Рет қаралды 27
গীতায় শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন যে পুরুষের বুদ্ধিতে গুণ ও দোষ অতীত, সে বালকের সমান নিষিদ্ধ কর্ম থেকে নিবৃত্ত হয়ে পড়ে, কিন্তু দোষ বুদ্ধি থেকে হয় না। সে বিহিত কর্মের অনুষ্ঠান করে, তবে গুণবুদ্ধির সহায্য নয়।
হাইলাইটস
এই জগতে যা কিছু মন দিয়ে ভাবা যায়, মুখ দিয়ে বলা যায়, চোখ দিয়ে দেখা যায়, শ্রবণ করা যায় ও ইন্দ্রিয়ের দ্বারা অনুভব করা যায়, সে সবের নাশ সম্ভব।
স্বপ্নের মতোই মনের বিলাস। তাই এটি শুধু মায়া, মিথ্যা- এটি জেনে নাও।
অ্যামাজনে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, এসি পাবেন সস্তায়
এই সময় অ্যাস্ট্রো ডেস্ক: গীতার একাদশ স্কন্ধে মুক্তির তাৎপর্য স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। সাংসারিক বন্ধন থেকে নিবৃত্ত হওয়ার পর স্বয়ংয়ের মধ্যে স্থিত হওয়াই মুক্তি। মুক্তির সাধন তত্ব বর্ণিত হয়েছে এই স্কন্ধে। একাদশ স্কন্ধের সপ্তম অধ্যায় শ্রীকৃষ্ণ-উদ্ধব সম্বাদে মানব জীবন যাপনের উপদেশ পাওয়া যায়।
কৃষ্ণ বলেন, মহাভাগ্যবান উদ্ধব! তুমি আমাকে যা কিছু বলেছ, আমি তাই করতে চাই। ব্রহ্মা, শংকর ও ইন্দ্রাদি লোকপালও এবার তাই কামনা করেন যে আমি তাঁদের লোকের মধ্য দিয়ে নিজের ধামে চলে যাই। পৃথিবীতে দেবতাদের যা কাজ করার ছিল, তা আমি পুরো করে দিয়েছি। এই কাজের জন্য আমি ব্রহ্মার প্রার্থনা স্বীকার করে বলরামের সঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছি। এবাই এই যদুবংশ, যা ব্রাহ্মণদের অভিশাপে ভস্ম হয়ে গিয়েছে, পারস্পরিক বিভেদ ও যুদ্ধের ফলে নষ্ট হয়ে যাবে। আজ থেকে সপ্তম দিন সমুদ্র এই দ্বারকা পুরীকে ডুবিয়ে দেবে।
প্রিয় উদ্ধব! যে মুহূর্তে আমি মর্ত্যলোক পরিত্যাগ করব, সেই মুহূর্ত থেকে সমস্ত মঙ্গল নষ্ট হবে এবং কিছু দিনের মধ্যেই পৃথিবীতে কলিযুগের বাড়বাড়ন্ত হবে। যখন আমি এই পৃথিবী ত্যাগ করে দেব, তখন তুমি এখানে থেক না। কারণ সাধু উদ্ধব! কলিযুগে অধিকাংশ ব্যক্তি অর্ধমে রুচি রাখবে। এবার তুমি নিজের আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুবান্ধবদের স্নেহ সম্বন্ধ ছেড়ে দাও ও অনন্য প্রেমের মাধ্যমে আমার মধ্যে মনোনিবেশ করে সমদৃষ্টিতে পৃথিবীতে স্বচ্ছন্দে বিচরণ কর।
এই জগতে যা কিছু মন দিয়ে ভাবা যায়, মুখ দিয়ে বলা যায়, চোখ দিয়ে দেখা যায়, শ্রবণ করা যায় ও ইন্দ্রিয়ের দ্বারা অনুভব করা যায়, সে সবের নাশ সম্ভব। স্বপ্নের মতোই মনের বিলাস। তাই এটি শুধু মায়া, মিথ্যা- এটি জেনে নাও।
কেন বিষ্ণু-বিরোধী কংস? পুরাণের এই অজানা অধ্যায় আপনাকে চমকে দেবে!
