Рет қаралды 14,584
কতদিন টিকতে পারে মোদীর জোট সরকার? জোট সরকার কেন ভয়ের কারণ? Modi Govt.|indian Election|Shahedin
এবারের নির্বাচনে জনপ্রিয়তা কমে গেলেও আন্টিমেটলি মোদীর বিজেপিই এবার এককভাবে সবচেয়ে বেশি আসন লাভ করেছে। কিন্তু একক ভাবে সরকার গঠন করতে যে ২৭২ টি আসন লাগে, সেটি তারা পায় নি। এজন্য সরকার গঠন করতে হবে জোট বদ্ধ হয়ে। মানে নিজের ২৪০ টা আসনের সাথে শরীক দলগুলোর আরও প্রায় ৫২ টা আসন মিলে মোদী সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন।
সমস্যা হচ্ছে এই শরীক দলের মধ্যে দুইটা বড় নেতা হচ্ছেন বিহারের নিতীশ কুমার ও অন্ধ্র প্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডু। মিডিয়াতে বার বার বলা হচ্ছিলো এই দুই নেতা যদি কংগ্রেসের সাথে চলে আসেন তাহলেই মোদীর সর্বনাশ। আসলে কেন এই কথা বলা হচ্ছিলো ? আর যেভাবে জোর দিয়ে বলা হচ্ছিলো আসলে সেটা কি ততটা সিরিয়াস কিছু?
বিহারের নিতিশ কুমার পেয়েছেন ১২ টি আসন, আর অন্ধ্র প্রদেশের নাইডু পেয়েছেন ১৬ টি আসন। আপাত দৃষ্টিতে এই সংখ্যা আহামরি কিছু না। দুইটা মিলে ২৬ টা, যা মোদীর ২৪০ এর সাথে যোগ করলেই ২৭২ হয় না। কিন্তু মোদির জোটের ২৯৩ থেকে বিয়োগ করলে ২৭২ এর নিচে নেমে যায়। যেই সংখ্যা দিয়ে আবার সরকার গঠন সম্ভব না। কিন্তু এই ২৬ টা আসন যদি আবার কংগ্রেসের জোটের প্রাপ্ত আসন ২৩২ এর সাথে যোগ করি তাতেও সরকার গঠনের জন্য ২৭২ টা হয়না। তারপরেও বেশি গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা
সংসদীয় গণতত্রের একটা মজা দেখেন, নিতীশ কুমার কিংবা চন্দ্রবাবু নাইডু কেওই পুরো ভারতব্যাপী বিস্তৃত না। তাঁদের দলের আসন একক ভাবে ৩৫ টাও পার করে নি। অথচ সিস্টেমের গ্যাঁড়াকলে তারাই হয়ে উঠলেন, গুরুত্বপূর্ণ দুই চরিত্র। নির্বাচন শেষে দুইটা জোটই তাঁদের সাথে আলোচনায় বসতে অস্থির হয়ে উঠেছিলো।
শেষমেশ তারা নরেদন্র মোদীর সাথেই থেকেছেন। এইজন্য হয়ত নরেন্দ্র মোদীকে আলাদা করে খরচাপাতিও করা লাগছে। বা আলাদা কোনও চুক্তিতেও হয়ত গিয়েছেন।
কিন্তু এই যে শরীক দলের সহায়তায় সরকার গঠন করা হচ্ছে, এদের কি পরবর্তি যেকোন সময় পিছু হটার সুযোগ আছে?
