Рет қаралды 177,466
'কে সি নাগ : গল্পে গল্পে কেশব চন্দ্র নাগ / K C Nag : Life Story ( জীবনের গল্প )' --- this video is a tribute to Keshab Chandra Nag, the great Bengali Mathematician. It can be considered as the part of his biography ( জীবনী / জীবন কাহিনী)
১৮৯৩ সালের ১০ই জুলাই, রথযাত্রার দিন হুগলির গুরাপে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
বাবা রঘুনাথ নাগ এবং মা হলেন ক্ষীরোদাসুন্দরী দেবী।
পড়াশুনা করেছেন ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত গুরাপের একমাত্র বাংলা মাধ্যম স্কুলে (সম্ভবত, স্কুলটির নাম নীলমণি স্কুল)। সপ্তম শ্রেণীতে স্কুল বদল। ভর্তি হন ভাস্তারা যোগেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে। নবম শ্রেণীতে আবার স্কুল বদল। ভর্তি হলেন কিষেণগঞ্জ হাই স্কুলে। এই স্কুল থেকেই তিনি ১৯১২ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।
স্কুল জীবন শেষ করে তিনি ভর্তি হলেন কলকাতার রিপন কলেজে, এখন যার নাম সুরেন্দ্রনাথ কলেজ। এই কলেজ থেকেই তিনি ১৯১৪ সালে আইএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে পাস করেন।
এরপর কর্মজীবন শুরু।
প্রথমে নিজের শৈশবের স্কুল, ভাস্তাড়া যজ্ঞেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষকতা শুরু করলেন থার্ড মাস্টার হিসাবে। পাশাপাশি চালিয়ে গেলেন গৃহশিক্ষকতা।
কিছুদিন পরেই চাকরি আর গৃহ শিক্ষকতা ছেড়ে তিনি আবার কলকাতায় পড়াশুনা শুরু করলেন। এবার অংক ও সংস্কৃত নিয়ে তিনি বিএ পাস করলেন।
এরপর অঙ্কের শিক্ষক হিসেবে যোগ দিলেন নিজেরেই পুরনো স্কুল কিষেনগঞ্জ হাই স্কুলে।
পরবর্তী সময়ে তিনি বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজিয়েট স্কুলে অংকের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। অংকের শিক্ষক হিসেবে তার সুখ্যাতি এই সময় চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তার সেই খ্যাতির কথা পৌঁছায় স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের কানে।
শোনা যায়, ১৯২৪, মতান্তরে ১৯২৬ সালে তিনিই কেশব চন্দ্র সেনকে ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে অংকের শিক্ষক হিসাবে নিয়ে আসলেন।
১৯৫৬ সাল পর্যন্ত তিনি মিত্র ইনস্টিটিউশনে সহকারী শিক্ষক হিসাবে কাজ করেছেন।
১৯৫৬, মতান্তরে ১৯৫৭ সাল থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে প্রধান শিক্ষকের কাজ করেছিলেন এবং প্রধান শিক্ষক পদে থাকাকালীন শিক্ষকতার জীবন থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
যে জন্য কেশব চন্দ্র নাগ বাংলা তথা সারা ভারতবর্ষ জুড়ে অমর হয়ে আছেন, সেই গল্পের শুরু কিন্তু তিনের দশকে। সেসময় তিনি শিক্ষকতা নিয়েই সর্বক্ষণ মগ্ন থাকতেন। বিখ্যাত কবি, কবিশেখর কালিদাস রায়, তিনি ছিলেন মিত্র ইনস্টিটিউশনে কেশব চন্দ্রের সহকর্মী। এই কালিদাস রায়ই তাঁকে অঙ্কের বই লিখতে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
শেষ পর্যন্ত শরৎচন্দ্র এবং কালিদাস রায়ের উৎসাহে প্রথম অংকের বই লিখলেন কেশব চন্দ্র নাগ। প্রকাশিত হলো তার বই 'নব পাটিগণিত’।
