ঈমানের আরকান আহকাম আলেমদের মত অনুযায়ী বিভিন্ন রকম হয়, এটা ৬,৯ টি হয় বা ৩,৬ বা ৩,৯ টি হয়। যাই হোক এগুলি বিভিন্ন আলেমের মত। বিশ্বাসকেই আমরা ইমান বলে জানি এবং বুঝি। এই বিশ্বাস তথা ইমানের প্রকারভেদ কোরানেই পাই : ১)এলমুল ইয়াকিন, ২)আইনুল ইয়াকিন এবং ৩)হাক্কুল ইয়াকিন। ইমানের প্রথম সিঁড়ি তথা ধাপ তথা সোপানকে বলা হয় এলমুল ইয়াকিন। আল্লাহ, ফেরেশতা, কেতাব, নবী, রসুল এবং অদৃশে ̈র উপরেও অদৃশ ̈ বিষয় গুলোর উপর বিশ্বাস করাটাকেই বলা হয় এলমুল ইয়াকিন, তথা বিশ্বাসের প্রথম সিঁড়ি তথা ধাপ। যিনি বা যারা এই রকম বিষয় গুলোর উপর বিনাশর্তে মনেপ্রাণে বিশ্বাস স্থাপন করে বা করেছে তাদেরকে ইমানদার বলা হয়। কোরানের ভাষায় এদেরকেই বলা হয় আমানু। এই আমানুদের ইমানের ভিত্তি হালকা, দুর্বল এবং চলে যাওয়ার ভয় থাকে বলেই আল্লাহপাক এই রকম ইমানদারদের উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘হে ইমানদারেরা, তোমরা আবার আল্লাহতে ইমান আনো। ঈমানের আরকান আহকাম বলতে এলমুল ইয়াকিনকে বুজায়। অর্থাৎ আরকান হল ৬ টি (আল্লাহ, ফেরেশতা, কেতাব, নবী, রসুল এবং অদৃশে ̈র উপরেও অদৃশ ̈ বিষয় )আর আহকাম হল আরকানের অসংখ্য শাখা প্রশাখা আছে সে গুলিই হল আহকাম। এর পরের ইমানটি তথা বিশ্বাসটির নাম হল আইনুল ইয়াকিন, এবং এই ইমানটি গভীরতার প্রশ্নে দ্বিতীয় সিঁড়িতে অবস্থান করছে, যদিও এই ইমানটি প্রত্তক্ক বা চাক্ষুস জ্ঞানের ইমান। এই ইমানে রহস্যলোকের অনেক কিছু ধ্যানসাধনার মাধ্যমে দেখতে পাওয়া যায়। তাই ইমানটি ধ্যানসাধনার আওতায় আসে। তার পরের ইমানটির নাম হল হাক্কুল ইয়াকিন, এবং এই ইমানও একটানা ধ্যানসাধনার মাধ্যমে অর্জন করা যায়। এই হাক্কুল ইয়াকিনে এসেই পরমাত্মার প্রতক্ষ প্রকাশটি দেখা যায়। তাই এই ইমানই হল বিশ্বাসের চরম তথা চূড়ান্ত পর্যায়। এখান থেকেই তৌহিদ এবং মিলনের শুরু হয়। এই ইমানের বলয়ে যখন সাধক ধ্যানসাধনার মাধমে অবস্থান করেন, তখন পরমাত্মার চাক্ষুষ জ্ঞান প্রাপ্ত হয় এবং পরমাত্মার মধে ̈ জীবাত্মা ফানা হয়ে যায়, অনেকটা পানিতে চিনি মেশানোর মত। চিনি পানিতে মিশে যায় সত্য ̈, কিন্তু পানি পানিই এবং চিনি চিনিই। জীবাত্মা পরমাত্মার সঙ্গে মিশে যায় বটে, তথা ফানা হয়ে যায় বটে, কিন্তু হাকিকতে জীবাত্মা জীবাত্মাই, এবং পরমাত্মার পরমাত্মারই। মিশে যাওয়ার রূপটিও দেখছি, আবার উভয়ের অবস্থানের পার্থক ̈টি ও ফেরত পাই। এই অহাবিরা বা আহলে হাদিসরা বা অন্য ফেরকারা ইলমুল ইয়াকিন নিয়ে লাফালাফি করে, পরের দুটি ঈমান পর্যন্ত যেতে পারে না বা জানে না বা জেনে ও না