Duff College Ruins | Nimtala ghat street Kolkata.

  Рет қаралды 1,056

Mojma

Mojma

Күн бұрын

#mojma #vlog #duffcollege #duffcollegeruins #jorabagan #oldkolkata #heritage #heritagebuilding #northkolkata
১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে। এই বছরই ২৭শে মে, ধর্ম প্রচারে স্কটল্যান্ড থেকে প্রথম বাংলায় আসেন রেভারেন্ড আলেকজান্ডার ডাফ (Rev Alexander Duff), কাজ শুরু করেন মূলতঃ কোলকাতাতে। চার্চ অফ স্কটল্যান্ড এর অধীনে থেকে কয়েকমাস ধর্ম প্রচারের পর তিনি বুঝতে পারেন, এদেশে প্রয়োজন ইংরেজি শিক্ষার। তাই ধর্মপ্রচারের সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার বুকে ইংরাজি শিক্ষার প্রসার, এবং সমাজ সংস্কারে উদ্যোগী হলেন তিনি৷
এই ব্যাপারে তিনি প্রথম সাহায্য পেয়েছিলেন রাজা রামমোহন রায়ের থেকে। ওনার সহায়তায় ৫১ আপার চিত্‍পুর রোডে (জোড়াসাঁকো অঞ্চল), ফিরিঙ্গি কমল বসুর বাড়িতে দুটি ঘর ভাড়া নিয়ে, স্কুল খুললেন ডাফ… নাম দিলেন, জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইন্সটি‌টিউশন (General Assembly’s Institution)৷ ১৩ই জুলাই ১৮৩০ সালে স্কুল শুরু হয়েছিল মাত্র ৫ জন ছাত্র নিয়ে। কিছুদিন পরে, সেখান থেকে গোঁরাচাঁদ বসাকের বাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হল এই স্কুল (প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, এখনকার রবীন্দ্রসরণির সে বাড়িতে রয়েছে ওরিয়েন্টাল সেমিনারি স্কুল)৷ পড়ুয়াদের সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়তে থাকায়, ১৮৩৯ সালে আবার হেঁদুয়ার কাছে কর্নওয়ালিশ স্কোয়ারে (Cornwallis Square) নতুন বাড়িতে উঠে গেল এই স্কুল ৷
এভাবে কাজ চলছিল বেশ কিছুদিন। হঠাৎ, ১৮৪৩ সাল নাগাদ স্কটল্যান্ড চার্চ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্তরবিরোধ দেখা দিল৷ চাপ আসতে থাকলো ডাফের উপর। মানসিকভাব আহত হলেন তিনি, এবং নিজের বিশ্বস্ত সহযোগীদের সাথে বেরিয়ে এলেন জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইন্সটি‌টিউশন থেকে৷ ঘটনাটার বর্ণনা পাওয়া যায় ডাফের প্রাক্তন ছাত্র এবং ফ্রি চার্চ ওফ স্কটল্যান্ডের একজন মিশনারী, রেভারেন্ড লালবিহারী দের (Reverend Lal Behari Dey) লেখায় -
“Just one week after the close of the session of 1843, the missionaries heard that the established Church of Scotland had refused to give them the use of the buildings in Cornwallis Square. Duff was naturally incensed at this decision…as it was chiefly through his own personal exertions that the money for the buildings had been raised.” ডাফ সিদ্ধান্ত নেন, একটা নতুন স্কুল খুলবেন তিনি।
নতুন স্কুলের জন্য একটু দূরে একটা জায়গা পেলেন ডাফ। নিমতলা ঘাট স্ট্রিটের (বর্তমানে নিমতলা ঘাট স্ট্রীট) জোড়াবাগান অঞ্চলে এক প্রাসদোপম বাড়ি ছিল, সে যুগের বিখ্যাত ব্যাংকার মথুরমোহন সেনের (Baboo Mothur Mohun Sen)। ডাফ সেই বাড়ির একটা অংশ বাড়ি ভাড়া নিয়ে, ১৮৪৪ সালের ৪ঠা মার্চ চালু করলেন ফ্রি চার্চ ইনস্টিটিউশন (The Free Church Institution)৷ কিন্তু পঠন-পাঠনের জন্য উপযুক্ত জায়গার অভাব ছিল ওই বাড়িতে৷ তাই ডাফ সাহেব প্রচুর অনুদান সংগ্রহ করে, ১৮০০০ টাকায় জমি কিনে নতুন কলেজ বাড়ি তৈরি করতে উদ্যোগী হন, ৭৪ নম্বর নিমতলা ঘাট স্ট্রিটে৷ ১৮৫৭ সালের মার্চ মাসে এই নতুন ভবনের উদ্বোধন হয়, যাকে আজ আমরা ‘ডাফ কলেজ’ বলে চিনি। নতুন ভবন তৈরীর সাথে সাথেই, কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত হয় ফ্রি চার্চ ইনস্টিটিউশন (The Free Church Institution)। এখানের একজন কৃতি ছাত্র ছিলেন রাষ্ট্রগুরু সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি (Surendranath Banerjee), যিনি পরবর্তীকালে স্বাধীনতা সংগ্রামে এবং ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে এক মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।
