান প্রচারিত, শুনি তব উদার বাণী
হিন্দু বৌদ্ধ শিখ জৈন পারসিক মুসলমান খৃস্টানী
পূরব পশ্চিম আসে তব সিংহাসন-পাশে
প্রেমহার হয় গাঁথা।
জনগণ-ঐক্য-বিধায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয়, জয় হে॥
পতন-অভ্যুদয়-বন্ধুর পন্থা, যুগ-যুগ ধাবিত যাত্রী।
হে চিরসারথি, তব রথচক্রে মুখরিত পথ দিনরাত্রি।
দারুণ বিপ্লব-মাঝে তব শঙ্খধ্বনি বাজে
সংকটদুঃখত্রাতা।
জনগণপথপরিচায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয়, জয় হে॥
ঘোরতিমিরঘন নিবিড় নিশীথে পীড়িত মূর্ছিত দেশে
জাগ্রত ছিল তব অবিচল মঙ্গল নতনয়নে অনিমেষে।
দুঃস্বপ্নে আতঙ্কে রক্ষা করিলে অঙ্কে
স্নেহময়ী তুমি মাতা।
জনগণদুঃখত্রায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয়, জয় হে॥
রাত্রি প্রভাতিল, উদিল রবিচ্ছবি পূর্ব-উদয়গিরিভালে--
গাহে বিহঙ্গম, পুণ্য সমীরণ নবজীবনরস ঢালে।
তব করুণারুণরাগে নিদ্রিত ভারত জাগে
তব চরণে নত মাথা।
জয় জয় জয় হে, জয় রাজেশ্বর ভারতভাগ্যবিধাতা
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয়, জয় হে॥
Whatsapp : 9434218635
#rabindrsangeet #sougatakundu #janaganamanaadhinayakjayahe #borshargan #gaangoppo #bokabaksho #rabindranaththakur #prakritiparjayergaan #songsoftagore #baisesraban #rabiranjani #rabiragini #rabithakurergan #nationalanthem #jatiosangeet #swadhinatadibos #15thAugust #independenceday