Рет қаралды 179,333
একসময় দেশে কচুরিপানা এত ভয়ংকরভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল যে এর বিস্তার রোধে রীতিমতো গান লিখতে বাধ্য হয়েছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। কবির ‘শেষ সওগাত’ কাব্যগ্রন্থে গানটি আছে। জ্যামিতিক হারে রাতারাতি বংশবৃদ্ধি করা কচুরিপানা নিধনের আইন পর্যন্ত পাস হয়েছিল। কিন্তু তিরস্কার দেওয়া সেই ফেলনা কচুরিপানাই এখন জোগান দিচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। কচুরিপানা থেকে তৈরি হস্তশিল্প রপ্তানি করে বছরে আসছে কোটি টাকা।
পাবনার নিভৃত এক গ্রামে তৈরি হচ্ছে নজরকাড়া এসব পণ্য। পরিবেশবান্ধব হওয়ায় কচুরিপানায় তৈরি এসব পণ্যের চাহিদা দেশের চেয়ে বিদেশের বাজারেই বেশি। ইউরোপ, আমেরিকার অন্তত আটটি দেশে রপ্তানি হচ্ছে এসব পণ্য। যার মাধ্যমে বছরে আয় হয় দেড় থেকে দুই কোটি টাকা। পাশাপাশি কচুরিপানা ঘিরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাবনার শুধু সাঁথিয়া উপজেলাতেই ১৫টি গ্রামের অন্তত ৩০০ পরিবারে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।
সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের জয়তুন খাতুন গড়ে তুলেছেন এমনই এক কুটিরশিল্প। এই কাজে তাঁর সহযোগী স্বামী রফিকুল ইসলাম। তাঁর ওখানে কাজ করেন ৬০-৭০ জন শ্রমিক, যাঁদের বেশির ভাগই নারী। কচুরিপানা থেকে তাঁরা তৈরি করছেন টব, ফুলদানি, বালতি, পাটি, ট্রে, ফুলঝুড়ি, ডিম রাখার পাত্র, পাপোশ, মোড়া, টুপি, আয়নার ফ্রেম, ডাইনিং টেবিলের ম্যাটসহ ২০ ধরনের পণ্য।
☞ প্রদীপ্ত কৃষি- কৃষি ও কৃষকের সেবায় নিয়োজিত। বিভিন্ন কৃষি তথ্য, কৃষি সমস্যা ও সমাধান পেতে প্রদীপ্ত কৃষি ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। লাইক,কমেন্ট, শেয়ার এবং সাবস্ক্রাইব করুন প্লিজ।।
#কচুরিপানা #হস্তশিল্প #কুটিরশিল্প #কৃষি #কৃষক #জীবন #জীবিকা #গ্রামীণজীবন