Рет қаралды 7,389
কাঁথির কাজুবাদাম চাষী, বাদাম প্রক্রিয়াকরণ শিল্পী ও স্থানীয় মানুষের কথা # কৃষিসাহিত্য#৬৪৪# ৫ জুন,২২
গত ৫ জুন, রবিবার আমরা কাঁথির কাজুবাদামের বাগান ও বাদাম প্রক্রিয়াকরণের কাজ দেখতে গিয়েছিলাম। এই বিষয়ে কিছু কথা ও ছবি তুলে ধরছি আজ।
কাঁথি সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড থেকে মাজনা রোডের আলিপুর গ্রাম সহ সন্নিকটস্থ অনেকগুলি গ্রামে ব্যাপক কাজুগাছের বাগান ও প্রক্রিয়াকরণ কারখানা আছে। সমুদ্র উপকূলবর্তী মূলত পদিমা, দিঘা, তাজপুর, আলিপুর, নামাল, গারুয়া, মাজনা, দানা প্রভৃতি অঞ্চলে কাজুর চাষ হয়।
আমরা গিয়েছিলাম সালিপুরে।
বাংলার কাজু মানেই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি- দিঘার কাজু। ভারতবর্ষে পর্তুগীজরা বীজ এনে লাগিয়েছিলেন ব্রাজিল থেকে, তা প্রায় চার/পাঁচশ বছর আগে। বর্তমানে বাংলার মানুষ, প্রধানত কাঁথি -দিঘা অঞ্চলের বেশির ভাগ মহিলারাই আজ এই বাংলাকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাজু-প্রক্রিয়াকরণ শিল্পক্ষেত্রের মর্যাদা অর্জন করিয়েছে। তাদের অসাধারণ ধৈর্য্য, কর্মমুখরতা, আর বিরক্তিহীন কর্মকুশলতার কারণে বিদেশ থেকে কাঁচা কাজু বীজ এনে প্রক্রিয়াকরণ হস্ত শিল্পে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছে সমুদ্র উপকুলের কর্মকুশলীরা। বেকারত্বের দোহাই পাড়েননা এঁরা। কাজু কারখানার মালিকরা, কাজু ব্যবসায়ীরা এখন আর আগের মত স্থানীয় বাগানের কাজু পরিমাণে প্রয়োজনমত পাননা। কিন্তু যেহেতু কাজের মানুষের কাজ করার মানসিকতা এখানে প্রবল, তাই তানজিনিয়া, আইভরি কোস্ট, ঘানা, নাইজিরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ইত্যাদি দেশ থেকে কাঁচা কাজু এনে প্রক্রিয়াকরণের কাজ করেন এঁরা। গোয়ার সমুদ্র বন্দরে এসে নামে বিদেশের কাজু। সেখান থেকে এখানে আসে। অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, রাজস্থান থেকেও কাঁচা কাজু আনা হয়। কিন্তু ভারতবর্ষের বাগানগুলো এখন আর বেশি ভালো গুণমানের কাঁচামাল যোগান দিতে পারেনা । অথচ এদেশে কাজু প্রক্রিয়াকরণের হস্তশিল্পীর সংখ্যায় অন্যান্য বহু দেশের থেকে বেশি। কাঁথি মহকুমায় ৭০০র উপর ছোট-বড় কাজুর কারখানা আছে। কারখানার মালিকদের যেমন ঐক্যবদ্ধ ব্যবসা পরিচালন সংগঠন আ্ছে, তেমনই হস্তশিল্পীদের ও শিল্পের জন্য কয়েকটি জনহিতকর সংগঠন আছে। যেমন ‘বাংলার হস্তশিল্প’ পোর্টালও তাদের ক্ষুদ্র সামর্থ্যে কাজ শুরু করেছে কাঁথির কাজু চাষি ও ব্যবসায়ীদের সাথে। সঙ্গে আছে সরকারী/ প্রশাসনিক সহযোগিতা ও স্থানীয় মানুষদের ভালোবাসা।