Рет қаралды 36,058
কোটার আড়ালে ভীন্নকিছু! Quota| Bangladesh| কোটা বিরোধী আন্দোলন| Shahedin| Sheikh Hasina
আমাদের বাংলাদেশে দেখেন, সরকারি প্রথম ও ২য় শ্রেণির চাকরিতে ৫৬% কোটা। রেলওয়েতে ৪০% পৌষ্য কোটা, জাতি গড়ার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় প্রাইমারি শিক্ষা, সেই স্কুলের শিক্ষক নিয়োগে ৬০% নারী কোটা ও ২০ % পৌষ্য কোটা। মানে আপনার যদি কোনও কোটা না থাকে। তবে ১০০ টা সিটের মধ্যে বিসিএস এ আপনার জন্য আছে ৪৪ টা, রেলওয়েতে আছে ৬০ টা আর প্রাইমারিতে আপনার জন্য আছে মাত্র ২০ টা সিট। যেগুলোর পেছনে আপনার মতো কয়েকলাখ শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতা করছে।
আজকে দেশের রেল ব্যবস্থাতে আধুনিক কোচ আনা হয়েছে, নতুন নতুন লাইন করা হচ্ছে। কিন্তু এখনোও শিডিউল জটিলতা, বাজে সার্ভিস রয়েই গেছে। থাকবেনা কেন? এখনোও ৪০% লোক চাকরি পেয়েছে পরিশ্রম ছাড়া, তাঁদের মধ্যে দায়িত্ববোধ ব্যাপারটা কম। বাবা চাকরি করত সেই সুবাদে সেও পেয়েছে, ধরেই নিয়েছে রেল তার বাপ দাদার সম্পত্তি। এই মানুষ গুলোর কারণে নতুন করে যারা রেলে ঢুকে তারাও ভালো কাজ করার স্পৃহা পায় না।
২য়ত দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে প্রাইমারি বা বুনিয়াদি শিক্ষা। ছোট্টকালে একটা শিশুর ব্রেন টা যদি ঠিক ঠাক ডেভেলপ হয় তবে সে পরবর্তিতে নিজের জীবনের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। কিন্তু আমাদের দেশে সবচেয়ে অবহেলিত হচ্ছে এই প্রাইমারি শিক্ষা। প্রাইমারির শিক্ষকদের বেতন খুবই কম, সমাজে সম্মান নেই বললেই চলে, এবং নিয়োগ ব্যবস্থা এমন যে দক্ষ এবং পড়াতে আগ্রহী এমন মানুষ প্রাইমারিতে আসতে চায় না। যারা আসে তারা একরকম বাধ্য হয়ে। কিন্তু এসে কাজের আগ্রহ পায় না।
সেই সাথে এখানে আবার আছে প্রায় ৮০%ই কোটা। তাহলে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ শিক্ষা সেক্টরে যোগ্য ও দক্ষ মানুষ আসবে কিভাবে? এইজন্যই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার গোরাটাই নড়বড়ে অবস্থায় পড়ে আছে। যা দেশের অগ্রগতির ক্ষেত্রে বড় বাধা তৈরি করছে।
১৯৭২ সালে যুদ্ধবিদ্ধস্থ দেশ গড়ার কাজে মনোযোগ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যেহেতু দেশের একটা বড় অংশের মানুষ দেশের প্রয়োজনে নিজের জীবন ও পরিবার ত্যাগ করেছে, তাই স্বাধীনতার পরে তাঁদের ক্ষতিপূরণ বলেন, সম্মান দেওয়া বলেন, যেজন্যই হোক সরকারি চাকরিতে তাঁদের জন্য কোটা দেওয়া হয়। সেই সময় নিয়োগের জন্য একটা আদেশ দেওয়া হয়, আদেশের নাম ছিলো interim recruitment rules, । যার ভেতরে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু আদেশটা ছিলো অস্থায়ী, যেহেতু আদেশের নামি ইন্তেরিম মানে অন্তর্বঋকালীন। কিন্তু এই আদেশের বলে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা দেওয়ার পদ্ধতি চলতেই থাকে।
মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানদের জন্য কোটা পদ্ধতি চলতেই পারে, এইটা তাঁদের প্রতি রাষ্ট্রের সম্মান। তবে সেটা কি পরিমাণ হবে সেটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা কিংবা তার ছেলে কোটা সুবিধা পেয়ে কিংবা সরকারের অন্যান্য সুবিধা পেয়ে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করে ফেলার কথা। দেশের বিভিন্ন সেক্টরে প্রবেশ করে ফেলার কথা। এরপর এই গোষ্ঠীটির কেও আর অবহেলিত বা পিছিয়ে পড়া অংশে থাকার কথা না। কিন্তু তারপরেও তাঁদের পরবর্তী প্রজন্ম কিভাবে এই কোটা সুবিধা দাবি করে? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিরা তো আর যুদ্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ না।
