কল্লোল ভাই, আপনি কে জানি না, কিন্তু সেই অজানা মানুষটার প্রতি আমি অসম্ভব কৃতজ্ঞতা বোধ করছি। যদি কখনও সম্ভব হয় আমি সামনাসামনি এই কৃতজ্ঞতাটুকু জানাতে চাই। আমি বইপাগল মানুষ। গল্প, কবিতা উপন্যাস সব গোগ্রাসে গিলেছি একসময়। এখন আমার চোখের পেশিতে এক্সেসিভ ফ্যাটিগ সমস্যা দেখা দিয়েছে যার কারণে খুব বেশিক্ষণ পড়তে পারি না। এই অবস্থায় অল্প কিছুদিন হলো আপনার সন্ধান পেলাম। কেবল এখানে দেখলাম আপনি জনপ্রিয় গল্পই রাখেন নি, অনেক শিল্পোত্তীর্ণ রসোত্তীর্ণ কালোত্তীর্ণকেও রেখেছেন। আপনার চ্যানেলে মানিক, বিভূতি, সুনীল, ইলিয়াস এবং আরও অনেকের বিভিন্ন গল্প আমি শুনছি। ক্রমাগত শুনেই যাচ্ছি। এই গল্পটার মত অনেক গল্প আগেই পড়েছি। কিন্তু তবুও মনে হচ্ছে বহুদিন ক্ষুধার্ত থাকার পর যেন আমি গরম ভাপ ওঠা ভাত খেতে পারছি। আবারও কৃতজ্ঞতা নেবেন। আরও দারুণ দারুণ গল্প চাই।
@জননীমিডিয়া-ছ৫ন4 жыл бұрын
কুঁড়েঘর মোঃইয়াছিন মোল্লা ওইনা গাঁয়ের বাঁশ বাগানে শুকনো পাতার'পর, আলগা টিনের ছাউনি নিয়ে আছে একটি ঘর। ঘরের ভিতর মাটির-মেঝের জীর্ণ খাটের পাশে, ভাঙ্গা বেড়ার ফাঁক দিয়ে তায় সূর্যের আলো আসে। কাঠগুলি তার চারদিকে রইছে নোয়া নোয়া, একটু হলেই ভেঙ্গে পড়বে পেলে ঝড়ের ছোঁয়া। কত কাল যে কাটবে এমন বাঁশের খুঁটিই জানে, খুঁটি গুলোও হেলে আছে পোতার মাটির পানে। সেই ঘরেতে বাস করতেছে ওই গাঁয়ের এক চাষী, কেমন সুখে আছেন বুড়ো দেখলে বুঝায় হাসি; কেমন ছিলো স্বপ্ন তাহার কেমন ছিলো আশা, সব কিছুই যে মিথ্যে লাগে দেখে তাহার বাসা! সেই যে দুখে খাটাল কাঁদে রাতের শিশির পেয়ে, তার চেয়ে সে বেশি কাঁদে চোখের জলে নেয়ে। গায়েও তাহার শক্তি নাই যে,ধানের আঁটি টানে, কয়দিন বা না খেয়ে আছে,কেবা তাহা জানে। কৃষাণ খেটে মাঠে মাঠে যেটুক পুঁজি পায়, সেটুক বুঝি রোগের পিছেই বিলীন হয়ে যায়। ঘরটি তাহার যত ভাঙ্গা তার চেয়ে সে ক্ষীণ; হয়ত বুড়ায় ঘরটির চেয়ে আগে হবে লীন! কুঁড়েঘরে জন্মে চাষীর মিটল না তার আশ, কুঁড়েঘরে থেকেই চাষী কাটায় বারো মাস। ফুল কুড়ানো স্বপ্ন তাই তার,গেছে আজি টুটি; কবর খোঁড়ার কোদাল বুঝি কাঁদে পায়ে লুটি। রচনা কাল ও স্থান তাং ১০/০১/২১ইং ইকড়ি,ভান্ডারিয়া পিরোজপুর।
@soumanadasgupta77403 жыл бұрын
আহা, আখতারুজ্জামান আমার প্রিয়তম লেখকদের একজন। খোয়াবনামা পাঠ করার অনুরোধ রাখলাম।
@chanchalbhattacharyya12282 жыл бұрын
অদ্ভুত,অপূর্ব, অসাধারণ লেখক আর কল্লোল ভাই তোমার কণ্ঠস্বর দুই মিলিয়ে গিয়ে যে অসাধারণ রূপ নিয়েছে যে ভাষায় ব্যাখ্যা করা যায় না।
@Anonymous-xz6mk4 жыл бұрын
বাঙলা দেশের লেখকরা কতটা ভালো গল্প, উপন্যাস লেখেন, আগে জানা ছিল না। এই গল্প কথন শুনে মনে হচ্ছে কতটা পেছিয়ে আছি। ধন্যবাদ আপনাকে। আরও গল্প চাই
@chandanmondal7294 жыл бұрын
গল্পের এক জায়গায় বললেন না, বইটি পিন দিয়ে এমন ভাবে আঁটা ছিল যে এদিক থেকে ওদিকে আলো পর্যন্ত স্পষ্ট প্রবেশ করছিল । এই প্রসঙ্গে সত্যি বলছি, একসময় এই পিন আঁটা বইগুলোর প্রতি সত্যিই একটা আকর্ষণ ছিল । হয়তো সেটা সহজলভ্য ছিল না বলেই কিশোর বয়সে বেশি টানত । ধন্যবাদ, ভাই ।