Рет қаралды 14,918
#bhola #lalmohan #lalmohan_upazila #lalmohan_sweet #lalmohan.bhola.gov.bd/
ভোলার লালমোহন উপজিলা লালমোহন মিষ্টির মতোই মধুর।
ভোলা হচ্ছে বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ। বঙ্গোপসাগরের পাড়ে বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের মধ্যবর্তী জেলা হচ্ছে ভোলা। আর লালমোহন ভোলারই একটি উপজিলা। এবারে জেনে নিন কেন আপনি লালমোহনে যাবেন?
জেলা সদর ভোলা হতে লালমোহনের দূরত্ব ৪৮ কিলোমিটার। এই উপজিলাটির আয়তন ৩৯৬ বর্গ কিলোমিটার। লালমোহন উপজেলার উত্তরে বুরহানউদ্দিন ও তজুমদ্দিন উপজেলা, দক্ষিণে চরফ্যাসন উপজেলা, পূর্বে মনপুরা উপজেলা ও মেঘনা নদী, পশ্চিমে তেঁতুলিয়া নদী। তেঁতুলিয়ার ওপারে পটুয়াখালীর বাউফল ও দশমিনা উপজিলা। আর পুবের মেঘনার হাতিয়া ও মনপুরা পেরুলেই ওপারে চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল।
লালমোহনের পোস্টাল কোড হচ্ছে ৮৩৩০। নয়টি ইউনিয়ন নিয়ে লালমোহন উপজিলা গঠিত। ইউনিয়নগুলো হলো কালমা, চরভূতা, ধলীগৌরনগর, পশ্চিম চরউমেদ, ফরাজগঞ্জ, বদরপুর, লর্ডহার্ডিঞ্জ, লালমোহন সদর ও রমাগঞ্জ।
এই নয়টি ইউনিয়নে মোট ৭৬টি গ্রাম রয়েছে যাতে একষট্টি হাজার পরিবারের দু লক্ষ্য চোরাশি হাজার মানুষের বসবাস। প্রতি বর্গ কলোমিটার ৬৯৮ জন মানুষ বসবাস করে। এই উপজিলায় ৬৭২টি মসজিদসহ ৩৮টি বড় বড় হাত বাজার আছে। গজারিয়া, কর্তারহাট, ধলীগৌরনগর, পেশকার হাত, লালমোহন, ফুলবাগিচা, হরিগঞ্জ, রমাগঞ্জ, নাজিরপুর, দেবীরচর, মঙ্গলশিকদার ও রায়চাঁন বাজার লালমোহনের প্রসিদ্ধ বাজার। এ বাজারগুলো প্রতিসপ্তাহে দু দিন করে বসে। তবে স্থায়ী দোকানগুলোতে প্রতিদিন সকাল হতে রাট এগারোটা পর্যন্ত বেচা কেনা চলে।
লালমোহন আসলে আপনি যে স্থানগুলো না দেখলে মিস করবেন, সেগুলো হলো সজীব ওয়াজেব জয় ডিজিটাল পার্ক, মঙ্গলশিকদারের মেঘনা পারে পার্ক, নাজিরপুর পয়েন্টে তেঁতুলিয়া নদী, লালমোহন খাল, গ্রামীণ জনপদের ছায়াঘেরা পথ, গ্রামীণ রাস্তার পাশে শুরু বহতা খাল, ফরাজগঞ্জ বদরপুর ব্রিজ, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া পারে বেড়ি বাঁধ, বিস্তৃত সুসজ্জিত সুপারি বাগান।
তবে লালমোহনের পূর্ব প্রান্তে মেঘনার পাড়ে দাঁড়ালে আপনি এ অঞ্চলগুলোতো দেখবেনই না। দেখবেন শুধু মেঘনার অথৈ জলরাশির মনকাড়া সৌন্ধর্য্য। এ জলরাশির সৌন্ধর্য্য যে কত মনোহর, মেঘনা পাড়ে না গেলে আপনি তা হৃদয় দিয়ে অনুভব করবেন না। লালমোহনের মঙ্গলশিকদার পয়েন্টে মেঘনার পাড়ে দাঁড়ালেই আপনি মেঘনা নদীর অপরূপ নন্দিত সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হবেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। মেঘনা অবারিত হয়ে আপনার মনে যোগাবে অনাবিল প্রশান্তি। মঙ্গলশিকদার পয়েন্টে মেঘনার পাড়ে নয়নাভিরম পার্কে বসেও আপনি মেঘনার চঞ্চলা অনিন্দ সুন্দর ফেনিল ঢেউ ও নৃত্যরত অসংখ্য পালতোলা জেলে নৌকার নাচন-দোলায় নিজের মনকেও দুলিয়ে নিতে পারবেন।
কতযে চর! নবীর চর, দেবীর চর, পাতার চর, ভুতুম চর, চর আজমাইন, কচুয়ার চর, সোনাচর, চরলক্ষী, আরো কত চর ! আপনি যদি নদী-চরের বালুময় তীর বেয়ে হাটতে থাকেন, নদী তীর আপনাকে নিয়ে যাবে কল কল শব্দে বয়ে চলা পলিময় জলরাশির এক নৈসর্গীক ঘোরলাগা রাজ্যপাটে।
মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার পানি দিয়ে বিধৌত লালমোহনের ফসলি জমি খুবই উর্বর। বারোমাসই এখানে ফসল ফলে। বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি, ধান, পাট, সুপারী, নারিকেল ইত্যাদি লালমোহনের প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে অন্যতম। জনসাধারণের চৌষট্টি ভাগই কৃষিজীবী। ধান, মরিচ, গম, মিষ্টি আলু, গোল আলু, চীনাবাদাম, পানসুপারি, মসুর, ছোলা লালমোহনের কৃষকদের প্রধান ফসল। আম, কাঁঠাল, পেঁপে, কোলা ও তরমুজ সহ নানা রকম ফল ফলাদির যোগান আপনি লালমোহনে পাবেন।
5 লালমোহন উপজিলার আবাদি জমির পরিমান চব্বিশ হাজার হেক্টর। এই চব্বিশ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে এগারোহাজার একশো হেক্টর জমিতে দুটি ও ১২২৭০ হেক্টর জমিতে বছরে তিনটি ফসল ফলানো যায়। এত করে লালমোহনের একটি জমিতে বছরে গড়ে আড়াইটি ফসল ফলানো যায়। মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার পাড়ে বেড়ি বাঁধ থাকাতে বন্যার সময়ে এ নদী দুটি হতে ফসলি জমিতে পানি ঢুকে ফসল নষ্ট করতে পারে না।
লালমোহনে বাৎসরিক খাদ্য চাহিদা ৫০,৮৬৫ টন। তবে এই উপজিলায় উদ্বৃত্ত খাদ্য শস্য উৎপাদিত হয়। ধান, সুপারি, ইলিশ মাছ, রুই কাতলা মাছসহ আরো অনেক কৃষিজাত দ্রব্য এই উপজিলা হতে অন্নান্য জেলায় রপ্তানি করা হয়।
লালমোহন উপজিলায় শিক্ষার হার ৫৬ ভাগ। সরকারি শাহাবাজপুর কলেজ, করিমুন্নেসা হাফিজ মহিলা মহাবিদ্যালয়, ডাক্তার আজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ, লালমোহন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, লালমোহন বালিকা বিদ্যালয়, হামিম রেসিডেন্সিয়াল স্কুল ও কলেজ, গজারিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, কর্তারহাট উচ্চ বিদ্যালয়, মঙ্গোল শিকদার উচ্চ বিদ্যালয়, গজারিয়া মাদ্রাসা, লালমোহন মাদ্রাসা ইত্যাদি লালমোহনের প্রধান প্রধান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
লালমোহন এলে আপনি যে বস্তুটি না খেয়ে যাবেনই না। সেটা হলো মহিষের দুধের দধি। একবার যদি আপনি এই মহিষের দধি খেয়ে থাকেন, তাহলে এই দধির লোভেই আপনি আবার লালমোহন আসবেন। আর তাছাড়া গজারিয়া ও মঙ্গলশিকদার বাজারের রসগোল্লা মিষ্টির স্বাদ একবার পেলে আপনি এই মিষ্টি খেতেই বারবার লালমোহন উপজিলায় বেড়াতে আসবেন।
ঢাকা হতে লালমোহন আসার সব চাইতে ভালো উপায় হলো লঞ্চে আসা। ঢাকা হতে লক্ষীপুর ও ভোলা হয়ে অথবা বরিশাল হতে লাহারহাট ও ভোলা হয়ে ফেরী পারাপারের মাদ্ধমে বাসে করেও আপনি লালমোহন আসতে পারেন।
প্ৰাক্তন সংসদ সদস্য মরহুম মোতাহার উদ্দিন মাস্টার ও ডাক্তার আজাহার উদ্দিন লালমোহনের দুজন কৃতি সন্তান। বঙ্গবন্ধু মোতাহার উদ্দিন মাস্টারকে ভোলার রত্ন উপাধি দিয়েছিলেন।
your searches:
lalmohan upazila
lalmohan postal code
lalmohan
lalmohan.bhola.gov.bd/
lalmohan news
www.waze.com/
লালমোহন উপজেলা
Lalmohan Upazila - Bangladesh Data
lalmohan bhola
bhola lalmohan
Lal Mohan - We All Nepali
Lalmohan News- লালমোহন নিউজ, ভোলা
Lalmohan, Lalmohan, Bhola, Barisal Division, Bangladesh
Lalmohan Mishti with powder milk | So Tasty Food - KZbin
Gulab jamun recipe in nepali || लालमोहन || Lalmohan at home
char in bhola
bufellow in bhola
betelnut in bhola
betelnut orchard
Charland