Рет қаралды 172,599
ইউটিউবে হাজারো ভূল তথ্য প্রচারণার মধ্যে সঠিক তথ্য প্রচারে অঙ্গিকারা বদ্ধ।।
দেশে প্রচলিত সকল ধরনের মাছ চাষের মধ্যে শিং মাছের চাষ সবচেয়ে লাফজনক। এ মাছের যেমন রয়েছে পুষ্টিগুণ তেমনই রয়েছে বাজার মূল্য।একক আয়তনে কার্প জাতীয় মাছের চাষ থেকে বহু বহু গুণ বেশি লাভবান হওয়া যায় শিং মাছচাষে। ছোট বড় সকল ধরনের জলাশয়েেএ মাছচাষ করা যায়। অনেকে বেশ সফলতার সাথে এ মাছ চাষ করে সচ্ছলতা অর্জন করেছে।কিন্ত অনেকেই আবার সঠিক পদ্ধতি না জানার কারণে এ মাছচাষে বেশ সমস্যা মোকাবেলা করছেন। আজকের ভিডিওতে কোন কোন বিশেষ সতর্কতা বলম্বন করলে এ মাছচাষে ১০০ ভাগ সফলতা পাওয়া যাবে তা বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। ধর্যসহকারে দেখার আহবান রহিল।
মাছচষে সম্পের্কে আরো জানতে ভিজিট করুন আমাদের ফেইজ বুক পেইজ
/ tofazahamed64
বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি একান্ত প্রয়োজন কেবল বর্ধিত জন সংখ্যা নয় দেশের আপামর জন সাধারণের মাছ গ্রহণের হার ও বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। অপর দিকে মুক্ত জলাশয় হতে ধরে নিয়ে আসা মাছের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে। সুতরাং চাষের অধীনে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির বিকল্প নাই। মাছ চাষের সম্ভাব্য সকল সুযোগ কাজে লাগিয়ে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করা খুবই প্রয়োজন। মাছচাষ অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা হিসাবে গ্রামীণ অর্থনীতি বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে। মাছচাষের মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠীর বেকার সমস্যা সমাধান, দারিদ্র বিমোচন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ণ করা সম্ভব। বর্তমানে মাছচাষে প্রশিক্ষিত চাষির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রাকৃতিক জলাশয়ে আগে অনেক ধরনের সুস্বাদু ছোট মাছ পাওয়া যেত। প্রাকৃতিক জলাশয়ে ছোট অন্যান্য ছোট প্রজাতির ন্যায় পাবদা মাছের প্রাচুর্যতা বিভিন্ন কারণে (বিল সেচে, পানি শুকিয়ে মাছ ধরা, মাত্রা অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার, পলি পড়ে খাল-বিল-নদী ভরাট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি) কমে যাচ্ছে। তাই দেশের প্রাণিজ আমিষের তথা পুষ্টির চাহিদা পূরণে এ ধরনের ছোট মাছের প্রাচুর্যতা ধরে রাখার জন্য লাগসই প্রযুক্তির সম্প্রসারণের মাধ্যমে চাহিদা সম্পন্ন ও উচ্চমূল্যের এই সুস্বাদু পাবদা মাছটির উৎপাদন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। দেশীয় প্রজাতির ছোট মাছের মধ্যে পাবদা মাছ খুবই সুস্বাদু ও জনপ্রিয় একটি মাছ। দেশের প্রায় সব ধরনের পুকুর-দিঘি ও বদ্ধ জলাশয়ে এ মাছ চাষ করা যায়।
পাবদা মাছের পুষ্টিমান
পাবদা মাছের প্রতি ১০০ গ্রামে আমিষ ১৯.২ গ্রাম, চর্বি ২.১০ গ্রাম, শর্করা ৪.৬ গ্রাম, লৌহ ১.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম -০.৩১ গ্রাম ও ফসফরাস ০.২১ গ্রাম পাওয়া যায়।
