Рет қаралды 1,987
فَبِمَا رَحۡمَۃٍ مِّنَ اللّٰہِ لِنۡتَ لَہُمۡ ۚ وَ لَوۡ کُنۡتَ فَظًّا غَلِیۡظَ الۡقَلۡبِ لَانۡفَضُّوۡا مِنۡ حَوۡلِکَ ۪ فَاعۡفُ عَنۡہُمۡ وَ اسۡتَغۡفِرۡ لَہُمۡ وَ شَاوِرۡہُمۡ فِی الۡاَمۡرِ ۚ فَاِذَا عَزَمۡتَ فَتَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ الۡمُتَوَکِّلِیۡنَ ﴿۱۵۹
অতঃপর আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের কারণে তুমি তাদের জন্য নম্র হয়েছিলে। আর যদি তুমি কঠোর স্বভাবের, কঠিন হৃদয় সম্পন্ন হতে, তবে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে পড়ত। সুতরাং তাদের কে ক্ষমা কর এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর। আর কাজে-কর্মে তাদের সাথে পরার্মশ কর। অতঃপর যখন সংকল্প করবে তখন আল্লাহর উপর ভরসা বা তাওয়াক্কুল করবে। নিশ্চয় আল্লাহ্ তার ভরসা কারীদের কে বা তাওয়াক্কুলকারীদের কে ভালবাসেন।
সূরার নামকরণঃ
এ সূরার ৩৩ ন
اِنَّ اللّٰهَ اصْطَفٰۤى اٰدَمَ وَ نُوْحًا وَّ اٰلَ اِبْرٰهِیْمَ وَ اٰلَ عِمْرٰنَ عَلَى الْعٰلَمِیْنَۙ
আল্লাহ্ আদম, নূহ, ইবরাহীমের বংশধর ও ইমরানের বংশধরদেরকে সমগ্র বিশ্ববাসীর ওপর প্রাধান্য দিয়ে (তাঁর রিসালাতের জন্য) মনোনীত করেছিলেন।
ওয়া আলা ইমরানা একেই আলামত হিসেবে এর নাম গণ্য করা হয়েছে
আয়াত ২০০
রুকু ২০
মাদানী সূরা।
নাযিল হওয়ার সময়-কাল :
প্রথম ভাষণটি সূরার প্রথম থেকে শুরু হয়ে চতুর্থ রুকূ’র প্রথম দু’ আয়াত পর্যন্ত চলেছে এবং এটি সম্ভবত বদর যুদ্ধের নিকটবর্তী সময়ে নাযিল হয়। ১-৩২
দ্বিতীয় ভাষণটি إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى آدَمَ وَنُوحًا وَآلَ إِبْرَاهِيمَ وَ আয়াত থেকে শুরু হয়ে ষষ্ঠ রুকূ’র শেষে গিয়ে শেষ হয়েছে। ৩৩-৬৩
৯ হিজরীতে নাজরানের প্রতিনিধি দলের আগমনকালে এটি নাযিল হয়।
তৃতীয় ভাষণটি সপ্তম রুকূ’র শুরু থেকে নিয়ে দ্বাদশ রুকূ’র শেষ অব্দি চলেছে। প্রথম ভাষণের সাথে সাথেই এটি নাযিল হয়। ৬৪- ১২০
চতুর্থ ভাষণটি ত্রয়োদশ রুকূ’ থেকে শুরু করে সূরার শেষ পর্যন্ত চলেছে। ওহোদ যুদ্ধের পর এটি নাযিল হয়। ১২১ -২০০ আয়াত
সম্বোধন ও আলোচ্য বিষয়াবলী :
এই বিভিন্ন ভাষণকে এক সাথে মিলিয়ে যে জিনিসটি একে একটি সুগ্রথিত ধারাবাহিক প্রবন্ধে পরিণত করেছে সেটি হচ্ছে এর উদ্দেশ্য, মূল বক্তব্য ও কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তুর সামঞ্জস্য ও একমুখীনতা। সূরায় বিশেষ করে দু’টি দলকে সম্বোধন করা হয়েছে। একটি দল হচ্ছে, আহলী কিতাব) এবং দ্বিতীয় দলটি মুসলিম জাতি।
বিষয়বস্তু :
রা হয়েছে। এভাবে এ সূরাটি শুধুমাত্র নিজের অংশগুলোর মধ্যে ধারাবাহিকতা রক্ষা করেনি এবং নিজের অংশগুলোকে একসূত্রে গ্রথিত করেনি বরং সূরা বাকারার সাথেও এর নিকট সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে। এটি একেবারেই তার পরিশিষ্ট মনে হচ্ছে। সূরা বাকারার লাগোয়া আসনই তার স্বাভাবিক আসন বলে অনুভূত হচ্ছে।
ব্যাখ্যাঃ
======
