Рет қаралды 91,406
বৃহস্পতিবার বিশেষ একটি আমল, বোখারী শরীফ ৪২৫৩,একটু কস্ট করে আমলটি করে দেখুন ইনশাআল্লাহ ফল পাবেনই
ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, বৃহস্পতিবার! হায় বৃহস্পতিবার! এদিন নবীজির ব্যথা প্রচণ্ড আকার ধারণ করেছিল। এ অবস্থায় নবীজি বলেন, আমার কাছে কিছু নিয়ে আসো। আমি একটি পত্র লিখে দেব যার পরে আর কখনো পথভ্রষ্ট হবে না তোমরা। তখন সাহাবায়ে কেরাম মতানৈক্যে পতিত হলেন...।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪২৫৩)
প্রিয় রাসূল (সা.)-এর নাম শুনলে দরুদ পড়া তার প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন। রব্বে কারিম রাসূলের প্রতি দরুদ পাঠের নির্দেশ দিয়ে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ নবির প্রতি রহমত নাজিল করেন এবং তার ফেরেশতারাও নবির জন্য রহমতের দোয়া করে। হে মুমিনরা! তোমরাও নবির প্রতি রহমতের দোয়া কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।’ (সূরা আহজাব : ৫৬)
রাসূলের প্রতি দরুদ পাঠের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ প্রেরণ করবে আল্লাহতায়ালা তার ওপর দশবার রহমত বর্ষণ করবেন। (সহিহ মুসলিম)।
অন্য হাদিসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করে আল্লাহতায়ালা তার প্রতি দশবার রহমত বর্ষণ করেন, তার দশটি পাপ ক্ষমা করা হয় এবং তার জন্য মর্যাদার দশটি স্তর বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। (নাসায়ী)। রাসূলের প্রতি দরুদ পাঠকারী ব্যক্তি কেয়ামতের দিন রাসূলের কাছে থাকবে। এ সম্পর্কে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, কেয়ামত দিবসে লোকদের মধ্যে ওই ব্যক্তিই আমার অধিক নিকটতম হবে, যে ব্যক্তি তাদের মধ্যে আমার প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠ করবে। (তিরমিজি)।
রাসূলের কোনো উম্মত যদি রাসূল (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ করে তাহলে তা ফেরেশতারা রাসূলের কাছে পৌঁছে দেয়। এ সম্পর্কে হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, মহান আল্লাহর কিছু সংখ্যক ফেরেশতা রয়েছেন, তারা পৃথিবীতে বিচরণ করতে থাকেন এবং আমার উম্মতের পক্ষ থেকে আমার কাছে সালাম পৌঁছে দেয়। (নাসায়ী ও দারেমি)। অন্য হাদিসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা আমার প্রতি দরুদ পেশ কর। তোমরা যেখানেই থাক না কেন, নিশ্চয়ই তোমাদের দরুদ আমার কাছে পৌঁছবে। (নাসায়ী)।
কারও সম্মুখে রাসূলের নাম উচ্চারিত হলে তার উচিত হবে রাসূলের প্রতি দরুদ পাঠ করা। এ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, ওই ব্যক্তির নাক ধুলায় মলিন হোক (সে অপমাণিত হোক) যার সম্মুখে আমার নাম উচ্চারিত হয়েছে, অথচ সে আমার প্রতি দরুদ পাঠ করেনি। (তিরমিজি)। হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন-ওই ব্যক্তি বড় কৃপণ, যার সম্মুখে আমার নাম উচ্চারণ করা হয়, অথচ সে আমার প্রতি দরুদ পাঠ করে না। (তিরমিজি)।