পাবদা মাছের পরিচিতি ও বৈশিষ্ট্য
পাবদা মাছ আমাদের দেশে ৩ প্রজাতির পাওয়া যায় যথা বোয়ালি পাবদা (Ompokbi maculatus), মধু পাবদা (Ompok pabda) ও কালি পাবদা (Ompok Pabo)। বর্তমানে বদ্ধ জলাশয়ে মধু পাবদা মাছের চাষ প্রচলিত হয়েছে। মধু পাবদা বা পাবদার বৈজ্ঞানিক নাম Ompok pabda (Hamilton) এর ইংরেজি নাম Butter Catfish.। সাধারণ বৈাশষ্ট্য :
• পাবদা দেহ আঁইশবিহীন, চকচকে, উজ্জ্বল রূপালী বর্ণের, দেহের উপরিভাগে ধূসর রূপালী ও পেটের দিক রূপালী বর্ণের এবং দুই জোড়া গোঁফ আছে, এটি ক্যাটফিশ শ্রেণীভুক্ত।
• এ মাছের দৈর্ঘ্য পরিপক্ক অবস্থায় ১৫-২৫ সে.মি. হয়, স্ত্রী মাছ একই বয়সী পুরুষ মাছের তুলনায় আকারে বড় হয়ে থাকে।
• পাবদা মাছ ১ বছরে পরিপক্কতা লাভ করে, তবে দুই বছর বয়সী ব্রুড মাছ কৃত্রিম প্রজননে বেশী উপযোগী।
• প্রজনন মৌসুম বেশ দীর্ঘ (ফেব্রুয়ারি-সেপ্টেম্বর) তবে এপ্রিল-আগষ্টে মাসে এই মাছের সর্বোত্তম প্রজনন মৌসুম।
• কার্প জাতীয় মাছের সাথে একত্রে চাষ করা যায়।
• ছোট কিংবা বড় জলাশয়ে সহজ ব্যবস্থাপনায় চাষ করা যায়।
• বাজারে প্রচুর চাহিদা ও সরবরাহ কম থাকায় এর মূল্য অন্যান্য মাছের তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশী।
খাদ্য ও খাদ্যাভ্যাস
রেণু পোনার খাদ্য: হাঁসের সিদ্ধ ডিমের কুসুম, রটিফেরা গ্রুপের জুওপ্লাংকটন, কাইরোনমিড লার্ভা, টিউবিফেক্সওয়ার্ম
ধাণী থেকে চারা পোনার খাদ্য: কাইরোনমিড লার্ভা, টিউবিফেক্সওয়ার্ম, রটিফেরা ও সাইক্লপ্স গ্রুপের জুপ্লাংকনটন, ক্ষুদ্র জলজপোকা, মাছের রেণু ও ধাণী পোনা, কানপোনা ও দারকিনার পোনা ইত্যাদি
চারা থেকে বিক্রয় উপযোগি পাবদার খাদ্য: কাইরোনমিড লার্ভা, টিউবিফেক্সওয়ার্ম, কুচোচিংড়ি, কেঁচো, জলজ পোকা-মাকড়, শ্যাওলা ও পাতার নরম অংশ
• পাবদা মাছ সর্বভূক, বটম ফিডার, আর্টিফিসিয়াল বা সম্পূরক খাবার দিয়ে বাণিজ্যিক চাষ করা যায়। পাবদা মাছ রাত্রে খাদ্য গ্রহণে স্বচ্ছন্দ বোধ করে। শেষ বিকাল/সন্ধ্যা ও ভোর বেলাতে খাদ্য খায়।
• অবাঞ্চিত মাছের পোনা খেয়ে পুকুর পরিস্কার রাখে।
• চাষকালীন সময় সংক্ষিপ্ত, ৪-৬ মাসেই বিক্রয় উপযোগী হয়।
পাবদা মাছ চাষের পুকুরে ভৈৗত রাসায়নিক গুণাবলী
• pH: পানির pH ৭.০০-৮.৫০ এর মধ্যে থাকলে পাবদা মাছচাষ করা যায়। তবে ৭.৫০-৮.০০ মাত্রার pH পাবদা চাষের জন্য উত্তম।
• পানির স্বচ্ছতা: প্রাকৃতিক খাদ্যের উপস্থিতির পরিমাণ ২৫-৩০ cm স্বচ্ছতার মধ্যে থাকলে ভালো হয়।
• খরতা (Hardness): ৮০-২০০ মি:গ্রা/লিটার খরতা পাবদা উৎপাদনের জন্য উপযোগী। পানির খরতা ২০-৩০ মি.গ্রা/লিটার থাকলে সহজে প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন হয় না।
• তাপমাত্রা: ২৫-৩১ ডিগ্রী সেলসিয়াস উত্তম।
• আয়রন: ০-১ ppm এর মধ্যে থাকা প্রয়োজন। পানিতে ১ ppm এর চেয়ে বেশী মাত্রা আয়রন থাকা পাবদা মাছচাষের জন্য ক্ষতিকর।
#শিং_মাছ_চাষ #Sing_Culture #শিংমাছ_চাষপদ্ধতি #Aquaculture