#ধান_ভাঙ্গানো

  Рет қаралды 1,380

Pai Pai to short

Pai Pai to short

Жыл бұрын

কি ভাবে মেশিনের মাধ্যমে ধান ভাঙাতে হয়।
ধান ভাঙ্গার মেশিন যাচ্ছে বাড়ি বাড়ি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় চলতি মৌসুমের বোরো ধান সর্বত্র কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে আসছে। স্থানীয় কৃষকেরা এখন নতুন ধান শুকিয়ে গোলায় তুলার কাজ করছেন। সেইসাথে শুকানো ধান ভাঙ্গতে এখন ব্যস্ত গৃহস্থ ও কৃষকরা।
এদিকে নতুন ধানকে কেন্দ্র করে প্রযুক্তির কল্যাণে ধান ভাঙ্গার মেশিন চলে যাচ্ছে মানুষের বাড়ি বাড়ি । গ্রামাঞ্চলে উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহারে তৈরী করা ধান ভাঙ্গার মেশিন এখন সর্বত্র বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । আধুনিক পদ্ধতি চালু হওয়ায় ধান ভাঙ্গানুর জন্য গৃহস্থদের হাট বাজার কিংবা মেইল বাড়িতে এখন আর যেতে হচ্ছে না। ঘরে বসেই পাচ্ছে ধান ভাঙ্গার সুবিধে। এতে করে কৃষক ও গ্রহস্থের সময় ও শারীরক কষ্ট থেকে রক্ষা পচ্ছেন তারা। পাশাপাশি ধান ভাঙ্গতে লোডশেডিং কিংবা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে পড়তে হচ্ছে গৃহস্থদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ধাতুর পহেলা, মোগড়া, কর্ণেলবাজার,মনিয়ন্দসহ বিভিন্ন এলাকায় যুবকরা ধান ভাঙ্গার মেশিন তৈরি করে মৌসুমি ধান ভাঙ্গার কাজ করছেন। গ্রামের বেকার যুবকরা একটি পাওয়ার ট্রিলার মেশিনের সাথে ১টি হলার যোগ করে নিজেদের উদ্যোগে ধান ভাঙ্গার মেশিন তৈরী করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান ভাঙ্গার কাজ করছেন।
এক সময় মানুষ তাদের উৎপাদিত শুকনো ধান ভাঙ্গতে অনেক কষ্ট করত। মেইল বাড়িতে গিয়ে ধান ভাঙ্গতে আসা যাওয়াসহ গৃহস্থদের অনেক পরিশ্রম হয়। এখন ধান কাটা মাড়াই ও শুকনোর পর চাউল করার জন্য ঘরের পুরুষের উপর নির্ভর করে থাকতে হচ্ছে না। যুবকরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে ধান ভাঙ্গার কাজ করায় গৃহবধুরা যেন মহাখুশি।
এ পেশায় নিয়োজিত উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ধাতুর পহেলা গ্রামের মো. হাফেজ উদ্দিন বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত ৩০-৪০ মন ধান ভাঙ্গানো হয়। বোরো ধান কাটা ও মাড়াই কাজ শেষে পর্যায়ে চলছে। গৃহস্থরা এখন ধান শুকাতে ব্যস্ত হয়ে উঠছেন। সেইসাথে এখন চলছে ধান ভাঙ্গার কাজও। যাদের ধান ভাঙ্গার প্রয়োজন তারা যোগাযোগ করলে বাড়িতে গিয়ে ভাঙ্গার কাজ করা হয়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান ভাঙ্গার প্রচুর চাহিদা আছে। তাছাড়া ধান ভাঙ্গার মেশিনের শব্দশুনে আশপাশের লোকজন আসেন বলে জানায়। তিনি আরো বলেন প্রতি মন ধান ৫০ টাকায় ভাঙ্গনো হয় । খরচ বাদে দৈনিক ১ হাজার টাকার উপর আয় হচ্ছে বলে জানায়।
মো. ফরিদ মিয়া বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে বেকার ছিলাম। কাজকার্ম ছিল না। তাই একটি ধান ভাঙ্গার মেশিন তৈরী করা হয়। এই মৌসুমে ধান ভাঙ্গার কাজ ভালই হচ্ছে বলে জানায়।
সেবা গ্রহনকারী গৃহিনী ফামেতা বেগম বলেন, এই মেশিনের মাধ্যমে বাড়িতে ধান ভাঙ্গতে আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। আগে বস্তায় করে পরিবহনের মাধ্যমে মেইল বাড়িতে নিয়ে যেতে অনেক কষ্ট হত।