এই নতুন বাড়িটির নকশা স্কটল্যান্ড থেকে উডকাট তৈরি করে পাঠিয়েছিলেন৷ সব মিলিয়ে ২৮টি বিশাল আয়তনের রুম, গ্যালারিওলা হল, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক ল্যাবরেটারি, এবং ছাত্র-ছাত্রীদের খেলার ব্যবস্থা রাখা হয়… যা আধুনিক কলেজের আদর্শ স্থাপত্য হিসেবে চিহ্নিত হয়৷ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই কলকাতার ইতিহাসে ‘ডাফ কলেজ’ নামে পরিচিতি লাভ করে৷ এখানে বাইবেল ছাড়াও, শিক্ষাসূচী অনুসারে অন্যান্য বিষয়ও পড়ানো হতো।
১৮৬৩ সালে ডাফসাহেব ভারত ছেড়ে ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে আফ্রিকা ও মধ্যে প্রাচ্যের দিকে রওনা হন। ১৮৭৮ সালের ১২ই ফেব্রুয়ারি, তার জন্মভূমি স্কটল্যান্ডে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ডাফসাহেব ভারত ছেড়ে চলে গেলেও, তার সৃষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠান জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইন্সটি‌টিউশন এবং ফ্রি চার্চ ইনস্টিটিউশন সফলভাবে চলতে থাকে। পরবর্তীকালে স্কটল্যান্ড চার্চের আভ্যন্তরিণ সমস্যা মিটে গেলে, দুটি প্রতিষ্ঠানকে একত্রিত করে দেবার জন্য ভাবনাচিন্তা করা হয়। এরই ফলশ্রুতি হিসেবে, ১৯০৮ সালে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব সম্পত্তি এক জায়গাতে এনে, আবার হেঁদুয়ার কাছে কর্নওয়ালিশ স্কোয়ারে একটি কলেজ তৈরী করা হয়, যার নাম ‘স্কটিশ চার্চেস কলেজ’ (Scottish Churches College), যা ১৯৩০ সালে ‘স্কটিশ চার্চ কলেজ’ (Scottish Church College) নামে আত্মপ্রকাশ করে।
এবার ডাফ কলেজের বাড়িটি নতুন কতৃপক্ষের কাছে অতিরিক্ত হয়ে যাওয়ার দরুণ, সেটি পূর্বেই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারকে। ১৯২০ সালে সেই ডাফ কলেজের বাড়িটি, জোড়াবাগান থানা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে… আর এর সাথেই শুরু হয় ইতিহাসের নিদারুণ পরিহাস।
তখন সমগ্র বাংলায় চলছে সশস্ত্র বিপ্লবীদের সংগ্রাম। জোড়াবাগান থানার দায়িত্বভার ছিল কুখ্যাত পুলিশ অফিসার চার্লস টেগার্টের (Charles Tegart) হাতে। তিনি এই বাড়ির কয়েকটা ঘর, বিপ্লবীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যবহার করেন। নামেই জিজ্ঞাসাবাদ, আসলে এখানে অকথ্য অত্যাচার চালানো হতো অভিযুক্তদের উপরে। সেই ঘরের দেওয়ালগুলো, কড়িকাঠগুলো সেই অত্যাচারের সাক্ষী। স্বাধীনতার পরেও, নকশাল আমলে এই ঘরগুলো ব্যবহার হয়েছিল নকশালী বিপ্লবীদের অত্যাচারের জন্য। এভাবেই কোলকাতার আধুনিক শিক্ষার সূতিকাগার, রূপান্তরিত হয়েছিল পুলিশ লকআপ বা ‘গারদে’৷
Location
maps.app.goo.g...
For any promotion, business or to communicate:
Email : subhajitm1612@gmail.com
KZbin Channel
/ @mojma12345
Instagram Channel
...

Пікірлер
Thank you mommy 😊💝 #shorts
0:24
5-Minute Crafts HOUSE
Рет қаралды 33 МЛН
OMG - O Maa Go | Maa-tha Gorom | Mirchi Somak | Mirchi Agni
2:56
DFM Shorts Official
Рет қаралды 162 М.
Thank you mommy 😊💝 #shorts
0:24
5-Minute Crafts HOUSE
Рет қаралды 33 МЛН