Рет қаралды 218,269
জন্ম ও বংশ পরিচয়
আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ১৩২১ বাংলার ফাল্গুন মাসে অর্থাৎ ১৯১৩ সালের প্রথম দিকে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার ফুলতলী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।[১] তার পিতার নাম মুফতি আব্দুল মজিদ।[২] তিনি হযরত শাহ জালাল এর সফরসঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম হযরত শাহ কামাল-এর বংশধর ছিলেন।[৩][৪]
শিক্ষাজীবন
শিক্ষাজীবনের প্রারম্ভে তিনি তার চাচাতো ভাই ফাতির আলীর নিকট লেখাপড়া করেন। অতঃপর ফুলতলী মাদ্রাসায় ভর্তি হন। ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে তিনি বদরপুর সিনিয়র মাদ্রাসায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। এরপর রামপুর আলিয়া ও মাতলাউল উলুম মাদ্রাসায় হাদিস শাস্ত্রে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন। ১৩৫৫ হিজরীতে তিনি মাতলাউল উলুম মাদ্রাসায় ১ম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে হাদিস শরীফের সর্বোচ্চ সনদ অর্জন করেন। তার গুরুদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আল্লামা খলিলুল্লাহ রামপুরী ও আল্লামা ওয়াজিহুদ্দীন রামপুরী।[১][২] এ ছাড়া তিনি শাহ আব্দুর রউফ করমপুরী ও শায়খুল কুররা আহমদ হেজাযী এর নিকট থেকে ইলমে কিরাতের সনদ অর্জন করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি শায়খুল কূররার নিকট থেকে ইলমে কিরাতের সর্বোচ্চ সনদ অর্জন
আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ১৩২১ বাংলার ফাল্গুন মাসে অর্থাৎ ১৯১৩ সালের প্রথম দিকে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার ফুলতলী গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।[১] তার পিতার নাম মুফতি আব্দুল মজিদ।[২] তিনি হযরত শাহ জালাল এর সফরসঙ্গী ৩৬০ আউলিয়ার অন্যতম হযরত শাহ কামাল-এর বংশধর ছিলেন।[৩][৪]
শিক্ষাজীবন
শিক্ষাজীবনের প্রারম্ভে তিনি তার চাচাতো ভাই ফাতির আলীর নিকট লেখাপড়া করেন। অতঃপর ফুলতলী মাদ্রাসায় ভর্তি হন। ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে তিনি বদরপুর সিনিয়র মাদ্রাসায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন। এরপর রামপুর আলিয়া ও মাতলাউল উলুম মাদ্রাসায় হাদিস শাস্ত্রে উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন। ১৩৫৫ হিজরীতে তিনি মাতলাউল উলুম মাদ্রাসায় ১ম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করে হাদিস শরীফের সর্বোচ্চ সনদ অর্জন করেন। তার গুরুদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আল্লামা খলিলুল্লাহ রামপুরী ও আল্লামা ওয়াজিহুদ্দীন রামপুরী।[১][২] এ ছাড়া তিনি শাহ আব্দুর রউফ করমপুরী ও শায়খুল কুররা আহমদ হেজাযী এর নিকট থেকে ইলমে কিরাতের সনদ অর্জন করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি শায়খুল কূররার নিকট থেকে ইলমে কিরাতের সর্বোচ্চ সনদ অর্জন করেন।[৫]
কর্মজীবন
১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত তিনি বদরপুর আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। ১৯৫৪ সাল থেকে গাছবাড়ী জামেউল উলুম মাদ্রাসায় অধ্যাপনা করেন। এ সময় মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষের দায়িত্ব পলন করেন। এরপর সৎপুর, ইছামতি ও বাদেদেওরাইল ফুলতলী আলিয়া মাদ্রাসায় হাদিস শাস্ত্র অধ্যাপনা করেন। এ ছাড়া তিনি শুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াত শিক্ষাদানের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন দারুল ক্বিরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাস্ট। দেশ বিদেশে প্রতিষ্ঠা করেন অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।[২][৬]
সিলসিলা
আল্লামা ফুলতলী ছিলেন তরীকায়ে কাদেরিয়া, চিশতীয়া, নক্সবন্দীয়া, মুজাদ্দেদিয়া ও মুহাম্মদিয়ার মুর্শিদ। তিনি আজীবন উপর্যুক্ত তরিকা সমূহের প্রচার ও প্রসারে নিয়োজিত ছিলেন। তার তরিকতের সিলসিলা নিম্নরূপ:
আল্লামা আব্দুল লতিফ চৌধুরী ফুলতলী রহ.
