Рет қаралды 6,670
ভয়ংকর সময়ের অপেক্ষায়! রাষ্ট্র-পরিবার-সমাজ এর দায়| smartphone effects on KIDS|Shahedin
Smartphone addiction in a common phenomena now-a-days. In bangladesh 29% pre school stage kids are addicted on smartphone severely. Normal rate is 86%.
Besides physical harm, this addiction harms a baby mentally. The content they consume are not safe at all. By watching adult content and violence the kids become violent in nature, immature in behaviour.
In this video i explained the bad effects with explaining the real scenario of smartphone addiction in bangladesh. here parents are not aware of this and so they give samrtphone to their baby and pass a relax time, but this things turns into habits of the baby.
চলতি বছর বাংলাদেশের শিশুদের উপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে দেশের ৮৬% প্রি স্কুল স্টেজের শিশুরা স্মার্ট ফোনে আসক্ত যার মধ্যে ২৯% এর আসক্তি মারাত্বক পর্যায়ের। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার সুপারিশকৃত সময়ের তুলনায় প্রায় ৩ গুন বেশি সময় বাংলাদেশি শিশুরা স্মার্টফোনে কাটায়। যা অনায়াসেই শিশুদের মন ও মগজে বিরূপ প্রভাব ফেলছে, বেড়ে উঠছে শারীরিক দুর্বলতা নিয়ে।
পুরো ব্যাপারটার বিস্তারিত আলোচনা করব। কিন্তু আলোচনা শুরু করছি কিছু তাত্ত্বিক বিষয়ের মধ্য দিয়ে। একটা শিশুর বেড়ে উঠা এবং সমাজের জন্য পরিপুর্ণ হয়ে উঠার একটা প্রক্রিয়া আছে যার নাম সামাজিকীকরণ। এইটা এমন একটা প্রসেস , যার মধ্য দিয়ে একটা শিশু সমাজের জন্য উপযুক্ত হিসেবে গড়ে উঠে। এই প্রক্রিয়ায় সে তার বাবা-মা, আত্বীয় সজন, খেলার সাথী, স্কুলের বন্ধু সবার সাথে মিশতে মিশতে সামাজিক জীবনের একটা ধারণা পায়। মায়ের বকুনি খাওয়ার মাধ্যমে সে কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল সে সম্পর্কে ধারনা পায়। বাবার কাজ করতে দেখার মধ্য দিয়ে সে দায়িত্বশীলতা সম্পর্কে শিখে নেয়।
একইরকম ভাবে একদম শিশু থেকে এরকম বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে নানান অভিজ্ঞতা অর্জন করে একটা শিশু। যে যত বেশি এরকম পরিস্থির মধ্য দিয়ে বড় হয়, সেই শিশু পরবর্তীতে হয়ে উঠে তত বেশি সামাজিক ও তত বেশি এডাপ্টিভ। এই শিক্ষা গুলোই তাকে জীবনের সব ক্ষেত্রে খাপ খায়িয়ে নিতে সাহায্য করে। জীবনের ধাপে ধাপে নানান বাধা, সেগুলো উৎরে যাওয়া, আত্বীয়দের কাছ থেকে পাওয়া ভালোবাসা কিংবা শাসন সবই একটা শিশুর মানসিক ও শারিরিক উন্নয়ন ঘটায়। এই যে একটা শিশু বিভিন্ন কিছু শিখতে শিখতে বড় হচ্ছে , এই প্রক্রিয়ার নামই হচ্ছে সামাজিকীকরণ।
কিন্তু এর ব্যত্যয় যদি ঘটে, মানে যদি একটা শিশু তার বেড়ে উঠার ক্ষেত্রে এই প্রপার পরিবেশ মিস করে, তবে ঐ শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য ও মেধা ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রেও ব্যাঘাত ঘটে।
