Рет қаралды 126
আমাদের প্রথম দিনের বারাণসী ভ্রমনের ভিডিও ফুটেজ একত্রিত করে এই ভিডিও তৈরি করেছি। এটা শুধুই প্রথম দিনে দেখা মা গঙ্গার ঘাট ও আরতি।
চওড়া গঙ্গার ঠিক পাশে বারাণসী। আর রয়েছে অসংখ্য ঘাট। গায়ে গায়ে লাগানো ঘাটগুলি পরপর সারি দিয়ে রয়েছে। দশাশ্বমেধ ঘাট বিখ্যাত। রয়েছে মণিকর্ণিকা ঘাট- যা মূলত অন্ত্যেষ্টির জন্য প্রসিদ্ধ। কথিত রয়েছে মনিকর্ণিকা ঘাটে শেষকৃত্য সম্পন্ন হলে আত্মার মুক্তি হয়ে যায়-আর পুনর্জন্ম হয় না। সবসময়েই চিতা জ্বলে এই ঘাটে। শেষকৃত্য সম্পন্ন নয় রাজা হরিশচন্দ্র ঘাটেও। এছাড়াও আসসি ঘাট, মুক্তিঘাট, দ্বারভাঙ্গা ঘাট, হনুমান ঘাট, মুন্সি ঘাট- এরকম অজস্র ঘাট রয়েছে। আর ঘাটের লাগোয়া বাড়িগুলি দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যেতে বাধ্য। বহু পুরনো প্রাসাদগুলির প্রতি কোণায়, বাঁধানো ঘাটের প্রতি ইঞ্চিতে যেন লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাস। বারাণসীতে গেলে নৌকাভ্রমণ অবশ্যই করতে হবে। দশাশ্বমেধ ঘাট, আসসি ঘাট থেকেও এই গঙ্গা ভ্রমণ হয়। ঋতুবিশেষে বদল হয় ভাড়ায়। শেয়ার করলে যেমন আমাদের থেকে নিল জনপ্রতি ১০০ টাকা, গোটা নৌকা ভাড়া করলে খরচ বেশি হয়। ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত নৌকাসফর করতে পারবেন। সেই সফরে চোখ ভরে উপভোগ করতে পারবেন বারাণসীর ঘাটগুলিকে। শীতকালে এখানে হাতে টানা নৌকা চলে কিন্তু বর্ষায় শুধুমাত্র মোটরবোটেই গঙ্গাভ্রমণ হয়। এছাড়া আসসি ঘাটের কাছ থেকে ছাড়ে ক্রুজ--সেটিতেও গঙ্গাভ্রমণ করা যায়, তবে তা বেশ খরচসাপেক্ষ। আসসি ঘাটও বেশ সুন্দর- ওই ঘাটের কাছেই একাধিক ক্যাফে তৈরি হয়েছে। গঙ্গার ঠিক পাশে বসে গল্পগুজব আর খাওয়া-দাওয়ার জম্পেশ সুযোগ রয়েছে।