শাহ ইয়া’কুব বদরপুরী রহ.
হাফিজ আহমদ জৌনপুরী রহ.[৭]
কারামত আলী জৌনপুরী রহ.
সাইয়েদ আহমাদ ব্রেলভী রহ.
শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহ.
শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহ.[৮]
রচনাবলী
আত তানভীর আলাত তাফসীর
মুন্তাখাবুস সিয়র
আল খুতবাতুল ইয়াকুবিয়া
আনওয়ারুছ ছালিকীন
নালায়ে কলন্দর
শাজরায়ে তাইয়্যিবাহ
আল কাউলুছ ছাদীদ[৮][৯]
তার লেখা অনেক উর্দু ও আরবি গ্রন্থ ভারত ও পাকিস্তানের বিভিন্ন মাদ্রাসার পাঠ্যসূচিতে রয়েছে।[১০] এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবী বিভাগের পাঠ্যসূচিতেও তার অনেক গ্রন্থ রয়েছে।[১১]
সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান
দারুল কিরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাস্ট।[১২][১৩][১৪] এটি কুরআন যথাযথভাবে পাঠের লক্ষে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠান। দেশ-বিদেশে প্রায় ২০০০ শাখা নিয়ে পরিচালিত এ প্রতিষ্টানের মাধ্যমে বহু মানুষ আল-কুরআন সঠিকভাবে শেখার সুযোগ পাচ্ছে।
বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ[১৫][১৬]
বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া। এটি ছাত্র সংগঠন। ১৯৮০ সালে তিনি এটি প্রতিষ্ঠা করেন।[১৭]
বাংলাদেশ আঞ্জুমানে মাদারিসে আরাবিয়া। এটি মাদ্রাসা শিক্ষা ও শিক্ষকদের জন্য ১৯৬৪ সালে তিনি প্রতিষ্টা করেন।
লতিফিয়া ক্বারী সোসাইটি। দারুল কিরাত মজিদিয়া ফুলতলী ট্রাস্ট হতে শেষ ক্লাসের সার্টিফিকেট প্রাপ্তদের নিয়ে এটি গঠিত। আল কুরআন এর শিক্ষা বিস্তার এবং কারীগণের কল্যানে এ সংগঠন কাজ করে থাকে।
লতিফিয়া এতিম খানা[১৮]
ইয়াকুবিয়া হিফজুল কুরআন বোর্ড।[১৯]
বিদেশে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন
দারুল হাদিস লতিফিয়া ইউকে।[২০]
আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকে[২১]
আনজুমানে আল ইসলাহ ইউএস
ওলামা সোসাইটি ইউএস[২২]
লতিফিয়া উলামা সোসাইটি ইউকে
লতিফিয়া কারী সোসাইটি ইউকে
দারুল হাদীস লতিফিয়া নর্থ ওয়েস্ট[২৩]
কিরাআত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
লতিফিয়া দারুল কিরাত সমিতি, ভারত
আল মজিদিয়া ইভিনিং মাদ্রাসা, ইউকে।[২৪]
সন্তান-সন্ততি
তার ৭ ছেলে ও ৩ মেয়ে সন্তান রয়েছেন । এরা হলেন-
হযরত আল্লামা মোঃ ইমাদ উদ্দিন চৌধুরী
হযরত আল্লামা মোঃ নজমুদ্দীন চৌধুরী
মোছাম্মত করিমুন্নেছা চৌধুরী
হযরত মাওলানা মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন চৌধুরী
মোছাম্মত মাহতাবুন্নেছা চৌধুরী
মোছাম্মত আফতাবুন্নেছা চৌধুরী
মুফতি মাওলানা মোঃ গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী
মাওলানা মুহাম্মদ কমরুদ্দীন চৌধুরী
হাফিয মাওলানা মুহাম্মদ ফখরুদ্দীন চৌধুরী ও
মাওলানা মুহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী।[২৫]
ইন্তেকাল
আল্লামা ফুলতলী ১৬ জানুয়ারি ২০০৮ সালে সিলেট শহরে তার প্রতিষ্ঠিত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসা সংলগ্ন বাসভবনে ইন্তেকাল করেন।[২৬][২৭] ঐদিন বিকাল ৪টা সময় তার গ্রামের বাড়ির পাশে অবস্থিত বালাই হাওরে জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন তার বড় ছে