যে পুরুষের মন অশান্ত অসংযত, সেই পাগলের মতো অনেক বস্তু দেখে থাকে। বাস্তবে এটি চিত্তের ভ্রম। নানাত্বর ভ্রম হওযার পরই ‘এটি গুণ’ ও ‘এটি দোষ’ -এ ধরণের কল্পনা করা হয়ে থাকে। যাঁর বুদ্ধিতে গুণ ও দোষের ভেদাভেদ ঘর করেছে, দৃঢ়মূল হয়েছে, তার জন্যই কর্ম, অকর্ম ও বিকর্ম রূপের প্রতিপাদন হয়েছে। তাই উদ্ধব! তুমি প্রথমে নিজের সমস্ত ইন্দ্রিয়কে নিজের বশবর্তী করে নাও। শুধু ইন্দ্রিয়ই নয়, চিত্তের সমস্ত বৃত্তিকেও আটকে নাও। তার পর এমন অনুভব কর যে এই সমস্ত আত্মা সর্বাত্মা ইন্দ্রিয়াতীত ব্রহ্ম থেকে এক ও অভিন্ন।
যখন বেদের মুখ্য তাৎপর্য-নিশ্চয়রূপ জ্ঞান ও অনুভবরূপ বিজ্ঞান থেকে সম্পন্ন হয়ে তুমি নিজের আত্মার অনুভব করে আনন্দমগ্ন থাকবে এবং সম্পূর্ণ দেবতা ইত্যাদি শরীরধারণকারীর আত্মা হয়ে যাবে। তাই কোনও বিঘ্নের কারণে কষ্ট পাবে না। কারণ সেই বিঘ্ন ও বিঘ্ন ঘটানো ব্যক্তির আত্মাও তুমিই হবে।
জগতের সবার অন্তরাত্মায় বাস শ্রীকৃষ্ণের, জানুন গীতার ব্যাখ্যা
যে শুধুমাত্র শ্রুতির তাৎপর্যের যথার্থ জ্ঞানই লাভ করেনি বরং তার সঙ্গে সাক্ষাৎকারও করেছে ও এ ভাবে যে অটল নিশ্চয় সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে, সে সমস্ত প্রাণীর হিতৈষী, সুহৃদ হয়ে যায় এবং তাঁর সমস্ত বৃত্তি সর্বদা শান্ত থাকে। সে সমস্ত প্রতীয়মান বিশ্বকে আমারই স্বরূপ- আত্মস্বরূপ দেখে। তাই এ আবার কখনও জন্ম-মৃত্যুর চক্রে জড়ায় না।
এই বিষয়ে আরও জানুন
Sadhguru Quotes: সদগুরুর থেকে জানুন জীবনের এই শিক্ষা, যা আপনার চিন্তা বদলে দেবে
Mahabharat : ‘মহাভারত’-এ দ্রৌপদী চরিত্রে দীপিকা! এস এস রাজামৌলির সাক্ষাৎকারে কীসের ইঙ্গিত?
Sudipa Chatterjee: 'তোর মৃত্যুর জন্য যে দায়ী...', পোষ্যের মৃত্যুদিনে হঠাৎ কার কথা বললেন সুদীপা!
Hindu Rituals: পোশাক পরিধানের এই ৩ ভুল আপনার জীবনে ডেকে আনবে অশুভ শক্তির উৎপাত!
Vastu Shastra: সকালে উঠে ভুলেও করবেন না এই ৫ কাজ, নিজের হাতেই তছনছ করবেন জীবন!
জগতের সবার অন্তরাত্মায় বাস শ্রীকৃষ্ণের, জানুন গীতার ব্যাখ্যা
কেন বিষ্ণু-বিরোধী কংস? পুরাণের এই অজানা অধ্যায় আপনাকে চমকে দেবে!
ভালোবাসা কাকে বলে? অর্জুনকে বুঝিয়ে ছিলেন কৃষ্ণ!