Рет қаралды 3,315
পীরের ব্যবসা ও জ্বীন-শয়তানের সম্পর্ক: ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি
ইসলামে পীর বা আধ্যাত্মিক নেতাদের অবস্থান সম্মানজনক, তবে কেবল তখনই যদি তারা কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন। তবে অনেক সময় কিছু ব্যক্তি ইসলামকে ব্যবসার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে, যা স্পষ্টভাবে ইসলামের শিক্ষার বিরোধী।
কোরআনের দলিল
১. আল্লাহ বলেন:
"তোমরা সত্যকে মিথ্যার সঙ্গে মিশিয়ে দিও না এবং জেনে-বুঝে সত্য গোপন করো না।"
- (সুরা আল-বাকারা: ৪২)
এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, সত্য গোপন করা এবং মিথ্যার সঙ্গে মেশানো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কিছু পীর বা আধ্যাত্মিক নেতা নিজেদের স্বার্থে মানুষকে বিভ্রান্ত করেন, যা স্পষ্টতই হারাম।
২. আল্লাহ আরও বলেন:
"তোমরা মানুষের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না এবং তাদের ধনসম্পদের বিনিময়ে বিচারকদের ঘুষ দিও না।"
- (সুরা আল-বাকারা: ১৮৮)
এই আয়াত জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে সম্পদ অর্জন নিষিদ্ধ করে। যারা আধ্যাত্মিকতার নামে ব্যবসা করেন, তারা এই আয়াতের পরিপন্থী।
হাদিসের দলিল
১. রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন:
"যে ব্যক্তি আমাদের এই ধর্মের মধ্যে এমন কিছু নতুন সংযোজন করে যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখ্যাত হবে।"
- (সহিহ বুখারি: ২৬৯৭, সহিহ মুসলিম: ১৭১৮)
এই হাদিস থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, ইসলামে নতুন কোনো প্রথা বা ব্যবসা শুরু করা, যা ইসলামের মূল শিক্ষার অংশ নয়, তা নিষিদ্ধ।
২. অন্য একটি হাদিসে তিনি বলেন:
"যে ব্যক্তি জাদুকরের কাছে যাবে এবং তার কথা বিশ্বাস করবে, সে মুহাম্মদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করল।"
- (আবু দাউদ: ৩৯০৪)
যারা জ্বীন বা শয়তানের সাহায্যে আধ্যাত্মিক ক্ষমতার দাবি করেন, তারা সরাসরি কুফরি করে।
উপসংহার
যারা পীরের নামে ব্যবসা পরিচালনা করে এবং জ্বীন-শয়তানের সাহায্য নেয়, তারা ইসলামের বিধান ভঙ্গ করে। ইসলাম আমাদের সতর্ক করে দিয়েছে মিথ্যা প্রচার, প্রতারণা ও হারাম পথে উপার্জন থেকে দূরে থাকতে।
আপনারা সবাই দয়া করে P.A SOLUA ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন! এখানে আপনি ইসলামিক ভিডিওসহ নানা শিক্ষণীয় বিষয় পাবেন, যা আপনার জ্ঞান ও আধ্যাত্মিকতাকে সমৃদ্ধ করবে। নতুন ভিডিওর নোটিফিকেশন পেতে বেল আইকনটি প্রেস করতে ভুলবেন না।