Рет қаралды 139,519
@astrosolution3309
কারা নীলা ব্যবহার করতে পারেন ?
Benefits of Amethyst Stone
কাদের ক্ষেত্রে নীলা ব্যবহার করলে চরম ক্ষতি হয় ?
Benefits of wearing a Neelam stone
The Neelam stone improves meditation, helps in introspection, and self-realization. Therefore blue sapphire is a good companion in the spiritual journey of people. The Blue Sapphire/Neelam stone balances the Crown chakra thereby resulting in the balance of the cosmic energies.
শনি রত্ন নীলা পরার কথা ভাবছেন? এটি আপনাকে রাজা বানাতে পারে, ফকিরও!
জ্যোতিষ শাস্ত্রে নবগ্রহের সন্তুষ্টির জন্য নটি রত্ন ও উপরত্নের উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল হীরা, চুনি বা মাণিক্য, পোখরাজ, নীলম ও পান্না। নীলম বা নীলা শনি গ্রহের প্রতিনিধি রত্ন।
রত্নশাস্ত্র অনুযায়ী নীলা শনির মুখ্য রত্ন। শনি গ্রহের শুভ ফল লাভ করার জন্য নীলা ধারণ করা হয়। রত্নশাস্ত্র মতে, এই রত্ন কোনও ব্যক্তির জন্য মানানসই হলে শুভ ফল প্রদান করে। তবে দোষপূর্ণ পরিস্থিতিতে নীলা ধারণ করলে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় জাতককে। রত্নশাস্ত্র অনুযায়ী নীলা ধারণ করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। কোন কোন পরিস্থিতিতে নীলা ধারণ করা উচিত বা উচিত নয়, জেনে নিন-
১. শনির সূর্য, চন্দ্র, মঙ্গলের সঙ্গে যুতি অথবা দৃষ্টি সম্পর্ক থাকলে ব্যক্তিকে নীলা ধারণ করা উচিত নয়।
২. কোষ্ঠিতে শনি, বৃহস্পতির নবপঞ্চম যোগ থাকলে ও শনি অন্য কোনও গ্রহের সঙ্গে প্রতিযোগে না-থাকলে নীলা পরার বিষয় বিচার করা উচিত।
৩. শনি গ্রহ শুভ স্থানের অধিপতি ও দুর্বল পরিস্থিতিতে থাকলে, তখন কোনও জ্যোতিষীর পরামর্শ অনুযায়ী নীলা পরা উচিত।
মেষ, বৃষ-সহ মোট ১২টি রাশির লগ্নের জাতকদের ওপরও নীলা প্রভাব বিস্তার করে। এই লগ্ন বিচার করেও জানা যায়, জাতকদের নীলা ধারণ করা উচিত, কি না।
মেষ লগ্ন
এই লগ্নে শনি দশম (কর্মক্ষেত্র) এবং একাদশ (লাভ) স্থানের অধিপতি হয়ে ব্যক্তির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ ব্যক্তির পিতার পক্ষ কর্মক্ষেত্র ও লাভ ব্যক্তির জীবনে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে। কোষ্ঠিতে শনি সূর্য, চন্দ্র, মঙ্গল এবং বৃহস্পতির সঙ্গে দৃষ্টি সম্পর্কে না-হলে ব্যক্তিকে অবশ্যই নীলা ধারণ করা উচিত। এর ফলে কর্মক্ষেত্রে লাভ, মান-সম্মান বৃদ্ধি হয়। তবে জ্যোতিষীর পরামর্শে এই রত্ন ধারণ করাই শ্রেয়।
বৃষ লগ্ন
এই লগ্নে শনি ভাগ্য ও কর্মক্ষেত্রের অধিপতি হয়ে কারক গ্রহের ভূমিকা পালন করে। এই লগ্নের জাতকদেরও নীলা ধারণ করা উচিত। কোষ্ঠিতে শনি দুর্বল পরিস্থিতিতে থাকলে নীলা ধারণ করলে ব্যক্তি ভাগ্য ও কর্মক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ সাফল্য লাভ করেন।
মিথুন লগ্ন
এই লগ্নের জন্য শনি ভাগ্যেশ বা অষ্টমেশ হন। তাই এই লগ্নের জাতকরাও নীলা ধারণ করতে পারে। কোষ্ঠিতে শনির দৃষ্টি বুধ, শুক্র, বৃহস্পতি, চন্দ্র গ্রহের ওপর থাকলে শনি রত্ন নীলা ধারণ করার আগে জ্যোতিষীদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কর্কট লগ্ন
