Рет қаралды 2,073
Discover the untold story of Keshargarh and Rakab Ep-1 || Rakab || Exploring Purulia 3
#vlog #keshargarh #rakab #viral #travel #travelling #westbengal #purulia #keshargarh#rakab #forest #nature #jungle #history #king #kingdom #youtube #youtubers #travelvlog #like #likeforlikes #subscriber #subhenduvlogs #vlogs
@romanchopediamithun
your queries:
Keshargarh and Rakab
keshargar purulia
Rakab forest purulia
Rakab forest
kesargar
history of Keshargarh
Purulia forest
offbeat purulia
Keshargarh vlog
Rakab forest
Rakab vlogs
Panchakotraj
Panchakotraj keshargarh story
kingdoms of Panchakotraj
Purulia tourist places
Purulia offbeat places
keshargarh purulia
keshargar part 1
Purulia forest
Subhendu Vlogs
story of keshargarh
Rakab forest purulia
Hello friends this is my third video of Purulia Series. Here is the story of the place-Keshargarh and Rakab
আপনারা যে পঞ্চকোটরাজ শুনে আসছেন আসলে এই রাজ ছিল বর্তমান পুরুলিয়ার বাঁকুড়া বর্ধমান বকারো ও রাঁচি এই জায়গা গুলি নিয়ে। যাঁর রাজধানী ছিল যথাক্রমে তত্কালীন গোস্বামী ঝালদা, পাড়া, গড় পঞ্চকোট , মহারাজনগর , রামবনি, কেসরগর ও সর্বশেষ কাশিপুর। আজকের story সেই ষষ্ঠ রাজধানী কেশরগড় কে কেন্দ্র করে।
আজ থেকে প্রায় ১৯০০ বছর আগে মধ্য প্রদেশের ধার স্টেট থেকে এক রাজদম্পতি পুরির উদ্দেশ্যে তীর্থ যাত্রা শুরু করেন এবং তাঁরা যখন পুরুলিয়ার পাটঝলদার জঙ্গল দিয়ে পার হচ্ছিলেন তখন অন্তঃস্বত্তা রানী এক্ সন্তান এর জন্ম দেন। রাজ জ্যোতিষীর ভবিষ্যতবাণী অনুযায়ী এই সন্তান রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করার কথা কিন্তু রানী দেখেন যে জন্ম নেওয়া সন্তান মৃত তাই তাঁরা সেই জঙ্গলেই সন্তান কে ফেলে পা বাড়ান পুরীর উদ্দ্যেশে। ফেরার সময় যখন আবার এখানে এসে উপস্থিত হন তখন তারা শোনেন যে এখানে এক সর্দার জঙ্গল থেকে এক সন্তান কুড়িয়ে এনে লালন পালন করছেন। তাদের মনে আশা জাগে যে এই সেই সন্তান যাকে তারা মৃত বলে ফেলে গেছলেন। তারা সর্দার এর কাছে সন্তান ফেরত এর অনুরোধ জানালে সর্দার তা মেনে নেন নি তাই রাজা রানী রাজপুরোহিত কে সেখানে সেই সন্তান এর দেখভাল করার দায়িত্ব দিয়ে ফিরে যান। সেই বালক সমস্ত দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে দামোদর শেখর নাম নিয়ে ঝালদায় পঞ্চকোটরাজ এর সূচনা করেন। যা ১৯০০ বছর ধরে মানভূম এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় রাজধানী স্থানান্তরনের মাধ্যমে রাজকার্য পরিচালনা করেন। ঝালদায় দীর্ঘ সময় বংশানুক্রমে চলতে থাকার পর এই রাজত্বের রাজধানী স্থানান্তর হয় ৭বার এবং এর ষষ্ঠ রাজধানী কেশরগড় । পলাশীর যুদ্ধের পর ৭৪ তম রাজা মনিলাল সিং দেও মহারাজনগর থেকে রামবনিতে রাজধানী স্থানান্তর করেন ১৭৬২ খ্রিস্টাব্দে। ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে মনীলাল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ও তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র মহারাজা ভরতশেখর সিংহাসনে বসেন। শিকারের সূত্রে রাজা রাম্বনি থেকে প্রায়ই যাতায়াত করতেন রাকাব জঙ্গলে। রাকাব ঘেরা কেশর গড় জায়গাটি ভরত শেখরের খুব পছন্দ হয়। উত্তর পূর্বে পাতলুই নদী ও দক্ষিণে কাসাই নদী এবং মাঝে রাকাব জঙ্গল রাজার মন ছুঁয়ে নেয় অপরদিকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার মত নিরাপদ জায়গা এটি। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন এবং ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে রাম্বনী থেকে কেশর গড়ে রাজধানী স্থানান্তর করেন। যদিও এই স্থানান্তরণের ব্যাপারে অনেক মত রয়েছে অনেকের।
তার রাজত্ব কালেই চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত অনুযায়ী সেই এলাকার নিলামে ব্রিটিশ কোম্পানির হাতে যাওয়া ৮৬ টি মৌজা সেখানের ভূমিজ ও সাঁওতালরা রাজার সাথে একজোট হয়ে ফেরত নেন। যেগুলি ইতিহাসে চুয়ার বিদ্রোহ নামে জায়গা করে নিয়েছে।
রাজা ভরত শেখর বহুদিন ধরে নিঃসন্তান ছিলেন। রাজবংশের উত্তরাধিকারের চিন্তায় তিনি পুত্র লাভের আশায় দেবী মাতার মন্দিরে আমরণ ধর্না দিয়েছিলেন। সেই ধর্নাকালীন রাতেই রাজা সপ্ন পান তার পুত্র সন্তান হবে এবং কিছুদিন পরে রানী জন্ম দেন চেত সিং বা চেত লাল নামে এক পুত্র সন্তানের পরে আরো দুই পুত্র ও পঞ্চ কুমারী বাবি নামে এক কন্যার জন্ম দেন।
এই পঞ্চ কুমারী বাবি বিয়ে না করে কালাচাঁদ জিউই নামে মন্দির রাজাকে দিয়ে প্রতিষ্ঠা করান যেখানে এখন রয়েছে কালাচাঁদ রাম লক্ষণ সিতা জনক ও কিছু সংখ্যক শালগ্রাম শীলা।
এরপর ভরত শেখর এর মৃত্যুর পরে অকর্মন্য ভীরু অলস রাজা চেত লাল সিংহাসনে বসেন। এই গড়ের অর্থনৈতিক অবস্থা টালমাটাল হতে শুরু করে। সল্পসময় রাজত্ব করে ৪ পুত্রকে রেখে ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে মারা যান।
এবং রাজ্যের এহেন ডামাডোল অবস্থায় রাজ্যভার গ্রহণ করেন তার জ্যেষ্ঠপুত্র জগজিবন গরুড় নারায়ণ উপাধি নিয়ে সিংহাসনে বসেন ১৮১৮ সালে। রাজ্যের এমন অবস্থায় রাজকার্য পরিচালনায় একদমই মন ছিল না তার। তখন তার তেজস্বিনী রানী এই রাজকার্য পরিচালন এ যথেষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। এনারাও নিঃসন্তান এর গ্লানি দুর করার জন্য দেবী মাতার মন্দিরে পুত্রেষ্ঠ যজ্ঞ করেন এবং কিছুদিন পর তাদেরও নীলমণি নামে এক রত্নের জন্ম হয়। তাই এই দেবী মাতার মন্দিরে এখনো সন্তান না হলে সেই সৃতী মাথায় রেখে স্থানীয়রা সন্তান লাভের আশায় পূজা অর্চনা করেন। কথিত আছে কাশীপুরে রাজধানী স্থানান্তর এর সময় এইখানে বলি দেওয়া কাটরা হাতির পায়ে বেঁধেও তুলে নিয়ে যাওয়া যায়নি। এখনও সেই কাটরা মাটির নিচে এখানে রাখা আছে।
Background music i have used- 1) • no copyright.historica...
2) • Historical Epic Music ...