ক্ষতি করছে তার চেয়েও বেশি ক্ষতি করছে আমাদের কিছু বাজে অভ্যাস এবং অজ্ঞতা। শহর কিংবা চাকরি জীবী পরিবারের সন্তানের মতো গ্রামীণ পরিবেশে বেড়ে উঠা সন্তানটাও একাকী সময় কাটায় তার স্ক্রিন এডিকশনের কারনে বা সহজ করে বলতে গেলে স্মার্ট ফোনে আসক্তির কারণে।
সাম্প্রতিক সময়ে এই মোবাইল আসক্তি ব্যাপারটা খুবই কমন একটা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্কুল পড়ুয়া কিংবা কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থিদের মোবাইলের প্রতি আসক্তির ব্যাপার টা নিয়ে আমরা সবাই জানি। কিন্তু এর চেয়েও ভয়ংকর ঘরের শিশুদের মোবাইলের প্রতি আসক্তি। আশেপাশে তাকালে দেখবেন, কোলের শিশুকে খেলনা দেওয়ার পরিবর্তে হাতে মোবাইলের কার্টুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে, শিশু মাটিতে খেলে ময়লা গায়ে লাগাবে, এইটা থামানোর জন্য তাকে বিছানার উপর মোবাইলের গান বাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাচ্চা খেতে চাচ্ছে না, তাকে কার্টুন দেখিয়ে দেখিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। প্রথম কিছুদিন হয়ত বাচ্চার মা বিপদে পড়ে এমন টা করেন, বা কেও কেও করেন নিছক অপ্রয়োজনে। এরপর ঐ বাচ্চার ঐটা অভ্যাস হয়ে যায়। বাচ্চাকে মোবাইল না দিলে সে খেতেই চায় না। ফ্লোরে ঘুরাঘুরির পরিবর্তে সে মোবাইলে গান বা কার্টুন দেখতে চায়। যেই অভ্যাস থেকে তার ব্রেনের মধ্যেও ঐ কার্টুন কিংবা মোবাইলের গেইম বাসা বাধতে থাকে। শিশুর বয়স বাড়তে থাকে আর এই মোবাইলের প্রতি আসক্তিটাও তার আচরণে প্রভাব ফেলতে শুরু করে।
মনোবিজ্ঞানের মতে, শিশু বয়সেই মানুষের ব্রেন সবচেয়ে বেশি অনুকরণীয় আচরণ করে। এবং শিশু বয়সে একজন মানুষের মাথায় যেই বিষয় গুলো বেশি এবং ইফেকটিভ উপায়ে প্রবেশ করানো হবে সেটাই তার আচরণে ফুটে উঠবে।
তাই ১-২ বছরের একটা শিশুকে যদি কার্টুন দেখানো হয়, তবে তার আচরণে কার্টুনের চরিত্রই উঠে আসবে। একটা বিড়াল কে আলমারির উপর থেকে লাফ দিতে দেখে, সে নিজে খাটের উপর থেকে লাফ দিতে চাইবে। বাবা মা কিংবা আত্বিয়ের সাথে ইন্টেরেকশনের পরিবর্তে সে অভ্যস্থ হয়ে যাবে মোবাইলে সময় কাটানোর প্রতি। এমন ঘটনা বহুত ঘটেছে।
এর ফলে শিশুর সংবেদনশীল ত্বক, মস্তিষ্ক কিংবা অস্থিমজ্জায় স্ক্রিন থেকে আসা ক্ষতিকর রেডিয়েশন প্রভাব ফেলছে। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, তাদের মস্তিষ্ক ও কানে নন-ম্যালিগন্যান্ট টিউমার হওয়ার উচ্চতর আশঙ্কা থাকে।
মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের দিকে দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকার কারণে চোখের রেটিনা, কর্নিয়া এবং অন্যান্য অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে মায়োপিয়া বা ক্ষীণদৃষ্টি সমস্যা। ইদানীং খুব অল্প বয়সের ছেলেমেয়েদের চশমা ব্যবহার করতে দেখা যায়।
#smartphoneaddiction #smart_phone_addiction_for_kids #students_smartphone_addiction
#kids_smartphone
#বাচ্চাদের_ফোন_আসক্তি
#কোলের_শিশুর_ফোন_আসক্তি
#আন্তর্জাতিক_খবর
#shahedin #internationalnews #family