মো. মোবারক হোসেন বলেন, এই মেশিনে ধান ভাঙ্গতে খরচ সামান্য বেশী হলেও কোন প্রকার গৃহস্থের কষ্ট নেই। পরিশ্রম ছাড়া ঘরে বসেই ধান ভাঙ্গতে পেরে খুবই খুশি। কারণ মেইল বাড়িতে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকে ধান ভাঙ্গতে হয়। এখন অনেক সুবিধা হয়েছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীনতম ও সবচেয়ে মহান পেশা হলো কৃষি। পৃথিবী কে বাঁচিয়ে রেখেছে মূলত কৃষকরা।
বাংলাদেশের প্রধান পেশা হল কৃষি। কৃষকগণ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল উৎপাদন করেন। সেই ফসল কম দামে বাজারে বিক্রি করতে বাধ্য হযন। কিন্তু যারা ভোক্তা তারা কিন্তু কম দামে পায় না। ব্যাপারটা এমনও হয়েছে যে, উৎপাদন খরচও ওঠে না । অথচ ভোক্তারা কিনে অনেক বেশি দাম দিয়ে।
এবছর দেশে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। অথচ কৃষক বাজারে ধানের দাম পাচ্ছেন না। আবার চালের বাজার যে সস্তা তাও কিন্তু নয়। কষ্ট করে ধান ফলিয়ে তা বিক্রি করে লোকসান দিয়ে কৃষকরা হতাশ।
এই অবস্থা থেকে বাঁচার একটাই উপায় আছে বলে আমার মনে হয়। সেটা হলো, কৃষক কোনভাবেই ধান সরাসরি বাজারে বিক্রি করবেন না। ধান থেকে চাল তৈরি করে তারপর বিক্রি করবেন।
সরকারের কৃষি ও খাদ্য বিভাগের উচিত হবে কৃষকরা যাতে সহজে ধান কেটে তা থেকে চাল তৈরি করতে পারেন সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ধান উৎপাদনের এলাকায় যথেষ্ট সংখ্যক চাল তৈরীর মেশিন বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষকরা কেন চাল মিল মালিকদের কাছে জিম্মি হয়ে থাকবেন?
আরেকটি বিষয় করা যেতে পারে । সেটা হল, এলাকার কয়েকজন কৃষক মিলে ধান ভাঙানোর যন্ত্র ক্রয় করতে পারেন। সরকারের কৃষি বিভাগ ও খাদ্য বিভাগ এ ব্যাপারে প্রকল্প গ্রহণ করতে পারে। আমার মনে হয় না যে এলাকাভিত্তিক ছোট ছোট ধান ভাঙানোর মেশিন বসানো খুব বেশি ব্যয়বহুল হবে।
শোনা যাচ্ছে এখন এক কেজি ধান বিক্রি হয় 10 থেকে 12 টাকায়। 1 কেজি ধান থেকে যে পরিমাণ চাল হবে সে পরিমাণ চাল কিন্তু 10 টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়। 1 কেজি ধান ভাঙ্গাতে যদি দুই টাকা খরচ হয় তাহলে আমার মনে হয় কৃষক অনেক বেশি লাভবান হবে।
শোনা যাচ্ছে এখন এক কেজি ধান বিক্রি হয় 10 থেকে 12 টাকায়। 1 কেজি ধান থেকে যে পরিমাণ চাল হবে সে পরিমাণ চাল কিন্তু 10 টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়। 1 কেজি ধান ভাঙ্গাতে যদি দুই টাকা খরচ হয় তাহলে আমার মনে হয় কৃষক অনেক বেশি লাভবান হবে।
তাহলে কৃষক কেন পানির দামে ধান বিক্রি করবে? কেন কৃষক ধান কে চাল বানিয়ে বিক্রি করবে না? কেন চালকল মালিকরা কৃষকদের মাথায় বাড়ি দিয়ে লাভ করবে?বাংলার কৃষকদের প্রতি আমার আহ্বান, আপনারা সরাসরি ধান বিক্রি করবেন না‌ । ধান সংগ্রহ করে প্রথমে চাল তৈরি করুন। এইসব আপনাদের বাড়িতে সংরক্ষণ করুন। এখন প্রয়োজন মতো নিকটস্থ বাজার বা হাটে গিয়ে বিক্রি করুন।
আধুনিক যুগে পরে পরে মার খাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ।
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মধ্যসত্বভোগীরা চিরকাল মজা লুটেছে। উৎপাদক ও ভোক্তা কোন পর্যায় থেকেই এর বিরুদ্ধে কেউ রুখে দাঁড়ায়নি। মূর্খদের দেশে এই রুখে দাঁড়ানোর তাৎপর্যই কেউ বুঝে না। অতএব, এই অবস্থা আরও শত শত বছর চলতে পারে।
#shortsvideo
#ধানের
#ধান_ভাঙ্গানো
#ধানের_বাজার
#ভাঙ্গা
#মেশিন
#ধানের_বাজার_কত
#shorts

Пікірлер
Useful gadget for styling hair 🤩💖 #gadgets #hairstyle
00:20
FLIP FLOP Hacks
Рет қаралды 9 МЛН
Best Toilet Gadgets and #Hacks you must try!!💩💩
00:49
Poly Holy Yow
Рет қаралды 20 МЛН
Mama vs Son vs Daddy 😭🤣
00:13
DADDYSON SHOW
Рет қаралды 45 МЛН