যেখানে সংবিধানে দেশের পিছিয়ে গোষ্ঠীর জন্য কোটা বা বিশেষ সুবিধার জন্য বলা হয়েছে। সেখানে একেক টা সম্মানীত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের মানুষদের কোটা দেওয়া টা তো অপমান জনক। এইটা যেমন একদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অপমানজনক অপরদিকে দেশের মধ্যে চরম বৈষম্য সৃষ্টি কারী।
একটু খেয়াল করে দেখেন, বর্তমানে দেশে গেজেট ভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৮৩ হাজারের মতো। যার মধ্যে অনেক আছে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। যদিও ১৯৮৬ সালের হিসাব মতে মুক্তি যোদ্ধা ছিলো ৭০-৮০ হাজারের মতো।
২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এক ঘোষণা বলে কোটা পদ্ধতি তুলে দেন। মানে সরকারের নির্বাহী বিভাগ কোটা পদ্ধতি তুলে দেওয়ার জন্য পরিপত্র জারি করে। কিন্তু একটা রিটের প্রেক্ষিতে ২০২৪ এ আবার সেই কোটা পদ্ধতি নিয়ে আসা হয়। মানে নির্বাহী বিভাগের আদেশ বিচার বিভাগ নাকচ করে দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এখন ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রাখতে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবীদের মাঠে নামার কথা। কিন্তু সেক্ষেত্রে তাদেরকে চুপ থাকতে দেখা যাচ্ছে। নির্বাহী বিভাগের একটা ঘোষণাকে বিচার বিভাগ বাতিল করে দিলো, সেটার জন্য নির্বাহী বিভাগও কথা বলছে না।
তাহলে প্রশ্ন জাগে, সেই কোটা ফিরিয়ে আনার বিষয়টাঁ কি সরকারের পরিকল্পিত কোনও সিদ্ধান্ত?
বাংলাদেশে ইস্যু দিয়ে ইস্যু ঢেকে দেওয়ার বহুত উদাহরণ আছে, এই মুহুর্তে তরুণ প্রজন্মকে রাজপথে ব্যস্ত রেখে কি ভিন্ন কিছু হয়ে যাচ্ছে? অস্বাভাবিক কিছু না। এমনও হতে পারে, অন্য কোনও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন পর্যন্ত ছাত্রদের রাজপথে রাখা হবে, এরপর আবার কোটা তুলে দেওয়া হবে।
আসলে রাজনীতিতে কি হয়, তা বলা মুশকিল।
The quota movement in Bangladesh, which gained significant momentum in 2018, was a student-led protest against the existing quota system in government jobs. The movement primarily called for reforms to ensure a more merit-based recruitment process, as the existing system reserved a substantial percentage of positions for specific groups, including descendants of freedom fighters, women, and ethnic minorities. Protesters argued that the quota system limited opportunities for many deserving candidates and undermined the principles of fairness and meritocracy. The widespread demonstrations, which saw students from various universities across the country participating, eventually led the government to announce changes to the quota system, reflecting the power of collective action in driving policy reform in Bangladesh.
#Quota_movement
#quota_not_comeback
#কোটা_আন্দোলন
#কোটার_অসুবিধা
#কোটা_নিয়ে_শেখ_হাসিনা
#কোটা_বাতিল
#shahedin
#bangladesh
#bangla_blocked
#শাহাবাগে_আন্দোলন