Рет қаралды 372
#news_bangla
সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু মেঘনা নদীর উপর অবস্থিত। সেতুটির নির্মাণকাজ ১৯৯৯ সালে শুরু হয় ও ২০০২ সালে সম্পন্ন হয়। সেতু নির্মাণে ৬৩৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়। প্রথমে এই সেতুর নাম বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য মৈত্রী সেতু রাখা হয়, পরে ২০১০ সালে এর নাম পরিবর্তন করে জাতীয় চার নেতার অন্যতম সৈয়দ নজরুল ইসলামের নামে নামকরণ করা হয়।
প্রধান সেতুটির দৈর্ঘ্য ১.২ কিলোমিটার ও প্রস্থ ১৯.৬০ মিটার। এতে সাতটি ১১০ মিটার স্প্যান এবং দুটি ৭৯.৫ মিটার স্প্যান রয়েছে। এটি একটি টোল সেতু, সেতু কর্তৃপক্ষ পারাপার হওয়া যানবাহন থেকে টোল সংগ্রহ করে।
প্রথম রেল সেতু ১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ সরকারের অর্থায়নে প্রথম সেতুটির নির্মান কাজ শুরু হয় এবং ১৯৩৭ সালে শেষ হয়।সেতুটির উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন বাংলার প্রধানমন্ত্রী আবুল কাশেম ফজলুল হক। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকারের রাজা ষষ্ঠ জর্জের নামানুসারে এই সেতুর নাম 'কিং জর্জ ষষ্ঠ সেতুু' রাখা হয়।
১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় সেতুটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে সেতুটি পুনঃনির্মান করা হয়। পুনঃনির্মান শেষে ১৯৭৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দেশটির তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান সেতুটি উদ্বোধন করেন। তখন সেতুটি নাম তার নামেই করার কথা ছিলো, তবে তিনি সেতু উদ্বোধন করতে গিয়ে জানতে পারলেন, এখানে যুদ্ধ চলাকালীন এক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়েছেন যার নাম হাবিলদার আবদুল হালিম। তিনি সাথে সাথে সিদ্ধান্ত পাল্টে সেতুটির নামকরণ করেন ‘শহীদ আবদুল হালিম রেলওয়ে সেতু’। এ সেতুটি ৯১৪ মিটার দীর্ঘ। এতে শুধুমাত্র মিটার-গেজ ট্র্যাক রয়েছে।
ভৈরব দ্বিতীয় রেল সেতু ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবল লাইনের অংশ হিসেবে দ্বিতীয় ভৈরব রেল সেতুর নির্মাণ শুরু হয়। ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ও এফকন্স যৌথভাবে বর্তমান ভৈরব প্রথম রেলওয়ে সেতুর ৪০ মিটার দক্ষিণ প্রান্তে আরও একটি রেল সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে।
২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর সেতুটি উদ্বোধন করা হয়। ৫৬৭ কোটি ১৬ লাখ ৬২০ কোটি বাংলাদেশী টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত। অর্থের জোগান এসেছে ভারতীয় ঋণ সহায়তা (এলওসি ফান্ড) থেকে। এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও ভারতীয়। ইরকন-এফকনস জেভি নামে একটি কোম্পানি সেতুটি নির্মাণ করছে। সেতুটি ইস্পাতের তৈরি। এতে মোট ১২টি পিলার ও ৯টি স্প্যান রয়েছে। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১০০ মিটার, ভর ৮০০ টন। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯৮৪ মিটার১.০২ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৭ মিটার। এতে মিটার-গেজ ও ইন্ডিয়ান-গেজ মিলে ডুয়েল-গেজ ট্র্যাক রয়েছে। সেতুটি বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের নামে নামকরণ করা হয়েছে।