হ্যাঁ, পৃথিবীর বুকে এই ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। যেসব দেশেই কোনও দল একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা না পায়, মানে যে কয়টা আসন দরকার সরকার গঠন করতে, একক ভাবে কেও যদি এটা না পায়, সেখানে ২-৩ বছর পর গিয়ে শরীক দলের কোনও একটা অংশ যদি প্রধান মন্ত্রীর উপর অনাস্থা নিয়ে আসে এবং সেখানে যদি ঐ পরিমাণ অনাস্থা ভোট পড়ে যা মোট আসনের অর্ধেকের বেশি, তবে সরকার ভেঙ্গে যাবে।
আরও সহজ করে বলি, মনে করেন নরেন্দ্র মোদী তার শরীক দল গুলোকে নিয়ে সরকার গঠন করবে। যেখানে নিজের দলের আছে ২৪০ জন আর শরীক দল থেকে আরও ৫৩ জন। মোদী তার নিজের দলের সদস্যের উপর বিশ্বাস রাখবে যে কখনোও তারা মোদীর বিরুদ্ধে ভোট দেবে না। কিন্তু জোটের বাকী ৫৩ জনকে তো সহজেই বিশ্বাস করার সুযোগ নেই। সেই সাথে বিপক্ষে জোটের আছে আরও ২৩২ জন, যারা স্বাভাবিকভাবেই মোদীর বিপক্ষে ভোট দেবে।
এজন্য জোটবদ্ধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী সবসময় টেনশনে থাকেন, কখন নাজানি আবার অনাস্থা প্রস্তাব চলে আসে এইজন্য। সেই জায়গা থেকে নরেন্দ্র মোদীও কিছুটা টেনশনে থাকবেন। যেই টেনশন আগের টার্মে তার ছিলো না। কারণ ২০১৯ নির্বাচনে সে একাই ৩০৩ আসন পেয়েছিলো, মানে বিজেপি একাই অর্ধেকের বেশি আসন পেয়েছিলো ।
তো এবার ভয়ে থাকার পেছনে আরও একটা কারণ হচ্ছে নিতিশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর চরিত্র। তারা দুজনেই স্বার্থের জন্য জোট ত্যাগ করতে পারেন এই উদাহরণ রয়েছে। চন্দ্রবাবু নাইডু রাজনীতি শুরু করেছিলেন কংগ্রেসের সাথে, পরে যোগ দেন তার বর্তমান দল তেলেগু দেশম পার্টিতে, ১৯৯৯ সালে মোদীর জোটে যোগ দেন, ২০১৪ নির্বাচনে মোদীকে সমর্থন করেন, হঠাৎ করেই ২০১৮ সালে জোট থেকে বেরিয়ে আসেন, এরপর আবার ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে মোদীর জোটে যোগ দেন। মানে তার মধ্যে জোট ত্যাগের ব্যাপক সম্ভাবনা আছে।
এরপর নিতিশ কুমার। এই ব্যাক্তি বর্তমান ভারতের কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন। গত বছর তার উদ্যোগেই এই জোটের যাত্রা শুরু হয় এবং মোদী সরকারের বিপক্ষে বড় বড় লেকচার দেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই আবার জোট থেকে বের হয়ে যান এবং মোদীকে সমর্থন দেন। মূলত ১৯৯৬ সালে প্রথম মোদীর জোট এনডিএ তে যোগ দেন নিতিশ, তবে ২০১৪ সালে আবার মদির উপর থেকে সমর্থন উঠিয়েও নেন। পরে আবার তাকে সমর্থন দেন।
India's election system is a complex and robust mechanism designed to uphold the principles of democracy in one of the world's most populous and diverse countries. It operates under the framework of a parliamentary system, where the President of India is the head of state and the Prime Minister is the head of government. The primary legislative body, the Parliament, consists of two houses: the Lok Sabha (House of the People) and the Rajya Sabha (Council of States). Elections for the Lok Sabha are held every five years, with members chosen through direct voting in single-member constituencies using a first-past-the-post system. The Election Commission of India, an autonomous constitutional authority, oversees the entire electoral process, ensuring free and fair elections. This includes the administration of voter registration, the conduct of polling, and the counting of votes. The system also accommodates the diverse population through measures like reserved seats for Scheduled Castes and Scheduled Tribes, aiming to provide equitable representation to all segments of society.
Stay informed with our in-depth analysis and up-to-date information. Don’t forget to like, comment, and subscribe for more updates on the 2024 Indian National Election and other important political events
#IndiaElection2024 #IndianPolitics #ElectionUpdates #Democracy #NarendraModi #RahulGandhi #BJP #Congress #PoliticalAnalysis
#chandrababunaidu #nitishkumar