সূরার বিষয় বস্তুর উপরে অল্পবিস্তর আলোচনার পরে পর্যায়ে আমরা ব্যাখ্যার দিকে মনোনিবেশ করব।
فَبِمَا رَحۡمَۃٍ مِّنَ اللّٰہِ لِنۡتَ لَہُمۡ ۚ وَ لَوۡ کُنۡتَ فَظًّا غَلِیۡظَ الۡقَلۡبِ لَانۡفَضُّوۡا مِنۡ حَوۡلِکَ
অতঃপর আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের কারণে তুমি তাদের জন্য নম্র হয়েছিলে। আর যদি তুমি কঠোর স্বভাবের, কঠিন হৃদয় সম্পন্ন হতে, তবে তারা তোমার আশপাশ থেকে সরে পড়ত।
এখানে রাসুলুল্লাহ্ সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাল্লাম কে একজন দায়িত্বশীল হিসেবে যে বিষয়গুলো করণীয় এবং সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে এবং যার কারণে তার দিকে মানুষ ছুটে আসে সে বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে। যা মহান আল্লাহর একান্ত রহমত বা দয়া
১ আবু উমামা আল বাহেরী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাত ধরে বললেনঃ ‘হে আবু উমামা! মুমিনদের মাঝে কারো কারো জন্য আমার অন্তর নরম হয়ে যায়’। [মুসনাদে আহমাদঃ ৫/২১৭]
فَاعۡفُ عَنۡہُمۡ وَ اسۡتَغۡفِرۡ لَہُمۡ وَ شَاوِرۡہُمۡ فِی الۡاَمۡرِ
সুতরাং তাদের কে ক্ষমা কর এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর। আর কাজে-কর্মে তাদের সাথে পরার্মশ কর।
[২] অর্থাৎ ইতোপূর্বে যেমন কাজে-কর্মে এবং কোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে তাদের সাথে পরামর্শ করতেন, তেমনিভাবে এখনও তাদের সাথে পরামর্শ করুন, তাদের মনে প্রশান্তি আসতে পারে। এতে হেদায়াত দেয়া হয়েছে যে, কল্যাণ কামনার যে অনুরাগ তাদের অন্তরে বিদ্যমান, তা তাদেরকে পরামর্শের অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে প্রকাশ করবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক হাদীসে বলেছেন, “যার কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়, সে আমানতদার”। [ইবন মাজাহ: ৩৭৪৫]
অর্থাৎ সে আমানতের সাথে পরামর্শ দিবে, ভুল পথে চালাবে না এবং আমানত হিসেবেই সেটা তার কাছে রাখবে।
فَاِذَا عَزَمۡتَ فَتَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰہِ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یُحِبُّ الۡمُتَوَکِّلِیۡنَ
অতঃপর যখন সংকল্প করবে তখন আল্লাহর উপর ভরসা বা তাওয়াক্কুল করবে। নিশ্চয় আল্লাহ্ তার ভরসা কারীদের কে ভালবাসেন।
শিক্ষাঃ-
১/ দায়িত্বশীল হবেন দয়া ও কোমল হৃদয়ের অধিকারী। এবং সব সময় রুড়তা এবং কঠোরতা পরিহার করে চলার চেষ্টা করতে হবে।
২/ সহযোগীদের জন্য দোয়া করবেন তাদের গুনাহ মাফ চাইবেন এবং তাদের সাথে পরামর্শ করে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেবেন।
৩/ কোন সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে তা বাস্তবায়নের জন্য হাল ধরে রাখা এবং চূড়ান্ত মঞ্জিলে পৌছার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন
৪/ আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়ার উপযোগী কাজের সাথে জড়িত থাকতে সচেষ্ট হতে হবে।