Ghutiari Sharif Dargah Mannat || জানুন গাজী বাবার মাজার এর কিংবদন্তী কাহিনী ||

  Рет қаралды 31,887

THE GUIDE WITH VIKRAM

THE GUIDE WITH VIKRAM

Күн бұрын

History of Ghutiari Sharif Mazar |
গাজী বাবার মাজার কেন পবিত্র II সাথে থাকছে হারিয়ে যাওয়া কিংবদন্তী কাহিনী।
দক্ষিণ ২৪পরগনার যে কটি ধর্মীয় স্থান আছে তার মধ্যে অন্যতম জায়গা ক্যানিং-১ ব্লকের , জীবনতলা থানার অন্তর্গত ঘুটিয়ারি শরিফ। এই পবিত্র স্থানের মূল আকর্ষণ হ'ল গাজী বাবার পবিত্র মাজারের উপর তৈরি দরগাহ এবং শিরনি ভাসিয়ে মানত করার মক্কা পুকুর । । এই রহস্যময় ও বহু চর্চিত পবিত্র মক্কা পুকুরে প্রচুর মাছ আছে। কিন্তু এই মাছ ধরা এবং খাওয়ার উপরে পরিচালক ট্রাস্টি বোর্ডের কঠোর নিষেধাজ্ঞা আছে । সারা বছর ধরে প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত মুসলিম-হিন্দু-শিখ-বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের হাজারো ভক্ত আসেন দরগায় চাদর-আতর ও হাজোত সহযোগে গাজী বাবার সমাধিতে পূজো দিয়ে আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাতে এবং পবিত্র মক্কা পুকুরে শিরনি ভাসিয়ে নিজেদের মনস্কামনা পূর্ণ করতে। এই স্থান যে কতটা জাগ্রত তা জানেন মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের অগনিত মানুষ। প্রচুর মানুষের জীবনের অনেক জটিল থেকে জটিলতর সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে মক্কা পুকুরে শিরনি ভাসিয়ে আকুল আন্তরিক শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও প্রার্থনার জোরে। এই সকল উপকৃত মানুষেরা যখনই সুযোগ পান তখনই এই পবিত্র স্থানে এসে কিছুক্ষণ কাটিয়ে যান। এখানে শুধুমাত্র পশ্চিম বাংলা নয়, সমগ্র ভারত পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ, আরব আমিরশাহী থেকেও অনেকে তীর্থ করতে আসেন। দুটি সময়ে ঘুটিয়ারি এখানে তিল ধারণের কোন জায়গা থাকে না। এক হ'ল ১৭ই শ্রাবণের দিন, এই দিনটি গাজী বাবার পবিত্র মৃত্যু তিথি হিসেবে বহু যুগ আগে থেকে প্রতি বছর অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও জাকজমকের সাথে পালিত হয়ে আসছে। এই বিশেষ দিনটিতে সকল ভক্তরা মিলিত ভাবে গাজী বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করেন। আর দুই হ'ল ৭ই আষাঢ় থেকে শুরু হয়ে এক সপ্তাহব্যাপী চলা অম্বুবাচী মেলা। দুই উৎসবেরই নিখুঁত আয়োজন করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমোদিত ট্রাস্টি বোর্ড এবং ক্যানিং -১ ব্লক ও বাঁশড়া গ্রাম পঞ্চায়েত। সেই মধ্যযুগ থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত গাজী বাবার ভক্তরা এই দুই তিথি-পরবে তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে থাকেন। ভক্তরা তাঁর মাজারের সামনের মক্কা পুকুরে শিরনি ভাসিয়ে, নিমগাছে লাল সুতো বেধে বা মাজারে ঢিল বেধে মানত করে যান। অচিরেই বেশিরভাগেরই মনস্কামনা পূর্ণ হয়। কঠিন রোগ, পারিবারিক সমস্যা, চাকরি, সন্তান লাভ, সুখশান্তি লাভের আশায় এই পবিত্র দরগায় আসেন পীড়িত মানুষেরা। এখানে মানত করে সন্তান লাভ হলে সদ্যজাত শিশুকে মক্কা পুকুরে ভাসানোর প্রথা আজও চালু আছে। মেলার সময় প্রতি বছর ভারতীয় রেল দফতর শিয়ালদহ স্টেশন দক্ষিণ শাখা থেকে ঘুটিয়ারি শরিফ স্টেশন পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে। এই পবিত্র ধর্মস্থান প্রতিষ্ঠার পিছনেও অত্যন্ত আকর্ষণীয় সত্য ঘটনা সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে। তার সাথে মহান পীর গাজী বাবার বর্ণময় জীবনীও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। মধ্যযুগে পীর হজরত গাজী সৈয়দ মুবারক আলী শাহ অর্থাৎ গাজী বাবার দিল্লিতে আবির্ভাব হয়। তাঁর পিতা