Рет қаралды 301
আড়াই বছরের আবেদের সকাল থেকে রাতের রুটিন|খাবার খাওয়ানোর টিপস|Daily Routine of A Picky Eating টদ্দলের
#Daily_routine_of_a_toddler #fayzan #babydailyroutine #toddlerdailyroutine #babyfoodchart #বাচ্চার_খাবারের_আইডিয়া #বাচ্চার_রুটিন #আড়াই_বছরের_বাচ্চার_রুটিন
সব মা বাবারাই জানেন ২ থেকে ৩ বছরের শিশুরা খাবার ব্যাপারে খুবই খুঁতখুঁতে ও অধৈর্য্যশীল হয়। মায়েরা চায় তার শিশুকে দিনভর পুষ্টিযুক্ত খাবার দিতে। কিন্তু আপনার ছোট্টো খুদে কে খাওয়ানো খুবই কস্টকর হয়ে ওঠে কারণ এই বয়সের বাচ্চারা অনেক কিছুই সহজে খেতে চায়না। খাওয়ার চেয়ে খেলাধুলোতে মন বেশী। খেলাধুলো অবশ্যই জরুরু কিন্তু তার সাথে সাথে বাড়ন্ত বাচ্চার সঠিক পুষ্টিও খুব জরুরি। এই ২ টি ৩ বছর বয়সের মধ্যে অনেক বেবিরা প্লে স্কুলেও যেতে শুরু করে। এই সময় বুদ্ধির বিকাশ খুব দ্রুত হতে থাকে। বুদ্ধির সাথে সাথে শারীরিক বিকাশও বৃদ্ধি প্রায়। এখন আপনার বেবির ওজন তার জন্মের ওজনের প্রায় ৪ গুন বৃদ্ধি পায়। তাই বুদ্ধির সঠিক বিকাশের জন্য সব ধরনের পুষ্টিযুক্ত ও বিভিন্ন ভ্যারাইটির খাওয়ার খাওয়ানোর প্রয়োজন।
শিশুর পাকস্থলী হয় খুবই ছোটো,তাই একসাথে অনেকটা খাওয়াবেন না। শিশুরা এই সময় সারাদিন খেলাধুলো ,দৌড়োনো এই সব নিয়েই ব্যাস্ত থাকে,ফলে তার প্রয়োজন হয় হাই এনার্জি। শিশুর এই হাই এনার্জির যোগান দিতে শিশুকে সারাদিনে বারে বারে অল্প অল্প খাওয়ান। ২ থেকে ৩ বছরের শিশুরা দিনে অন্তত ৫ বার খায়। ৩ টে মেন বা প্রধান খাদ্য (Breakfast , Lunch, Dinner ) ও ২ টো স্ন্যাক (Morning snack and Evening snack ) ।
অনেক বাচ্চারা এই সময় বাইরের প্যাকেট জাত খাবার খেতে শুরু করে। চিপস ,চকোলেট ,আইসক্রিম এই জাতিয় খাবারগুলো মুখোরোচক উচ্চ নুন,চিনি ও ফ্যাট (সোডিয়াম ,সুগার ও ফ্যাট) যুক্ত হয়, যা বাচ্চার স্বাভাবিক ক্ষুদা নষ্ট করে দেয় ,ফলে বাচ্চারা সাধারণ বাড়ির খাবার আর খেতে চায়না। তাই এই সব খাবার বাচ্চা কে দেবেন না। যদি একেবারে না দেওয়া সম্ভব না হয় ,মাঝে সাঝে দিতে পারেন কিন্তু রোজকার অভ্যেস করিয়ে ফেলবেন না। আর নিজেও এই ধরনের খাবার খাবেন না ,বা খেলেও বাচ্চার সামনে খাবেন না। কারণ বাচ্চারা বড়দের দেখেই শেখে। আপনি খাবেন আর বাচ্চাকে বারন করবেন, বাচ্চা কখনোই শুনবে না, Because Babies Don’t Listen, They Mimic ।
এই বয়সী বাচ্চাদের বাড়িতে তৈরি সাধারণ খাবার ও টিফিন দিন। একজন মা হিসেবে আমি জানি এই সময় মায়েরা ছোটো বাচ্চা নিয়ে সংসার সামলে ,অফিস সামলে বাচ্চার জন্য আবার আলাদা করে রান্না করতে হিমশিম খেয়ে ওঠেন। তাই রান্না করার সময় একটু প্ল্যান করে রান্না করুন। এমন ভাবে রান্না করুন যেটা আপনি ও আপনার বাচ্চা দুজনেই খেতে পারবেন। যেমন ধরুন দুপুরে ভাতের সাথে মাছের ঝোল করেছেন। বাচ্চার জন্য ঝোলে কিছু সবজি যেমন গাজর ,মিষ্টি আলু ,বা একটু ফুলকপি দিন। বাচ্চা লঙ্কা খেতে না শিখলে লঙ্কা ছাড়াই রান্না করুন বা লঙ্কা দেওয়ার আগে বাচ্চার জন্য তুলে রাখুন.
