Рет қаралды 832
| KZbin Channel || PV TV
************************
Please our channel Sabiscribe | Lick | comments | Share *************************************
(PV TV) KZbin চ্যানেলের পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা । নতুন নতুন ধামাইল পেতে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে নিন । যারা সাবস্ক্রাইব করেছেন সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা । আশা করি আপনারা আমাদের পাশে আছেন পাশে থাকবেন । আমাদের এই ভিডিও গুলি যদি আপনাদের ভাল লাগে থাহলে সকল ভিডিওতে লাইক দিন শেয়ার করুন। তাই আপনারা যতটুকু সম্ভব হয় ধামাইল গান র্প্রচারের ভিডিও গুলো দেখবেন, এবং ভিডিও গুলি সকল বন্দুদের শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দিন । কমেন্ট করতে ভূলবেন না কিন্তু । সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
বৃহত্তর সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিয়ের গীত নিয়ে শুধুমাত্র সিলেটিরা না, বাংলাভাষী সকল দর্শক শ্রোতার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এ বিয়ের গীতকে আমরা বিভিন্ন পর্বে ভাগ করে থাকি। যেমন বিয়ের প্রস্তাব, কনে গোছল, পেক খেইল, গায়ে হলুদ, বরযাত্রা, কনে বিদায় প্রভৃতি। এমনকি বিয়ে পরবর্তী সংসার নিয়েও বিভিন্ন মজাদার, চটুল বিয়ের গীত রয়েছে।
বিয়ের গীতঃ যেকোনো জাতির সংস্কৃতির সঙ্গে বিবাহ নামক সামাজিক রীতি অঙ্গাঙ্গিভাব যুক্ত তার সঙ্গে বিয়ের গানও। অতুল সুর এ দেশীয় বিয়ের ইতিহাস বর্ণনায় বলেছেন কিভাবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিয়ের রীতিনীতি ভৌগোলিক অবস্থান এবং সংস্কৃতি অনুযায়ী পাল্টেছে। বিয়ের আচারের মধ্যেই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গানের ব্যবহারে বদল এসেছে। আবার অর্থ বদলেছে বিয়ের গানেরও। কিন্তু বিয়ের গান বলতে মূলত বোঝায় বিবাহ আচার, কন্যাপক্ষ, বরপক্ষকে নিয়ে বাঁধা গান। বিয়ের গানের সঙ্গে সেই জাতির সংস্কৃতি, ইতিহাস, সাহিত্য, সম্পর্কিত লোকের পরিচয় সম্পূর্ণ উঠে আসত। বিয়ের প্রস্তাব থেকে শুরু করে বিয়ে পরবর্তী প্রতিটি আচার নিয়েই বিয়ের গান বাঁধা হয়। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে নাপিতের মুখ থেকে পাওয়া খবর থেকে এক পক্ষ অন্য পক্ষকে নিয়ে মজাদার চটুল গান বাধে। বাঙালি বিয়ের গানে আবার হিন্দু-মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে আচারের ভিন্নতা অনুযায়ী গান বাঁধা হয় আলাদাভাবে।
সেই প্রাচীনকাল থেকেই এই উপমহাদেশের বিয়েতে নাচগানের প্রচলন ছিল । আর এটা করত অন্তপুরের মহিলারাই । আজ থেকে বিশ পঁচিশ বছর আগেও দেখা গেছে গ্রামের বিয়েতে বিশেষ করে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য ‘গীত গাওনি’ মহিলাদের ডাক পড়ত। এখন যদিও এই গানের ধারাটি ক্ষীণ হয়ে এসেছে, তবুও প্রত্যন্ত গ্রামে কোথাও কোথাও এখনো বিয়েতে গান গাওয়ার প্রচলন আছে। এসব গান আঞ্চলিক ভাষায় রচিত এবং প্রজন্ম পরম্পরায় মুখে মুখে প্রচলিত, স্মৃতি ও স্বতঃস্ফূর্ততায় বিকশিত । বয়স্করা অর্থাৎ শিশুদের মা, চাচী, খালা, ফুফুরা যখন বিয়ের অনুষ্ঠানে গান করেন তখন তাদের ঘিরে থাকে শিশুরা। শিশুরা এসব গান শোনে এবং মনের ভেতর গেঁথে নেয়। এরপর যখন তারা বড় হয় তখন নিজেরাই সেসব গান গাইতে শুরু করে। এতে মূল গানের সঙ্গে হয়ত সময় পরিক্রমায় আরো কিছু সংযোজন-বিয়োজন চলে, তবে তাতে মূল গানের রস আস্বাদনে কোনো অসুবিধা হয় না। বিয়ের গীতের রচয়িতা নারী, এই গানে পরিবেশনও করেন মহিলারা। এর শ্রোতাও সাধারণত মহিলা। নারী মনের আবেগ-উৎকণ্ঠা-আনন্দ-বেদনা-হাসি-কান্না-সুখ-আনন্দের প্রকাশ ঘটে বিয়ের গানে। আবার পাশাপাশি, নতুন দাম্পত্য জীবনের হাসি-ঠাট্টা, পরস্পরকে চেনার আনন্দ মিশে থাকে গানে ।