জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত জমিদার বাড়ির রাজসিক দুর্গাপুজো | Jamirapal Zamindarbari | Nayagram Jhargram

  Рет қаралды 761

Sujit Sahoo Photography

Sujit Sahoo Photography

Күн бұрын

Пікірлер: 2
@chandramoulimukhopadhyay8798
@chandramoulimukhopadhyay8798 Жыл бұрын
Bhalo laglo, kintu er sange pujar history, prarhar bisesotta, village er lokeder insolvent ki kore jaoa jay esab to bolte hobe. Kichue bojha gelona.
@SujitKrSahoo
@SujitKrSahoo Жыл бұрын
জীর্ণ ইট কাঠ পাথর। ফাটল বিদীর্ণ করে বট গাছ তার ডালা মেলেছে। পূজোর আমেজেও দালানটা যেন খাঁ খাঁ করছে। এর মধ্যেই এমন কিছু আছে যেটা হারিয়ে যাওয়া রাজকীয় আভিজাত্যের জানান দিচ্ছে। সবাই একে বলে রামবাবুর গড়। খাতায় কলমে জামিরাপাল গড়। এখানেই ছিল নয়াগ্রামের প্রথম সামন্ত রাজাদের রাজপ্রাসাদ। ওড়িশা থেকে দাসমহাপাত্ররা উঠে এসে আনুমানিক সপ্তদশ খৃষ্টাব্দে এই রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত করেন। গবেষণার অভাবে সমসাময়িক চালচিত্র তেমন করে বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা যায়নি। তবে রাজবাড়ি সম্পর্কে অনেক না জানা কথাই জানা গেল বছর সত্তরের কুঁদিবুড়ির কাছ থেকে। পুরো নাম কুঁদি সোরেন। প্রায় ৫০ বছর গড় আগলে বসে আছেন। যদি আবার রাজাবাবুররা ফিরে আসেন। তাঁর কথায়, “৩০-৩৫ বছর আগে এলাকায় নকশাল আধিপত্য বিস্তার লাভ করে। গড় জামিরাপালের শেষ রাজা প্রদীপ্ত দাসমহাপাত্রের দুই পুত্র তখনও রাজপ্রাসাদেই থাকতেন। আমি পরিচারিকার কাজ করতাম। তারপর নকশাল হামলায় খুন হলেন রাজ পরিবারের ঘণিষ্ঠ এক ব্যক্তি। ঘর ছাড়া হলেন রাজপুত্ররা। সেই যে গেলেন আর ফিরলেন না। রাজপ্রাসাদটিকে বাঁচানোর জন্য কোনও অর্থ সাহায্যও তাঁরা পাঠাতেন না। এখনও কেউ করে না। যতটা পারি নিজেই দেখভাল করি।” এই কথাটুকু বলে একটু থামলেন কুঁদি সোরেন। চাপা গলায় বললেন, “কেমন মায়ার বাঁধনে আটকা পড়ে গেছি। অনেক জোর করে তুলে দিতে চায়, রাজার সম্পত্তি দখল করতে চায়, তাও ছেড়ে যেতে পারি না। যদি ওরা কোনও দিন ফিরে আসে।” গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, রাজার বংশধররা এই সম্পদ রক্ষার ব্যাপারে উদাসীন। সরকারের ও কোনও হেলদোল নেই। যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন উন্নত নয়, তাই গবেষকরাও তেমন উৎসাহ দেখান না। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত অবহেলায় জীর্ণ শরীরে ইতিহাস বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে জামিরাপালের এই রামবাবুর গড়। ঐতিহাসিক মধুপ দের লেখা বই থেকে জানা যায়, নয়াগ্রামের মধ্যে দুটি তালুকের মধ্যে গড় জামিরাপাল ছিল অন্যতম। অন্য রাজারা থাকতেন খেলাগড়, বর্তমান নাম গড় খেলাড় বলে অন্য আরেক এলাকায়। আষ্টাদশ খৃষ্টাব্দে বর্গী আক্রমণ হলে গড় খেলাড়ের রাজারা স্থানান্তরিত হয়ে কুলটিকরীতে চলে যান। কিন্ত জামিরাপালের রাজারা প্রজাদের অত্যাচার করলেও বাইরের শত্রুর বিরুদ্ধে পরাক্রমশালী ছিলেন। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিও এই রাজাদের সেই ভাবে করায়ত্ত্ব করতে পারেনি। স্বাধীনতার পর রাজ পরিবার কংগ্রেসী রাজনীতিতে আসে। রাজত্ব না থাকলেও স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের রাজা বলেই মান্য করতেন। কিন্তু নকশাল আন্দোলনের পরে আর শেষরক্ষা হয়নি। তাসের ঘরের মত ভেঙে যায় সব কিছু। আর যেটা আছে রাজপ্রাসাদ, দালানবাড়ি, চণ্ডীমণ্ডপ তারা কোনও রকমে ইতিহাসের শেষ স্মৃতিচিহ্নটুকু প্রাণপণে আগলে রেখেছে। তথ্যসূত্র - Sunipam Mahakul
Я сделала самое маленькое в мире мороженое!
00:43
Я сделала самое маленькое в мире мороженое!
00:43