বাচ্চাকে বাড়িতে তৈরী সব ধরনের খাওয়ার খাওয়ান।বিভিন্ন রঙের, সাইজের ,আকারের ও গঠনের খাবার দিন। খাওয়ার গুলো দেয়ার সময় তার রঙ বা সাইজ কেমন সেটাও শেখাতে পারেন.
পরিবারের সবাই মিলে একসাথে খেতে বসুন। বাচ্চা এতে পরিবারে সাথে খাবার এনজয় করে খেতে শিখবে, টেবিল ম্যানার শিখবে।
বাচ্চাকে রান্নায় মাঝে সাঝে ইনভল্ভ করুন। সবজির সংখ্যা গুনতে দিন ,বা সবজির রঙ চিনিয়ে দিন বা সবজির নাম শিখিয়ে দিন। বা টেবিল থেকে ছোটো বাটি বা গ্লাস আপনার হাতে দিতে বলুন। এতে বাচ্চার দরকারী মোটোর স্কিল ও সেন্স বৃন্ধি পাৰে।
বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় টিভি বা মোবাইল দেখিয়ে না খাওয়ানোই ভালো। একবার যদি এই অভ্যেস তৈরী হয় ,সহজে আর পরিবর্তন করতে পারা যায়না। স্ক্রিন দেখিয়ে খাওয়ালে মাইন্ডফুল ইটিং হয়না ,বাচ্চা ওভেরফিড ও করে ফেলতে পারে। তাই বেবিকে স্ক্রিনের বদলে খেলনা খেলতে দেওয়া বা গান গেয়ে বা গল্প শুনিয়ে খাওয়ানো অনেক ভালো.
পদার্থ বাচ্চার ঘ্রান ও স্বাদ গ্রহণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ,মস্তিষ্কের ও বুদ্ধির বিকাশে সাহায্য করে,রক্ত গঠন করে ও কোষে শক্তির যোগান দেয়।
হলুদ সবজি
হলুদ সবজি যেমন গাজর ,কুমড়ো ইত্যাদি বাচ্চার প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন। এই সব হলুদ সবজি উচ্চ ভিটামিনA যুক্ত হয় যা বাচ্চার ইমিউন সিস্টেম ভালো রাখে এবং চোখের দৃষ্টি গঠন ও বজায় রাখতে সাহায্য করে।
হেলদি অয়েল
আমরা বাঙালিরা সর্ষের তেলেই সবকিছু রান্না করতে ভালোবাসি। সর্ষের তেলের পাশাপাশি অন্যান্য হেলদি অয়েল যেমন অলিভ অয়েল , অ্যাভোকাডো অয়েল ,আলমন্ড অয়েল ইত্যাদিও বেবির খাবারে(meal plan for 2-3years old in bengali) যোগ করতে পারেন।
সিডস এন্ড নাটস
সিড্স যেমন কুমড়োর বীজ ,চিয়া সিড ,ফ্ল্যাক্সসিড ইত্যাদি এবং বাদাম যেমন কাজু ,আলমন্ড ,আখরোট ইত্যাদি বাচ্চার রোজকার ডায়েট চার্টে(3 years baby food chat in bengali) যোগ করে নিন।সিডস এন্ড নাটস এ থাকে হেলদি ফ্যাট ও বিভিন্ন মিনারেলস। সিডস এন্ড নাটস বাচ্চার খাবারের রেসিপি যেমন স্মুদি,সিরিয়াল ইত্যাদির টপিং হিসেবে দিন।
ফল
শিশুকে যে সিজনে যে ফল পাওয়া যায় সবই দিন। বিশেষ করে টক জাতীয় ফল। আমরা জানি টক জাতীয় ফলে থাকে ভিটামিনC। এই ভিটামিনC শিশুর দাঁতের মাড়িকে শক্ত রাখে,রক্ত নালিকার গঠনে সাহায্য করে ,শিশুর গায়ে কোনো কারণে কেটে গেলে বা আঘাত লাগলে সারাতে সাহায্য করে।
দুগ্দ্ধ জাতীয় খাবার
প্রোটিন ,মিনারেলস ও ক্যালশিয়াম দ্বারা ভরপুর দুগ্দ্ধ জাতীয় খাদ্য যেমন গরুর দুধ ,দই ,ঘী ,চিজ ইত্যাদি বাচ্চার হাড় ও দাঁত গঠন করতে ও মজবুত রাখতে সাহায্য করে(৩ বছরের শিশুর খাবার তালিকা)। তাছাড়া ডেয়ারী প্রোডাক্টে আছে ভিটামিন-D যা শরীরকে ক্যালশিয়ামের শোষনে ও সঠিক ভাবে ক্যালসিয়ামকে কাজে লাগাতে সাহায্য করে। বাচ্চাকে লো ফ্যাট বা স্কিমড মিল্ক খাওয়ানোর চেয়ে ভালো ফুল ফ্যাট মিল্ক খাওয়ানো। আপনি যদি বাচ্চাকে গরুর দুধ না খাওয়াতে চান তার বদলে প্লান্ট বেসড মিল্ক.
Post credit → momsbangla