এই লগ্নে শনি সপ্তম ও অষ্টম স্থানের মতো অকারক স্থানের অধিপতি হয়ে লগ্নেশ চন্দ্রের শত্রু। তাই এই লগ্নের জাতক নীলা পরা থেকে বিরত থাকুন।
সিংহ লগ্ন
এই লগ্নে শনি সপ্তমেশ ও ষষ্ঠেশ হয়ে অকারক স্থানের অধিপতি। তাই এই লগ্নের জাতকদের নীলা ধারণ না-করাই ভালো।
কন্যা লগ্ন
এই লগ্নে শনি পঞ্চমের মতো শুভ এবং ষষ্ঠের মতো অশুভ কক্ষের অধিপতি। কোষ্ঠিতে মঙ্গল, সূর্যের মতো গ্রহ শনির দৃষ্টিতে থাকলে, ব্যক্তিকে নীলা ধারণ করা উচিত।
তুলা লগ্ন
সুখের পঞ্চম স্থানের অধিপতি হয়ে অত্যধি কারক গ্রহ হয়ে পড়ে শনি। তাই এই লগ্নের জাতকদের অবশ্যই নীলা পরা উচিত। এই লগ্নের ব্যক্তিদের অসাধারণ সাফল্য প্রদান করে নীলা।
বৃশ্চিক লগ্ন
বৃশ্চিক লগ্নের শনি সুখ ও পরাক্রম স্থানের অধিপতি হিসেবে জাতকের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি লগ্নেশ মঙ্গল গ্রহের শত্রু। অতএব শনির সূর্য, চন্দ্র, মঙ্গল এবং বৃহস্পতির ওপর দৃষ্টি বা ষডাষ্টক যোগ থাকায় জাতকের শনি রত্ন নীলা পরা উচিত নয়। বৃহস্পতি ও শনির নবপঞ্চম যোগ ও অন্য গ্রহের সঙ্গে প্রতিযোগ না-হওয়ায়, কোনও জ্যোতিষীর পরামর্শ অনুযায়ী এই রত্ন পরা উচিত।
ধনু লগ্ন
এখানে শনি লগ্নের শত্রু হয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অকারক স্থানের অধিপতি। সঞ্চিত অর্থের সঙ্গে সম্পর্ক ও ষডাষ্টক হওয়ায় নীলা পরা এড়িয়ে চলুন। তবে এই পরিস্থিতি না-থাকলে শনির মহাদশায় শনি রত্ন নীলা পরা যেতে পারে।
মকর লগ্ন
এখানে শনি গ্রহ লগ্ন তথা ধন স্থানের অধিপতি হিসেবে পরমকারক গ্রহে পরিণত হয়। তাই এই লগ্নে ব্যক্তিকে অবশ্যই নীলা ধারণ করা উচিত।
মীন লগ্ন
এই লগ্নে শনি লাভ ও ব্যয় স্থানের অধিপতি। এর ফলে কোষ্ঠিতে অকারক গ্রহের ভূমিকা পালন করে শনি। শনি লাভ স্থানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে বলে, কোনও জ্যোতিষীর পরামর্শে ও শনির চন্দ্র, মঙ্গল, বৃহস্পতির সঙ্গে প্রতিযোগ না-হওয়ায় শনি রত্ন নীলা ধারণ করা উচিত।
অ্যামেথিষ্ট
The Stone of Spirituality
আধ্যাত্মিক পাথর ।
বর্ণ : হালকা বেগুনী থেকে গাঢ় রক্তবর্ণ। বেগুনী হচ্ছে আধ্যাত্মিকতার রঙ।
বিমূর্ত নিরাময় গুণাবলী : অ্যামেথিষ্ট মনের পাথর। বিরক্তিবোধ ও সংশয়ের ক্ষেত্রে প্রশান্তি ও স্পষ্টতা আনয়নে সহায়তা করে। আপনি যদি আপনার অন্তর্জ্ঞান, অনুভব অথবা ফিলিংস বা আপনার গুরুত্বের সংস্পর্শে আসতে চান তাহলে অ্যামেথিষ্ট পরিধান করুন।
এটা একজনকে সকল আধ্যাত্মিক বিষয়, মরমি ও অতি প্রাকৃত বিষয় শিখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে এটা আত্ম-সংযম, অ্যালকোহল, খাদ্য, যৌনতা ও অন্যান্য আসক্তির ক্ষেত্রে সহায়তা করে।
উপকারিতা: অ্যামেথিষ্ট একটি উপরত্ন। শনির বিকল্প রত্ন হিসাবে ব্যবহার হয়। জন্ম রাশি ও হস্তরেখা বিচার শনির অশুভত্ব দূরীকরণার্থে ধারণ করা হয়। পাশ্চত্যের মেয়েরা বিশ্বাস করতেন যে অ্যামেথিষ্ট ব্যবহারে স্বামী-স্ত্রী প্রেম চিরস্থায়ী হয় ও অবিবাহিত মেয়েদের শীঘ্র বিবাহ হয়।