Рет қаралды 250,367
কর্ণসুবর্ণ ছিল বাংলার প্রথম স্বাধীন শাসক শশাঙ্কের (৬০৬-৬৩৭ খ্রি) রাজধানী। সপ্তম শতকের চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন-সাং-এর ভ্রমণ বৃত্তান্ত থেকে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। এই রাজধানীর নিকটেই ছিল লো-তো-মি-ছি (রক্তমৃত্তিকা) মঠটি। ১৯৬০-এর দশকে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত রাজবাড়িডাঙ্গার (পশ্চিম বাংলার মুর্শিদাবাদ জেলার সদর সাবডিভিশনের চিরুটি স্টেশনের নিকটবর্তী যদুপুর গ্রাম) মঠের সাথে লো-তো-মি-ছি (রক্তমৃত্তিকা)-র শনাক্তকরণের জোরালো ভিত্তির বলে এখন যথার্থভাবেই বলা যায় যে, খননকৃত প্রত্নস্থলের নিকটে ছিল কর্ণসুবর্ণ। রাক্ষসীডাঙ্গার ধ্বংসস্তূপ খননে আনুমানিক সপ্তম শতকের বৌদ্ধ বিহারের ভিত্তিচিহ্ন পাওয়া গেছে, স্থানীয়ভাবে এটি রাজা কর্ণ-এর প্রাসাদ নামে পরিচিত। তবে নদীপ্রবাহ বা ভাঙ্গনের ফলে অনেক চিহ্ন মুছে গেছে। উৎকীর্ণ লিপিসহ পোড়ামাটির ফলকের (ধর্মচক্র-প্রতীক) আবিষ্কার ও এতে রক্তমৃত্তিকা মহাবিহার নামের উল্লেখ এর শনাক্তকরণের সকল দ্বিধাদ্বন্দ্বকে দূর করে দিয়েছে।
কিভাবে যাবেন :
বারহারওয়া-আজিমগঞ্জ-কাটোয়ার লুপ লাইনে অবস্থিত কর্ণসুবর্ণ রেলওয়ে স্টেশন। কলকাতা ও হাওড়া থেকে উত্তরবঙ্গগামী প্যাসেঞ্জার ও এক্সপ্রেস ট্রেন এই স্টেশনের ওপর যায়। কলকাতা বা শিয়ালদা স্টেশন থেকে যদি আসেন তবে পলাশী রেল স্টেশনে নামতে হবে। বাসে করে আসলেও পলাশী বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। তারপর পলাশী থেকে রামনগর ঘাটে আসতে হবে। ঘাট পার করে বাসে করে কর্ণসুবর্ণ। কর্ণসুবর্ণ বাসস্ট্যান্ডের নাম যদুপুর বাসট্যান্ড। আপনি যদি হাওড়া রেল স্টেশন থেকে আসেন এবং এক্সপ্রেস ট্রেনে আসেন তাহলে নামতে হবে বাজারসৌ স্টেশনে। তারপরে বাজারসৌ থেকে বাস ধরে বা অটো ধরে যদুপুর বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। আর আপনি যদি লোকাল ট্রেন ধরে আসেন তাহলে কর্ণসুবর্ণ রেল স্টেশনে নামতে হবে। যদি বহরমপুর থেকে যেতে চান তাহলে গির্জার মোড় থেকে রামনগর ঘাট লাইনের বাস বা অটোরিক্সা ধরে যদুপুর বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। এছাড়া বহরমপুর খাগড়া ঘাট স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে কর্ণসুবর্ণ স্টেশনে নামতে হবে।
বন্ধুরা , যদি ভিডিও ভালো লাগে তাহলে লাইক কমেন্ট, সেয়ার ও সাবস্ক্রাইব করে চ্যানলের সঙ্গে থাকবেন এই আশা রাখি ।
ব্যক্তিগত মতামত ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য নিচের মেইল আইডি তে মেইল করুন। manasbangla9@gmail.com
Stay Connected with me on Social Network :
Twitter : / manasbangla
Facebook : / manasbangla
Instagram : / manasbangla