আসলে এটা গল্প নয় এটা একটা সত্য ঘটনা। ১৯৬৮ সালের কথা। বাংলাদেশের তৎকালীন ফরিদপুর জেলার মুকসুদপুর থানা অঞ্চলে খালকুলা নামে এক গ্রামে ঘটা। রাজ্জাক নামের এক ব্যক্তি হিন্দুদের সাথে যাত্রাভিনয় করত। তখনকার সময়ে স্ত্রী অভিনয় পুরুষেই করত। রাজ্জাক ভাল অভিনেতা হিসেবে পরিচিত। সেই সময়ে নবাব সিরাজউদ্দৌলার যাত্রা পালা খুব ফেমাস ছিল। ঐ বছর কালিপুজায় রাজ্জাক জিদ ধরে বসল এবার আমি শুধু মুসলমান নিয়ে কালিপুজায় যাত্রা পালা করব। বলে রাখি তখন গ্রাম বাংলার হিন্দুরা মুসলমানদের এত দন্দ ছিল না। রাজ্জাক অনুমতি পেল। ওর ভাগনে জব্বার। ওকে অভিনয় করতে দেয়া হয়েছে লুৎফুন্নেসা বেগমের। জব্বার খুব সেজেছে। তার পর আয়না দেখে ভাবছে আমাকে তো সত্যি মেয়ে মানুষের মত দেখা যায় কেউ আমাকে চিনতে পারবে না। অভিনয়ের শুরুতেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। আবছা অন্ধকারে দাড়িয়ে লুৎফুন্নেসা। সিরাজদ্দৌলা বলছে - কে! ওখানে কে দাড়িয়ে? জব্বার ভাবছে মামা বুঝি সত্যিই আমাকে চিনতে পারে নাই। ও জবাব দিয়েছে মামা! আমি জব্বার। মামা দেখে সর্বনাশ আগে হিন্দুদের সাথে অভিনয় করার সুবাদে অভিজ্ঞতা খাটিয়ে উনি পুনরায় বলেন- ওগো ললনা, কেন করছ ছলনা সত্য করে বলনা তোমার নাম কি? জব্বার উত্তর দেয় আল্লাহর কিরা মামু, আমি জব্বার। তবে নাটক হয়েছিল। মানুষ ওকে মাফ করে ভাল করে বুঝিয়ে ছিল যে তুমি জব্বার আমরা জানি তুমি এখানে অভিনয় করছ। তার পরে সব ঠিক হয়ে যায়। কথাটা এত বছর পরে নানা রূপ বদলে অন্য রকম হয়ে গেছে। আমার বাবা দাদা প্রতিমা গড়াতেন। ঐ মন্দিরের প্রতিমাও তারাই বানিয়ে ছিলেন। আর ওটা আমার বড় দাদার শশুর বাড়ি।