Рет қаралды 1,790
ছবির মতো সন্দর বাগডোহরার চর ।। চরের জীবন ।। রংপুরের গঙ্গাচড়ার তিস্তা নদী ।। Nur Mohammad
#বাগডোহরার চর
তিস্তা নদীতেজেগে ওঠা চরের নাম চর বাগডোহরা। চরটিতে যেতে একমাত্র বাহন হিসাবে ব্যবহার করতে হয় নৌকা। সকাল সকাল বাগডোহরার চর থেকে নৌকা এসে ভিরে ঘাটে।নৌকা থেকে নেমে আসে শিক্ষার্থী, দিন মজুর ওবিভিন্ন কাজে শহর মুখি মানুষেরা। আবার নৌকা খালি হতেইঘাটে অপেক্ষায় থাকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্বাস্থ্য কর্মীসহ উঠে পরেন অনেকেই।চরটিতে যেতে সময় লেগে প্রায় ১ ঘন্টা।দীর্ঘ সময়ের এই পথ চলায় চোখে পড়ে ভয়াল তিস্তার ভাঙ্গা-গড়ার খেলা।নদীর এই ভাঙ্গা-গড়ার খেলা নিয়ে কথা হয় নৌকার মাঝিমোশাররফ হোসেনের সাথে,
বাগডোহরার চরটিতে পাকা কোন সড়ক না থাকলেও ভাঙ্গা-চূড়া রাস্তার পাশেই টিন সেড বাড়ি। প্রতিটি বাড়ির সামনেরয়েছে খরের গাদা,গরু, সবজির বাগান। রয়েছে ছোট বড় অসংখ্যা পুকুর।আর পুকুরেরদুই পাড়েই ফুটে আছে শরতের শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির এমনসৌন্দর্য মুগ্ধ করবে যে কেউকেই ।
চরে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও অনেক সময় নদী পাড়ি দিয়ে আসতেই পারেনা স্বাস্থ্য কর্মীরা।আবার হঠাৎ করে কেউ অসুস্থ্য হলে শহরে নিয়ে আসতে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। এর পাশাপাশি রয়েছে শিক্ষার অভাব।তিস্তা নদীর প্রতিটি চরে একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও নেই মাধ্যমিক বিদ্যালয়।আবার নদীর ভাঙ্গনের খেলায় এরিই মধ্যে অনেকগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয় বিলিন হয়ে গেছে নদী গর্ভে ।আর যে কয়েকটি বিদ্যালয় রয়েছে সেগুলোতে নেই তেমন কোন শিক্ষার্থী। প্রতিবছর নদী ভাঙ্গনে জনপথ বিলিন হওয়াতেকমেছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
শুস্ক মৌসুমে তিস্তা নদী সুকিয়ে জেগে ওঠে ছোট-বড় অনেক চর, আর সেই চরে ধান, গম, ভুট্টা, আলু মিষ্টি কুমড়াসহ নানান ধরসে ফসল ফলিয়ে থাকেন কৃষকেরা। আর এই সব ফসল ফলিয়েই জীবিকা নির্বাহ করেন তারা।
#গ্রাম
#গ্রাম_বাংলার_রূপ
#গ্রামীণ
#গ্রামীণ_জীবন
#নদীর
#তিস্তা