হঠাৎ জমি বেদখলে আইনি প্রতিকার।। জমি বেদখল হলে করণীয় কি? ভূমিদস্য জমি বেদখল করলে কি করবেন?

  Рет қаралды 3,812

সহজ আইন

সহজ আইন

Күн бұрын

প্রিয় দর্শক এই পর্বের মাধ্যমে আমি আলোচনা করেছি সম্পত্তি বেদখল হলে আপনি কি করবেন?
জোর করে আপনাকে আপনার জমি থেকে উচ্ছেদ করে অবৈধভাবে সেখানে অন্য কেউ তার সত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করার অবস্থাকে বেদখল বলে। মনে রাখবেন, আপনার জমি বেদখল হলে যত দ্রুত সম্ভব এ থেকে প্রতিকারে ব্যবস্থা নিতে হবে। একটি নির্দিষ্ট সময়, তথা ১২ বছরের বেশি সময় সম্পত্তি বেদখল থাকলে ও এর মধ্যে মামলা না করলে তামাদি আইন অনুযায়ী উক্ত সম্পত্তির উপর বেদখলকারীর এক ধরণের স্বত্ব সৃষ্টি হয়ে যায়।
বেদখল হতে প্রতিকার পেতে আপনাকে প্রমাণ করতে হবে -
১। আপনাকে জোরপূর্বক বেদখল করা হয়েছে।
২। আপনাকে আপনার সম্মতি ছাড়া বেদখল করা হয়েছে।
৩। যথাযথ আইনগত পদ্ধতি ছাড়া বেদখল করা হয়েছে।
৪। বেদখল হবার পূর্বে জমির ন্যায্য দখল আপনার হাতে ছিল।
৫। আপনি বেদখল হবার ৬ মাসের মধ্যে প্রতিকার চেয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
বেদখল হতে দুইভাবে প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে - সালিশের মাধ্যমে ও মামলার মাধ্যমে।
১) সালিশের মাধ্যমে:
উভয় পক্ষের সম্মতিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, গ্রাম আদালত, মুরুব্বী কিংবা মাতব্বর এর নেতৃত্বে সালিশের মাধ্যমে বাদী তার জমি ফেরত পেতে পারেন । সালিশে মীমাংসার মাধ্যমে উভয় পক্ষের মধ্যে সমাধান করা হয়ে থাকে ।
২) মামলার মাধ্যমে:
(২-ক) ফৌজদারি আদালতে মামলা:
জমি দখলকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে পারেন। এ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে হবে প্রথম শ্রেণীর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে। আর এ মামলা করতে হবে বেদখল হয়ে গেলে কিংবা বেদখল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেওয়ার দুই মাসের মধ্যে। কোনও মামলা করলে ম্যাজিস্ট্রেট প্রতিপক্ষের ওপর সমন জারি করবেন। পরবর্তী সময়ে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনবেন এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সম্পত্তির দখলদার কে তা নির্ধারণ করবেন। প্রয়োজনে সরেজমিনে তদন্তের আদেশ দিতে পারেন পুলিশকে। তাদের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রকৃত দখলদার কে, সে বিষয়ে রায় দেবেন। তবে ১৪৫ ধারায় প্রতিকার চাইতে গেলে এখানে স্বত্ব বা মালিকানা দাবি করা যাবে না। এর মাধ্যমে শুধু প্রকৃত দখলদার নির্ণয় করার জন্য প্রতিকার চাওয়া যাবে।
(২-খ) দেওয়ানী আদালতে মামলা:
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ এবং ৮ ও ৪২ ধারায় জমিজমার মালিকানা নিয়ে প্রতিকারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট এখতিয়ারাধীন আদালতে মামলা করতে হবে। মামলার মূল্যমান চার লাখ টাকার কম হলে সহকারী জজ আদালতে এবং চার লাখের বেশি হলে অসীম এখতিয়ার পর্যন্ত যুগ্ম জেলা জজ আদালতে প্রতিকার চাইতে হবে। মামলা দায়ের করতে হবে আইনজীবীর মাধ্যমে।
সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার চাইতে হলে মালিকানা প্রমাণের দরকার নেই। শুধু জমি থেকে দখলচ্যুত হয়েছেন-এটি প্রমাণ করলেই চলবে। ৯ ধারায় উল্লেখ আছে, যদি কোনও ব্যক্তি বেদখল হন, তবে তিনি বা তাঁর মাধ্যমে দাবিদার কোনও ব্যক্তি মোকদ্দমার মাধ্যমে এর দখল পুনরুদ্ধার করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে যেসব দিক বিবেচনা করা হয়, সেগুলো হলো-বাদী অর্থাৎ যিনি প্রতিকার দাবি করেছেন, তিনি জমিটি দখল করে আসছিলেন কি না; বিবাদী তাঁকে জোরপূর্বক বেদখল করেছেন কি না; বিবাদী বেআইনিভাবে জমিতে প্রবেশ করেছেন কি না। তবে বাদীকে অবশ্যই বেদখল হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে মামলা করতে হবে। অন্যথায় এ ধারায় মামলা করার অধিকার হারাতে হবে তাঁকে।
বাদী যদি সম্পত্তিতে নিজের স্বত্ব (মালিকানা) প্রমাণে সমর্থ নাও হন কেবল বেদখল হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দখলে থাকা প্রমাণ করতে পারেন তবে তিনি তার পক্ষে ডিক্রী পেতে পারেন। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৯ ধারা মতে প্রদত্ত ডিক্রী বা আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বা রিভিউ করার কোন বিধান নেই । তবে মহামান্য হাইকোর্টে রিভিশন করা যাবে। কিন্তু সরকার কর্তৃক বেদখল হলে এ আইনে কোন প্রতিকার পাওয়া যাবে না।
তবে সম্পত্তিতে যার বৈধ মালিকানা স্বত্ব আছে তিনি কোন কারণে বেদখল হলে, বেদখল হওয়ার ১২ বছরের মধ্যে বা বেদখল হওয়া বিষয়টি অবহিত হওয়ার ১২ বছরের মধ্যে ১৮৭৭ সালের সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ৮ ধারা মতে দেওয়ানী আদালতে মামলা করে সম্পত্তির দখল পুনরুদ্ধার করতে পারেন। এ ধারায় মামলায় সম্পত্তিতে বাদীর মালিকানা স্বত্ব থাকতে হবে। এ আইনের ৮ ধারা অনুযায়ী জমির মালিক নির্ধারিত পদ্ধতিতে জমিটি পুনরুদ্ধার করার জন্য প্রতিকার চাইতে পারেন। তবে এ ধারা অনুযায়ী, দখলচ্যুত ব্যক্তিকে জমিতে তাঁর স্বত্ব বা মালিকানা আছে কিংবা মালিকানার দাবি রয়েছে, তার ঘোষণা চাইতে হবে। না হলে এ ধারা অনুযায়ী প্রতিকার পাওয়া সম্ভব হয় না। একই আইনের ৮ ও ৪২ ধারার স্বত্ব প্রমাণসহ মামলা করার ক্ষেত্রে বেদখল হওয়ার পর থেকে ১২ বছরের মধ্যে মামলা করার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের মামলাকে সাধারণত স্বত্ব সাব্যস্ত খাস দখলের মামলা বলা হয়।
মনে রাখবেন, আপনার জমি বেদখল হলে যতদ্রুত সম্ভব এর প্রতিকারে ব্যবস্থা নিতে হবে। একটি নির্দিষ্ট সময় সম্পত্তি বেদখল থাকলে উক্ত সম্পত্তির উপর বেদখলকারীর এক ধরণের স্বত্ব সৃষ্টি হয়ে যায়। তামাদি আইনের ২৮ ধারায় বলা হয়েছে, যে কোনও সম্পত্তির দখল প্রাপ্তির জন্য মামলা করার ব্যাপারে এ আইনে যে মেয়াদ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে, তা উত্তীর্ণ হওয়ার পর সেই সম্পত্তিতে বাদীর অধিকার বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তামাদি আইনের ১৪২ ধারায় বলা হয়েছে যে বেদখল হওয়ার ১২ বছরের মধ্যে মামলা করতে হবে। তামাদি আইনের ২৮ ও ১৪২ ধারা পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কোনও ব্যক্তি তার মালিকানা ও দখলে থাকা সম্পত্তি বেদখল হওয়ার ১২ বছরের মধ্যে মামলা না করলে ওই সম্পত্তিতে তার স্বত্ব বিলুপ্ত হয়ে যায়।
#দখল #জমিবেদখল
Contact Information
Phone- 01671-043256
E-mail- lemon.law14@gmail.com

Пікірлер: 20
So Cute 🥰
00:17
dednahype
Рет қаралды 47 МЛН
The CUTEST flower girl on YouTube (2019-2024)
00:10
Hungry FAM
Рет қаралды 45 МЛН