Рет қаралды 624
মৈমনসিংহ গীতিকার সব আখ্যানই ট্র্যাজিক, কিন্তু একটি আছে ব্যতিক্রম। কিন্তু আসলেই কি ব্যতিক্রম? নাকি একটি ভালো সমাপ্তির আড়ালের ট্র্যাজেডিকে আবিষ্কারে ব্যর্থ হয়েছি আমরা? ব্যর্থ হয়ে থাকলেও প্রশ্ন রয়েই যায় যে, কেনো এই ব্যর্থতা? তবে কি ‘নিরপেক্ষতা’ শুধুই শব্দমাত্র? সে যা-ই হোক, আপাতত ঘুরে আসা যাক ব্যতিক্রমী সেই ট্র্যাজেডির রাজ্যে, মধ্যযুগের এক ভাগ্য বিড়ম্বিত নারী কাজলরেখার জীবনের গল্পে।ভাটির দেশের সওদাগর ধনেশ্বর জুয়া খেলে সর্বস্বান্ত। এর ফলে তার দুই সন্তান রত্নেশ্বর ও কাজল রেখার জীবনেও দেখা দেয় অনিশ্চয়তা এবং আর্থিক অনটন। বিপদগ্রস্ত ধনেশ্বর আর্থিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য ধর্মমতী বুদ্ধিমান শুকপাখির কাছে যায়। শুকপাখির পরামর্শে হীরার আংটি বিক্রি করে বাণিজ্যে গিয়ে কপাল খুলে যায় ধনেশ্বরের। আবারও তার হাতি শালে হাতি এবং ঘোড়া শালে ঘোড়া ফিরে আসে। নানা কাজে সময় চলে যায় ধনেশ্বরের। কিন্তু আবারো শুরু হলো নতুন বিড়ম্বনা, প্রিয় মেয়ের বিয়ে না হওয়ার বিড়ম্বনা। সমস্যা সমাধানের জন্য ধনেশ্বর আবারও শুকপাখির পরামর্শ চায়। তখন চম্পানগরের হীরাধন সাধুর অভিশাপগ্রস্থ বনবাসী সূঁচরাজার সঙ্গে বিয়ে দেবার পরামর্শ দেয় শুকপাখি। এ কথা শুনে মেয়ের দুঃখে বিলাপ করে কেঁদে ওঠে সওদাগর। তবে এই পরামর্শকে ভাগ্যের লিখন ভেবে বনেই মেয়েকে রেখে আসার পরিকল্পনা করে সওদাগর। নৌকা করে শুরু হয় তাদের যাত্রা। যেতে যেতে এক সময় তারা বনের কাছে পৌঁছায়।
মূল সংগ্রহ: মৈমনসিংহ গীতিকা
দীনেশ চন্দ্র সেন
গল্প রূপ সুশীল জানা
#information #podcast #audiostory #bangla #kajalrekha
Join this channel to get access to perks:
/ @amiavijitbolchi