Рет қаралды 3,944
#Bangladesh #Cumilla #Barkamta
বরকামতা দেবিদ্বার উপজেলার একটি গ্রাম। হৃদয় ভোলানো রুপ সৌন্দর্যে ভরপুর এ গ্রামের মানুষ ভোর হতেই ছুটে চলে কৃষিকাজে। সমতট রাজ্যের রাজধানীও বলা হয় এ বরকামতাকে। গোমতীর সাথে যুক্ত হওয়া এ গ্রামের ক্ষিরোদ নদীটি আজ প্রায়ই বিলুপ্ত। জেলা সদর থেকে এর দুরত্ব মাত্র ২৪ কিলোমিটার। এবং উপজেলা সদরের দক্ষিণ-পূর্বাংশে বরকামতা গ্রামের অবস্থান। ১৩.১৫ বর্গ কিলোমিটার এ গ্রামের লোক সংখ্যা প্রায় ৩১,৯৬৩ জন। ১১ টি গ্রাম নিয়ে বরকামতা ইউনিয়নের প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়ক পাকা। প্রবাসী আয় ও কৃষির উপর নির্ভরশীল এখানকার মানুষ। এখানকার উৎপাদিত কৃষিপন্য ছড়িতে পড়ে দেশের নানান জায়গায়। ময়নামতি পাহাড়ের পাদদেশে এই ইউনিয়নের অবস্থান হওয়ায় এখানকার মানুষের আচার-আচরণ, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা, বাঙালী সংস্কৃতিতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এ গ্রামে রয়েছে ১টি বাজার, ১৬ টি সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ১০৫টি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এ গ্রামের শিক্ষিতের হার ৯০%।
বরকামতা’র খাদি কাপড় বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। নিম্ন আয়ের ও দরিদ্র মানুষ মোটা ভাতের সাথে মোটা কাপড় হিসেবে খাদির ব্যবহার করতেন। চরকায় সুতা কেটে কাঠের তৈরি লোম মেশিনে খট খট শব্দে একের এর এক সুতার সাথে বুনন করে তৈরি হচ্ছে খাদি কাপড়। যার প্রতিটি সুতায় জড়িয়ে আছে বাংলার ঐতিহ্য। ১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধীর হাতে কাটা সুতা দিয়ে তাঁতের তৈরি খদ্দর কাপড় তুলে দিলে তিনি এইটিকে স্বদেশী কাপড় হিসেবে খাদে বসে এই কাপড় তৈরি করা হয় বলে ওই কাপড়ের নামকরণ করে করেছিলেন ‘খদ্দর’ কাপড়।
বরকামতার সভ্যতা বহু প্রাচীন। এছাড়াও এ এলাকায় কিছু ক্ষুদ্র জাতিসত্বা বসবাস করে যাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলেও এর অবদান অনস্বীকার্য।
মহান মুক্তিযুদ্ধেও বরকামতা ইতিহাস অনন্য। ১৯৭১ সালে’র ১৪ এপ্রিল তৎকালীন কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ও গেরিলা বাহিনীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কমরেড আব্দুল হাফেজ ও অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে প্রায় পাঁচ হাজার বাঙালী মাত্র দুটি থ্রী-নট থ্রী রাইফেল ও লাঠি হাতে বরকামতা গ্রামের প্রবেশ পথে কাঠেরপুলে পানের বরজ’র ভেতরে ওৎপেতে থাকেন। পরে পাক হানাদার বাহিনি বিশাল গাড়িবহর নিয়ে এসে কাঠেরপুল থেকে নেমে বরকামতা গ্রামের পথে এগুতে থাকলে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা স্থানীয় বাঙালীরা ‘জয়-বাংলা’শ্লোগান দিয়ে লাঠি উচিয়ে এবং থ্রী-নট থ্রী রাইফেল’র গুলিতে শত্রুসেনাদের উপর আকস্মিক হামলা চালায়। রাইফেলের গুলিতে পাক হানাদার বাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্যের পাঁচ হানাদার সৈন্য তৎক্ষনিক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং আকস্মিক হামলায় কিং-কর্তব্য-বিমূঢ় বাকি সৈন্যরা পালিয়ে যায়। হিং¯্র পাক হানাদার বাহিনী ওইদিন রাতেই আরো ব্যাপক শক্তি-সামর্থ নিয়ে পুরো বরকামতা গ্রামে অগ্নি সংযোগে ছারখার, লুটপাট, নির্যাতনের তান্ডব চালায়। যে অগ্নীকান্ডের লেলিহান শিখা পুরো সপ্তাহজুড়ে ছিলো। এভাবেই বরকামতা ইতিহাসে উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
Facebook Link- / shahinlove143
Subscribe my KZbin channel - • ‘‘ওরে নীল দরিয়া’’ Ore ...
Whatsapp -+8801829-90-89-14