আল্লাহ পাক আমাদেরকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন
@MashwaraOfficial9 ай бұрын
বিষয়ঃ কুরআনিক বয়ানে সীরাত (ﷺ) [সংক্ষিপ্ত নোট] আলোচকঃ শাইখুনা Harun Izhar হাফিযাহুল্লাহ আয়োজনঃ আল্ কুরআনের দারস - Al Quraner Dars بِسۡمِ ٱللَّهِ ٱلرَّحۡمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ ১) সীরাত পড়ি আমরা মূলত কিতাবুস সালাফ, কিতাবুল খালাফ থেকে। উদাহরণস্বরূপ, মুয়াত্তা ইমাম মালিক রহ. বইটি কিতাবুস সালাফের অন্তর্ভুক্ত। ২) বর্তমানে আর রাহীকুল মাখতুম, রেইন্ড্রপ্স সীরাহ (২ খন্ড) - দাঈ ভাইদের জন্যে জরুরি কিতাব সীরাত পড়া ও শিক্ষালাভের জন্যে। ৩) পায়গামে মুহাম্মাদী ﷺ - সুলাইমান নদভী রহ. - ঐতিহাসিক ও দার্শনিক জাতীয় কিতাব। একজন নাস্তিককে এই বই পড়তে দিলে আল্লাহ চাহেন তো সে আস্তিক হতে বাধ্য। ৪) সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া ﷺ - প্রাথমিক কিতাব সীরাত জানার জন্যে। বাসায় প্রাথমিক তালিমের উপযোগী। ৫) কিন্তু, সীরাতের সবচেয়ে বড় কিতাব হলো - কুরআনুল কারীম, রাসূলের (ﷺ) জীবনী থেকে শিক্ষা নিতে হলে সর্বপ্রথম কুরআনের নিকট ফিরে আসতে হবে। ৬) সীরাতের ২য় সেরা কিতাব - বুখারী শরীফ। কিন্তু দু:খজনকভাবে, বুখারী শরীফ আজ শুধু ইখতেলাফী মাসআলা নিয়ে দ্বন্দ্বের কাজে ব্যবহার হয় কিন্তু সীরাতের সবচেয়ে বিশুদ্ধ গ্রন্থ হিসেবে পড়া উচিত ছিল এটি আমাদের। ৭) একবার অন্তত কমপক্ষে সহীহ বুখারী সম্পূর্ণ পড়া উচিত সীরাত জানার উদ্দেশ্যে। আধ্যাত্মিক এক কিতাব সহীহ বুখারী। ৮) সীরাত সংক্রান্ত যে কিতাবগুলো আমরা পড়ি সেগুলো মূলত সীরাতের ৩য় স্তরের কিতাব। ৯) সূরা আল ক্বলাম, ত্বহা, ইয়াসীন, আদ-দুহা, আশ-শারহ, কাওসার সহ অসংখ্য সূরায় সীরাতের কথা এসেছে, শিক্ষা এসেছে। ১০) ধীরে ধীরে যা নির্মাণ হয় তার ভিত্তি মজবুত হয়। তাই আমাদের ধীরে ধীরে নিজেদেরকে কুরআনের দাঈ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ১১) কুরআন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সীরাত সম্পর্কে মূল যে কথাটি বলে - তা নবীজির (ﷺ) ৪টি কাজ নিয়ে - সূরা জুমুআহ আয়াত নং ০২ এর তাফসীর পড়লে আমরা বুঝে যাব। ১২) কুরআন তিলাওয়াত অন্যকেও শুনাতে হবে, যেন তার মাঝেও আয়াতের প্রভাব পড়ে। ১৩) তাহাজ্জুদ এমন ভাবে পড়তে হবে যেন আশেপাশের মানুষ তাহাজ্জুদ পড়ার লোভ সামলাতে না পেরে নিজেরাও তাহাজ্জুদ পড়া শুরু করে দেয়। তবে এতে যেন রিয়া/লৌকিকতা না প্রবেশ করে। ১৪) কুরআন তার নবীকে প্রকাশ করে উচ্চস্থানে মর্যাদাবান হিসেবে। সাধারণও বানানো হয়নি যে বাকি ১০ জনের মতো আমাদের রাসূলুল্লাহ (ﷺ)। ১৫) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কোন সুপার ন্যাচারাল শক্তি ছিলনা। সূরা কাহাফ আয়াত ১১০ এ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ব্যাপারে কথা এসেছে। বাশার শব্দ ব্যবহার দ্বারা হেয় করা হয়নি। বরঞ্চ বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। ১৬) অন্যান্য ধর্ম তার ধর্মবাহককে খোদার জায়গায় নিয়েছে কিন্তু কুরআন নেয়নি। রাসূলের (ﷺ) মানবিকতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যেন যে দ্বীন দেওয়া হয়েছে তা সকল মানুষের জন্যেই গ্রহণীয় হয়। যেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অনুসরণীয় অনুকরনীয় হয়। ১৭) অলৌকিকতাই সত্যের মাপকাঠি না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অলৌকিক ঘটনাগুলো রিসালাতের সহায়ক ছিল, মাপকাঠি না। ১৮) বাস্তবতা হচ্ছে, এক মানবই অন্য মানবকে অনুসরণ করবে। এজন্যেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের মাঝে থেকে দেখিয়ে গিয়েছেন কীভাবে সব করতে হবে। আমাদের দ্বীন পালন না করার কোন যৌক্তিক অজুহাত নেই। বাস্তব মূল্যায়নের জন্যেই নবীজির মানবিকতাকে তুলে ধরা হয়েছে কুরআনুল কারীমে…