রাসূলের রওজা মোবারকের কাছে গিয়ে তার প্রতি দরুদ পাঠ করলে রাসূল (সা.) তা সরাসরি শুনতে পান। এ সম্পর্কে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমার কবরের কাছে এসে আমার প্রতি দরুদ পাঠ করে, আমি তা সরাসরি শুনতে পাই। আর যে ব্যক্তি দূর থেকে আমার প্রতি দরুদ পাঠ করে, তা আমার কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
গোনাহ থেকে মুক্তির দো'য়া أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْ قَيُّومُ وَ أَتُوبُ إِلَيْهِ আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলাইহি। আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ব্যতিত কোনো মাবুদ নেই, যিনি চিরঞ্জীব, চির প্রতিষ্ঠিত এবং তাঁর কাছে তাওবা করি। তিরমিযী
ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ ﺇِﻧِّﻲ ﻛُﻨْﺖُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻈّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ
উচ্চারণঃ লা- ইলা-হা ইল্লা-আংতা সুবহা’-নাক, ইন্নি কুংতু মিনায-যোয়ালিমিন।
অর্থঃ (হে আল্লাহ!) তুমি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নাই, তুমি পবিত্র ও মহান! নিশ্চয় আমি জালিম (অত্যাচারী বা অপরাধী ব্যক্তির) অন্তর্ভুক্ত।
ক্বুরআনুল কারীমে এই দুয়া বর্ণিত হয়েছে সুরা আল-আম্বিয়াতে, ৮৭ নাম্বার আয়াত।
দুয়া ইউনুসের ফযীলত
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কোনো মুসলিম ব্যক্তি যদি এই দুয়া ইউনুসের সাহায্যে আল্লাহর নিকট কিছু চাইবে, আল্লাহ তা কবুল করবেন।” অন্য হাদীস অনুযায়ী, “এই দুয়া পড়লে আল্লাহ তার দুঃশ্চিন্তা দূর করে দিবেন।” সুনানে আত-তিরমিযীঃ ৩৫০৫, শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
দুয়া ইউনুসের মাঝে কি রয়েছে?
(১) ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ - “হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া আর কোনো উপাস্য নাই” - এই কথার মাঝে রয়েছেঃ আল্লাহর ‘উলুহিয়াত’ এবং ‘তাওহীদের’ সাক্ষী।
(২) ﺳُﺒْﺤَﺎﻧَﻚَ - “তুমি পবিত্র ও মহান” - এই কথার মাঝে রয়েছেঃ আল্লাহর পবিত্রতার ঘোষণা।
(৩) ﺇِﻧِّﻲ ﻛُﻨْﺖُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻈّﺎﻟِﻤِﻴﻦَ - “নিশ্চয় আমি জালিম (অত্যাচারী বা অপরাধী ব্যক্তির) অন্তর্ভুক্ত” -
এই কথার মাঝে রয়েছেঃ আল্লাহর কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
(৪) সর্বোপরি এই দুয়ার মাঝে রয়েছেঃ আল্লাহর উলুহিয়াত এবং তাওহীদের স্বীকৃতি জ্ঞাপন, আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করা এবং নিজের কৃত দোষ-ত্রুটি স্বীকার করার বিনিময়ে বান্দা তার উপস্থিত বিপদ থেকে আল্লাহ কাছে মুক্তির জন্য দুয়া করা।
ইউনুস আ’লাইহিস সালাম মাছের পেটের অন্ধকারে এই দুয়া করেছিলেন, যার ফলে আল্লাহ তাকে মুক্তি দিয়েছিলেন। আর নয়তো ক্বিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহ তাকে মাছের পেটেই রেখে দিতেন।
বৃহস্পতিবার বিশেষ কিছু আমলের মধ্যে এই আমলটি খুবই পরিক্ষিত
দুরুদ শরিফ ১০০ বার, দুয়ায়ে ইউনুস ১৭০ বার, লা হাওলা ১৭০ বার, তাওবা ১০০ বার, হাসবুনাল্লাহ ১০০ বার
সকল ধরনের বিপদ থেকে উদ্ধার পাবেন,সকল মনোবাসনা গুলা আল্লাহ পুরন করে দিবেন,গায়েবি ধনদৌলতে ঘর ভরপুর করে দিবেন