Рет қаралды 254
বরের নাম ব্যাঙ বাবাজী শুভ; আর কনে ব্যাঙের নাম পূজা। নদীয়া জেলার শান্তিপুরে বসেছে ব্যাঙের বিয়ের আসর। আমাদের সংবাদদাতা অঞ্জন শুকুলের রিপোর্ট। পরিবেশন করছি সম্পাদক স্বপন কুমার ভৌমিক ও আমি মনীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় । প্রকৃতির উপর মানুষের এ এক গভীর ভক্তি ও বিশ্বাসের পরম্পরাগত প্রথা । তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে একটু স্বস্তির বৃষ্টির আশায় ধুমধামের সাথে করানো হলো দুটি ব্যাঙের বিয়ে
জল সাজা থেকে গায়ে হলুদ,, এরপর ছাদনা তলায় বিয়ের পিঁড়িতে বসা,, সারা এলাকা জুড়ে বাজলো বিয়ের সানাই,, আর বিয়ে বাড়িতে ভোজ হবেনা তা কি হয়। শতাধিক মানুষ খেলেন বিয়ের নেমন্তন্ন। এ যে ব্যাঙের বিয়ের ভোজ। নদীয়ার শান্তিপুর থানার মোড় সংলগ্ন পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের দেশবন্ধু কলোনি এলাকায় গতকাল রাতে ধুমধাম এর সাথে করানো হলো ব্যাঙের বিয়ে। বাঙালি মতে সাতপাক ঘুরিয়ে বিয়ের সমস্ত মন্ত্র উচ্চারণ করে বিয়ে দেওয়া হলো দুটি ব্যাঙের, একটু স্বস্তির বৃষ্টির আশায়। মানুষের বিশ্বাস- ব্যাঙের বিয়ে দিলে নাকি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, আর এই কাজটা করলেন এলাকার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে একটানা চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ, তারপর কাঠ ফাটার রোদ্দুর। ব্রহ্মাণ্ডে জল তলা নিতে, শুকিয়ে যাচ্ছে নদী নালা। এই পরিস্থিতিতে ৫০ বছরের রেকর্ড ছাপিয়েছে এই ২০২৪ সালে। গোটা নদীয়া জেলায় আজ পর্যন্ত ৪৪ ডিগ্রি ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নাজেহাল করে ছাড়ছে মানুষকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে টপ টপ করে পড়ছে গায়ের ঘাম, আর গা জলনীতে অতিষ্ঠ প্রত্যেকটা মানুষ। এখন প্রত্যেকের মুখে মুখে একটাই কথা কবে নামবে বৃষ্টি, আর তাতেই হয়তো এই তীব্র তাপপ্রভয়ের থেকে স্বস্তি মিলবে। যদিও গতকাল রাতে ওই এলাকায় ব্যাঙের বিয়ে দেখতে শান্তিপুরের বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় করে। কারণ আর পাঁচটা বাঙালির মত সম্পূর্ণ বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল, আর তাতেই মুগ্ধ করেছিল মানুষকে।