ইসলাম ধর্মে জ্বিনের কথা উল্লেখ আছে। মুসলিম হলে জ্বিন বিশ্বাস করতেই হবে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (দঃ) ইরশাদ করেছেন, "তোমাদের এমন কোন লোক নেই যে, তার সাথে তার সংগী হিসেবে একজন জ্বিনখবিশ/কারিন জ্বিনকে নিযুক্ত করা হয়নি। সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ (সা.)! তাহলে কি আপনার সাথেও আছে? রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন- হ্যাঁ, আমার সাথেও আছে। তবে তার (শয়তানের) মোকাবেলায় আল্লাহ তা'আলা আমাকে সাহায্য করেছেন। ফলে সে মুসলমান হয়ে গেছে। এখন সে আমাকে কল্যাণের কথাই বলে।"সহীহ মুসলিম রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যখন রাত শুরু হয় বা সন্ধ্যা হয়, তখন তোমরা তোমাদের সন্তানদের ঘরের মধ্যে রাখো। কারণ শয়তান জ্বিনখবিস তখন চতুর্দিকে বেরিয়ে পড়ে। এরপর রাত কিছুটা অতিবাহিত হলে তাদের ছেড়ে দাও (অর্থাৎ, রাত শুরু হওয়ার পর সন্তানদের ছাড়তে পারো)....।’’ [বুখারি, আস-সহিহ: ৫৬২৩; মুসলিম, আস-সহিহ: ২০১২] সকল মানুষের সাথে একটি করে জিনখবিশ থাকে। মানুষ মারা গেলে তার সাথে থাকা এই জ্বিনপিশাচটি মৃত মানুষের আত্মার বেশ ধরে নানা রকমের অপকর্ম করে। ইসলাম ধর্মমতে- মানুষ মারা গেলে, ভাল আত্মা ইল্যিয়িনে এবং খারাপ আত্মা সিজ্জিনে নেয়া হয়। মানুষের আত্মা প্রেতাত্মা হয়ে ফিরে আসতে পারে না। এটা কুফরি আকিদা। কোন মুসলিম প্রেতাত্মা বিশ্বাস করলে তার ঈমান থাকবে না। মুসলিমদের এই কথা বিশ্বাস করতে হবে যে- এগুলো জিনখবিসের কাজ। সাবধান! কখনো যদি জ্বিনপিশাচের পাল্লায় পড়ে যান- তবে তা আপনার জন্য খুবই বিপদ। প্রাণহানিরও আশঙ্কা রয়েছে। কারণ জ্বিনখবিসের নানা প্রজাতি আছে। জ্বীনপিশাচের একটি প্রজাতি রক্তচোষা ও মাংসাশী। এছাড়া গু-খেকো খবিশও হিংস্র। এগুলোর উপস্থিতি টের পেলে জোরে জোরে সুরা/দুয়া পড়তে থাকুন। আল্লাহর এই কালামগুলোই তখন ওই ভয়ঙ্কর জ্বিনপিশাচ/খবিশের হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে। রক্তচোষা, মাংসাশী, নরখাদক জ্বিনখবিসদের হাত থেকে রক্ষা পেতে মুখস্ত যে কোন দুয়া/সুরা পড়ুন। জ্বিনখবিস বা নারীজ্বিনের ভয় পেলে, উপস্থিতি টের পেলে, এদের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে, রাতে একা ঘরে, রাস্তায়, জলাশয়ে বা ছাদে থাকলে দুয়া/সুরা পড়তে থাকুন। জ্বিনখবিস/পিশাচজ্বিন ছাড়ানো হুজুরদের নসিহত- ফরজ গোসলের যত দ্রুত সম্ভব করে নিতে হবে। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে যথাযথভাবে যাবতীয় পরিচ্ছন্নতা সম্পন্ন করতে হবে। এরপর ওযু করে নিতে হবে। মনে মনে সব সময় দুয়া/সুরা পড়তে হবে। প্রতিদিন নামাজ পড়তে হবে। যারা অপরিচ্ছন্ন/নোংরা থাকে ও নামাজ পড়ে না, দুয়া/সুরা পড়ে না- তাদেরই পিশাচজ্বিন/জ্বিনখবিসগুলো আছর করে বা ক্ষতি করে। সংগ্রহিত