Рет қаралды 144
উড়িষ্যার উৎকলনিবাসী শ্রীজগমোহন বিশ্বাস এই বিশ্বাস বংশ
প্রতিষ্ঠা করেন, দশঘরার শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে বসতি স্থাপন করেন৷
জমিদারিও শুরু করেন সেই সময় থেকেই৷
এই বংশের কুলদেবতা গোপীনাথ জিউ৷ ১৭২৯ খ্রিস্টাব্দে
প্রতিষ্ঠা করেন জমিদার শ্রীসদানন্দ বিশ্বাস৷
শ্রীজগমোহন বিশ্বাসের চার পুত্র সন্তান৷ কনিষ্ট পুত্র অল্প বয়সে
মারা যাওয়ায় তাঁর মাতা শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েন৷
তিন পুত্র তীর্থ সেরে হরিদ্বার থেকে গোপীনাথ জিউর কষ্টি
পাথরের মূর্তি নিয়ে আসেন দশঘরার শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে৷
বিশ্বাস বংশের রীতি অনুযায়ী দেবী চন্ডীর নিত্যপূজার
প্রচলন ছিল এই জমিদার বিশ্বাস বাড়িতে৷ একই বাড়িতে
দুই দেবতার নিত্যপূজা হতে পারে না৷ তাই দেবী চন্ডীর ঘট
গুরুগৃহে স্থানান্তরিত করেন৷ এরপর ঐ চন্ডী মন্ডপেই শুরু
করেন দূর্গা পুজো ঠাকুর দালানের মধ্যে৷ এই ঠাকুর
দালানের প্রধান দরজা খোলা হয় শুধু দূর্গা পুজোর সময়৷
অন্য সময় বন্ধ থাকে, তাই সাধারনের প্রবেশ নিষেধ৷
সমৃদ্ধশালী এই জমিদারদের বহু কীর্তি ছড়িয়ে রয়েছে
এই দশঘরা শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে৷ জমিদারদের প্রতিষ্ঠিত :
গোপীসায়র দীঘি, অষ্টকোণাকৃতি রাসমঞ্চ, চার চালা দোল-
মঞ্চ, পঞ্চরত্ন গোপীনাথ জিউ মন্দির, আটচালা শিব মন্দির,
কছারি বাড়ি, নহবৎখানা, বৈঠকখানা আজও ইতিহাসের
সাক্ষ্য বহন করে চলেছে৷
দশঘরা শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে আরও এক বর্ধিষ্ণু জমিদার
বাড়ি আছে রায়বাড়ি৷ এই গ্রামে মেইন রাস্তার ডানদিকে
পড়বে বিশ্বাস জমিদার বাড়ি এবং ঠিক তার উল্টোদিকে
পড়বে রায় জমিদার বাড়ি৷ দূর থেকে প্রধান প্রবেশ পথের
উচু চূড়া দেখতে পাবেন৷
কী ভাবে পৌছবেন দশঘরা শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামে : কলকাতা থেকে
গাড়ি নিয়ে হাইওয়ে রাস্তা ধরে তারকেশ্বর আসবেন, এখান
১২ থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রাম৷ ট্রেনে যারা
আসবেন হাওড়া স্টেশন থেকে তারকেশ্বর লোকাল ভায়া বালি
হিন্দ মটর - কোন্নগর - রিষড়া - শেওড়াফুলি হয়ে তারকেশ্বর
স্টেশনে নেমে পাশেই বাস স্ট্যান্ড৷ বাস অথবা ট্রেকারে
অল্প সময়ে এসে নামবেন দশঘরা শ্রীকৃষ্ণপুর মেইন রোডে৷
এখান থেকে হাটা পথে আসবেন বিশ্বাস জমিদার বাড়িতে৷
৷৷ ধন্যবাদ আপনার যাত্রা শুভ হোক ৷৷