Рет қаралды 3,643
দশ রাত দশ দিনের আমল দিয়ে জীবন বদলে ফেলুন | Hajj 2024
👉রূহানী মামার WhatsApp# 01721-009042 শুধূমাত্র ভয়েস মেসেজ দিয়ে যোগাযোগ করবেন। কল করবেন না। ভয়েস মেসেজের জবাব পেতে কমপক্ষে ৮দিন অপেক্ষা করবেন।।
🔴আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এ মাসের প্রথম ১০ রাতের কথা উল্লেখ করেছেন- ‘শপথ ফজর-কালের এবং ১০ রাতের’। (আল ফাজর : ১-২) মুফাসসিরিনদের মতে, ওই ১০ রাত বলতে জিলহজের প্রথম ১০ দিনকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে।জিলহজ মাসে মুসলিম উম্মাহর বিশেষ দু’টি ইবাদত করে থাকেন। পশু কোরবানির মাধ্যমে আত্মত্যাগ করেন। আর হজ পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করে থাকেন। তাছাড়াও এই মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় আল্লাহ তায়ালার কাছে অধিক পছন্দনীয় ও ফজিলতপূর্ণ।হাদিসে রাসূল সা:-জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের গুরুত্বের কথা জানিয়েছেন। ইবনে আব্বাস রা: থেকে বর্ণিত নবী সা: বলেছেন, ‘জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমলের চেয়ে অন্য কোনো দিনের আমলই উত্তম নয়।’ তারা জিজ্ঞেস করলেন, জিহাদও কি (উত্তম) নয়? নবী সা: বললেন, ‘জিহাদও নয়। তবে সে ব্যক্তির কথা ছাড়া যে নিজের জান ও মালের ঝুঁকি নিয়েও জিহাদে যায় ও কিছুই নিয়ে ফিরে আসে না।’ (সহিহ বুখারি-৯৬৯)তাই জিলহজ মাসের প্রথম ১০দিন বিশেষ কিছু আমল করলে প্রত্যেক মুসলিম বেশি নেকি লাভ করবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবেন। এই সময় মুসলিমরা তাদের গুণহা মাফের জন্য়ও আমল করতে পারেন।তাকবির ও তাসবিহ পড়াবছরের প্রতিটা দিনই তাকবির ও তাসবিহ করা উত্তম। তবে জিলহজের প্রথম ১০ দিন তাকবির (আল্লাহু আকবার), তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ), তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাসবিহ (সুবহান আল্লাহ) পড়া সুন্নত।হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা: থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘এ ১০ দিনের নেক আমল করার চেয়ে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় ও মহান কোনো আমল নেই। তাই তোমরা এ সময়ে তাহলিল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ), তাকবির (আল্লাহু আকবার) ও তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) বেশি বেশি করে পাঠ করো।’ (মুসনাদে আহমদ-৫৪৪৬)সিয়াম পালন ও নফল ইবাদতজিলহজের প্রথম ১০দিন সিয়াম পালন করা উত্তর। মুসলিমরা এই সময় রোজা রাখতে পারেন। আর রাতে নফল ইবাদত করতে পারেন। হাদিস শরিফে রাসূল সা: এই ১০ দিনের প্রতিটি রোজাকে পুরো বছরের রোজার সমতুল্য বলেছেন। সেই সঙ্গে রাতের নফল ইবাদতকে শবেকদরের ইবাদতের সমতুল্য বলেছেন।আবু বকর ইবনে নাফি আল বাসরি রাহ. ... আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত- রাসূল সা: বলেন, ‘এমন কোনো দিন নেই যে দিনসমূহের ইবাদত আল্লাহর কাছে জিলহজ মাসের ১০ দিনের ইবাদত অপেক্ষা অধিক প্রিয়। এর প্রতিটি দিনের রোজা এক বছরের রোজার সমতুল্য। এর প্রতিটি রাতের ইবাদত লায়লাতুল কদরের ইবাদতের সমতুল্য।’ (তিরমিজি-৭৫৮, ইবনে মাজাহ-১৭২৮)আরাফার দিনের রোজাজিলহজের প্রথম ১০ দিন গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার বড় একটি কারণ হলো ইয়াওমে আরাফাহ। যা পুরো বছরের সবচেয়ে গুরুত্ব ও ফজিলতপূর্ণ দিন। হজরত কাতাদাহ রা: বলেন, রাসূল সা: ইরশাদ করেন, ‘আরাফার দিনের একটি রোজার দ্বারা পূর্বের ও পরের এক বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায় এবং আশুরার রোজার দ্বারাও পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।’ (তিরমিজি-১৫৭, মুসনাদে আহমদ-২২৫৩৫)অন্যদিকে আরাফায় অবস্থানকারী হাজীদের জন্য রোজা রাখা মুস্তাহাব নয়। কেননা, মহানবী সা: রোজাবিহীন অবস্থায় আরাফায় অবস্থান করেছিলেন।সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব রহ. থেকে বর্ণিত, আয়িশা রা: বলেছেন, রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘আরাফাহ দিবসের তুলনায় এমন কোনো দিন নেই যেদিন আল্লাহ তায়ালা সর্বাধিক লোককে দোজখের আগুন থেকে মুক্তি দান করেন। আল্লাহ তায়ালা নিকটবর্তী হন, অতঃপর বান্দাদের সম্পর্কে মালায়িকার সামনে গৌরব করেন ও বলেন, তারা কী উদ্দেশে সমবেত হয়েছে (বা তারা কী চায়)?’ (সহিহ মুসলিম-৩১৭৯)