ছিলেন বাদশাহ চন্দন শাহ। তাঁর পবিত্র জন্মস্থান ছিল বেলে গ্রামের আদমপুরের (জঙ্গল। ছোটবেলা থেকেই তাঁর ঘরের প্রতি কোন টান ছিল না। বিবাহের পর তাঁর দুই পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হন। তাঁরা হলেন দুঃখী গাজী ও মেহের গাজী। এরপর আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য তিনি সব ছেড়ে ঘুরতে ঘুরতে ঘুটিয়ারি শরিফের কাছে বিদ্যাধরী নদীর তীরে নারায়ণপুরের তারাহেদে নামের একটি দিঘির পাড়ে আস্তানা গড়েন। এই খবর জানতে পেরে তখনকার জমিদার রামচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁকে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেন। তারপর তিনি ধোয়াঘাটায় এসে হেলা খান নামে এক জমিদারের বাড়িতে আশ্রয় নেন। কুড়ালির কাছে সাপুর গ্রামে একটি মড়া শেওড়া গাছের নীচে রোজ বসতেন। আশ্চর্যজনক ভাবে কয়েকদিনের মধ্যে মড়া শেওড়া গাছটি জ্যান্ত হয়ে ওঠে এবং নতুন পাতা, ফুল ফুটতে শুরু করে। এরপর থেকে সাধারণ মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধা করতে শুরু করে। রাজা মদন রায়ের একবার জেল খাটা থেকে উদ্ধার করেন এই মুবারক গাজী। খুশি হয়ে রাজা তাঁকে ঘুটিয়ারি শরিফে ১৩৫৬ বিঘা জমি পাট্টা দেন। এরমধ্যে আবার ওনার বড়ো ছেলে দুঃখী বাবার সন্ধান করতে করতে এখানে তাঁর খোঁজ পান এবং আনন্দে আত্মহারা হয়ে বাবার সাথে থাকতে শুরু করেন। আস্তে আস্তে ভক্তদের মুখে মুখে এই মোবারক গাজী বাবা পীরের মাহাত্ম্য চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ১৭০৭ সালে যখন মন্বন্তর হয় তখন তাঁর ছেলে, গ্রামবাসী এবং চাষীদের একান্ত অনুরোধে এবং মানুষের দুঃখ সহ্য করতে না পেরে মক্কা শরীফে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করতে ধ্যান শুরু করেন। তার আগে তিনি ভক্তদের বলে রেখেছিলেন, যতদিন না বৃষ্টি হয় ততদিন যেন তাঁর বন্ধ দরজা কেউ না খোলে। কিন্তু, একসময় একদল পাঠান তাঁর জন্য হাজোত ( পূজার ডালি ) নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল। কিছু সময় অপেক্ষার পর গাজী বাবার কোন সাড়া না পেয়ে অধৈর্য হয়ে পাঠানেরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় বাবা মারা গেছেন। সেই দিনটি ছিল ১৭ই শ্রাবণ। সেই মুহূর্তেই আকাশ ভেঙে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি আরম্ভ হয়। তাই এই ১৭ই শ্রাবণ দিনটি গাজী বাবার পবিত্র মৃত্যুতিথি হিসেবে পালিত হয়ে আসছে প্রতি বছর শ্রদ্ধার সাথে নিয়ম করে। ১৩৫৬ বিঘা জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে বাবার মাজার। Your Queries :
Ghutiari Sharif dargah
dargah ghutiari Sharif
dargah sharif ghutiari
ghutiari sharif mazar
ghutiari sharif mazar history
ghutiari sharif mazar 2023
ghutiari sharif mela#GhutiarishariDargah
#DargahSharif
#Sufism
#Qawwali
#Devotion
#Pilgrimage
#IslamicHeritage
#Mysticism
#Spirituality
#Folklore
#ghutiarisharif
#ghutiarisharifmazar
#ghutiarisharifmajhar
#meccapond
#moccapukur
#banglavlog

Пікірлер: 3
@cutearyavlog2023
@cutearyavlog2023 Жыл бұрын
0:14 / 3:34 17 Srabon | 2023 _ Ghutiari sharif Mazar New Video !
@teamforyou1125
@teamforyou1125 Жыл бұрын
❤❤ ❤
@theguidewithvikram
@theguidewithvikram 8 ай бұрын
Thanks
小丑教训坏蛋 #小丑 #天使 #shorts
00:49
好人小丑
Рет қаралды 54 МЛН
The Best Band 😅 #toshleh #viralshort
00:11
Toshleh
Рет қаралды 22 МЛН
To Brawl AND BEYOND!
00:51
Brawl Stars
Рет қаралды 17 МЛН
Try this prank with your friends 😂 @karina-kola
00:18
Andrey Grechka
Рет қаралды 9 МЛН
小丑教训坏蛋 #小丑 #天使 #shorts
00:49
好人小丑
Рет қаралды 54 МЛН