সেই বই শুধু কলকাতা নয়, সারা বাংলা জুড়ে ভীষণ সাড়া ফেলে দিল। কেশব চন্দ্র নাগ থেকে তিনি ধীরে ধীরে হয়ে উঠলেন কে সি নাগ। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর নাম দিলেন গণিতশিল্পী।
এরপর কে সি নাগকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তবে অনেকে বলেন যে, প্রথম বইটি নয়, কেসি নাগকে কিংবদন্তি বানিয়েছিল তাঁর দ্বিতীয় বই, যার নাম ‘ম্যাট্রিক ম্যাথমেটিক্স’। প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৪২ সালে। এরপরেই কেশব চন্দ্র নাগ ধীরে ধীরে হয়ে উঠলেন সারা বাংলা জুড়ে শিক্ষকদেরও শিক্ষক।
একসময় তিনি রসা রোড থেকে উঠে এসে দক্ষিণ কলকাতার গোবিন্দ ঘোষাল লেনে নিজস্ব বাড়ি তৈরি করে থাকতে শুরু করেন।
সারা জীবনে তিনি মোট ৪২টি বই লিখেছিলেন।
ইংরেজি হিন্দি নেপালি উর্দু প্রভৃতি ভাষায় তার বইয়ের অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
অংক বইয়ের জনপ্রিয়তা দেখে তিনি ১৯৫৫ সালে নাগ পাবলিশিং হাউস নামে নিজের প্রকাশনা সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি ছিলেন শ্রীসারদা মায়ের প্রত্যক্ষ মন্ত্রশিষ্য। স্বামী অভেদানন্দের বহু ইংরেজি বক্তৃতা এবং ভগিনী নিবেদিতার লেখাও তিনি অনুবাদ করেছিলেন।
দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনেও তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে যে ভারতছাড়ো আন্দোলন হয়েছিল, সেই আন্দোলনে তিনি যোগ দিয়ে কারাদণ্ডও ভোগ করেছিলেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন অমায়িক একজন কাছের মানুষ। উত্তমকুমার সুচিত্রা সেনের ছবির অসম্ভব একজন ভক্ত। নাতনিকে নিয়ে সিনেমা হলে গিয়ে তিনি ছবি দেখে আসতেন।
খেলাধুলার প্রতিও তার টান ছিল অসম্ভব। মোহনবাগান ক্লাবের তিনি ছিলেন আজীবন সদস্য। ক্লাবের প্রতি তাঁর এমনই ভালোবাসা ছিল যে, মোহনবাগান ম্যাচ হারলে সে রাতে তিনি না খেয়ে শুয়ে পড়তেন।
একটা সময় তিনি নিয়মিত ডায়েরি লিখতেন। ডায়েরির নাম দিয়েছিলেন ‘রত্নবেদী’। সেখানে ছিল তাঁর বহু কবিতা, ভক্তিমূলক গান এবং ধর্ম ইতিহাস দর্শন সাহিত্য প্রভৃতি নিয়ে তাঁর বিভিন্ন মন্তব্য।
ডায়েরির উপরে লিখে রেখেছেন ‘বিনা অনুমতিতে পাঠ নিষেধ’।
'অংক বই মানেই কেসি নাগ' -- এই প্রবাদটি বাস্তবিকই আজও সমান ভাবেই জনপ্রিয়। সে কারণেই অনেকে হয়তো বলেন, তিনি সমগ্র বাঙালি জাতির অংক শিক্ষক।
১৯৮৫ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি। কানপুরে অনুষ্ঠিত ভারত ইংল্যান্ড টেস্টের ধারা বিবরণী শুনতে শুনতে উত্তেজনায় তাঁর সেরিব্রাল স্ট্রোক হয়। সেই ঘটনার দু’বছর পর ১৯৮৭ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারি ৯৩ বছর বয়সে এই গণিতজ্ঞের জীবনে নেমে এলো জীবনের শেষ অংক।
Now please watch this video and express your views in the comment section below.
Thanks a lot.
yours faithfully
The Galposalpo
#kcnag #keshabchandranag #কেসিনাগ
তথ্যঋণ:
১) অংকে ভুল করলেও পিঠে ধাঁইধপাধব নয় By শিশির রায় (আনন্দবাজার পত্রিকা)
২) বাপরে বাপ অংক কি কঠিন ... কে সি নাগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ By অলোকনাথ শেঠ (এইসময় GOLD)
৩) অঙ্কের জাদুকর কেসি নাগের জন্মদিনে শ্রদ্ধায় স্মরণ স্মৃতিচারণ By অশোক সেনগুপ্ত (আমাদের ভারত ডট কম)
৫) উইকিপিডিয়া