Рет қаралды 573
আগাম জাতের টক বরই চাষে সিদ্দিকের বিষ্ময়কর সাফল্য | টক কুল চাষ
ময়মনসিংহ থেকে বাউকুলের চারা এনে ২একর জমি লিজ নিয়ে ২০০ বরই গাছ লাগান।
একপর্যায়ে বাউকুল এর চাহিদা কমে যায়, এতে খরচ উঠাতে হিমশিম খেতে হয়। পরবর্তীতে ঢাকা ও গাজীপুরের অসংখ্য নারী পোশাককর্মীদের টার্গেট করে শুরু করেন টক বরই চাষ। বর্তমানে ৩৯একর পাহাড়ি লাল মাটি লিজ নিয়ে টক বরই চাষ করেন বলে জানিয়েছেন সিদ্দিকুর হোসেন। গত মৌসুমে মোট ৯৭লাখ টক বরই বিক্রি করেছেন বলে জানান। এই মৌসুমে অতিরিক্ত গরমের কারণে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায়, কম ফলন হওয়ায় প্রায় অর্ধ কোটি টাকার টক বরই বিক্রি করেছেন। এতে তার অর্ধেক টাকা জমি লিজ নেওয়া, গাছের পরিচর্চা ও পরিবহনে খরচ হয়।
সারাবছর পরিচর্যার জন্য নিয়মিত ১৫জন শ্রমিক দরকার হয় এবং বরই তোলার মৌসুমে দ্বিগুণ শ্রমিক দরকার হয়।
মৌসুমের শুরুতে ২২০টাকা কেজি দরে বরই বিক্রি হলেও এখন ৫০টাকা কেজি বিক্রি করা যায়।
ঢাকার কারওয়ানবাজার, সাভার, বাইপাইল, গাজীপুর, কোনাবাড়িসহ বিভিন্ন আড়তে বরই বিক্রির জন্য পাঠান তিনি। "বিকল্প চাষী সিদ্দিক চাষী" শ্লোগানে নিজস্ব মোড়কে বড়ই বাজারজাত করেন তিনি।
সিদ্দিক হোসেন বলেন, বাপ, দাদার পেশা কৃষিকেই আপন করে নেই। প্রযুক্তি, পরিশ্রম ও সততা এই তিনের সমন্বয়ে আজকের এই সফলতা অর্জন করেছি। বরই গাছে বিভিন্ন ছত্রাকের আক্রমণ হয়, এগুলোর সময়মতো চিকিৎসা দিতে না পারলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। টক বরই ছাড়াও আপেল কুল, পেয়ারা, লটকন ও আম চাষ করছেন তিনি।
ইতিমধ্যেই একাধিক টেলিভিশনের কৃষি পুরস্কার পেয়েছেন বলে জানান। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তনের জন্য গবেষণা করছেন। এছাড়াও ভবিষ্যতে নিজ উদ্যোগে একটি কৃষি কলেজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন তিনি।
#বরই
#কুল
#আপেল_কুল
#কৃষি