জানার ভান করে। পরের দুটি ঈমান বিশেষ করে ৩য়টি হাসিল করতে হলে তাকে দুনিয়াবি সব কিছু ত্যাগ করে হবে, তাকে সত্যিকারের ফকির হতে হবে, ভিতরে কোন অহংকার থাকবে না, আর এগুলি করা এত সহজ নয়। এগুলি যারা হাসিল করতে পেরেছে তারাই আল্লাহর অলি হয়েছে, তারাই মরার আগে মরেছে, তাদের আর মরণ নাই, তারা জীবিত (কুরান অনুযায়ী), তারাই মুমিন, তাদের আর ঈমান হারানোর ভয় নাই, তারাই আল্লাহর গুনে গুণান্বিত, আল্লাহ তাদের হাত হয়ে যায়, মুখ হয়ে যায়, তারা যা বলে আল্লাহ তাই বলে (কুরান অনুযায়ী)। এজন্যই আমরা লাখ কুটিতে একজন আল্লাহর অলি দেখতে পাই।
@IsmailHossain-fb3zz5 жыл бұрын
Vai akjon oli r nam bolun
@albasdirt4 жыл бұрын
এইটা কোন ধর্মের ভাই ? 🤔
@mdhabiburrahman37344 жыл бұрын
A.B.M. Zahirul Huq বলদ কোথাকার !!
@nehajmondal61784 жыл бұрын
জাহিরুল হক তাহলে আপনার কথা মতো আল্লাহর রাসূল সাঃ সাহাবায়ে কেরামেরা কেউই এ পর্যায়ে ছিলেন না, নাউজুবিল্লাহ
@mirjamohammad17592 жыл бұрын
Esob fakir der firisti Eder sathe Islam er kono samporko nei
@shaikhferdous3835 жыл бұрын
ভাই আপনির নামটা দিন please শেখ
@mukterhussain71893 жыл бұрын
ইমানেৰ ৭ ফৰজ কি কি বলবেন
@amazbiswas8595 ай бұрын
iman er 7 forj na 6 forj (6-rokonke bojha) amntubillahi-oua malakithi-ou...........
@mahfuza718 Жыл бұрын
শেখ আমি চতুর্থ নাম্বার ঈমানের বিষয়ে একটু ভালোভাবে জানতে চাচ্ছি আপনি বললেন যদি গুনাহের কাজ করে তাহলে আর ঈমান থাকে না তবে বুখারীর ভিতরে একটা হাদীস বর্ণিত আছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বলেছেন একবার কালিমা সাক্ষ্য দিয়েছে স্বীকার করেছে জান্নাতে প্রবেশ করবে জনক সাহাবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে বললেন হে আল্লাহর রাসূল যদি সে চুরি করে যেনা করে তবুও জান্নাতে যাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বললেন তবুও সে জান্নাতে যাবে এই হাদিসটা বেশ খানিকটা অংশ রয়েছে সেটা হয়তো আপনি জানেন আমার প্রশ্ন হল হলে এই জায়গায় কিভাবে ঈমান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মন নষ্ট হয় সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে এটা তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলে দিয়েছেন বিষয়টা একটু ভালোভাবে বুঝিয়ে বলবেন এসএমএসে আরো বিস্তারিত বলা সম্ভব হলো না আপনি সংক্ষিপ্ত আলোচনা বুঝিয়ে বলতে পারবেন বলে আমি আশা করি
@tacnogamer6883 Жыл бұрын
মনে হয়, ভয় আপনিও একটু পেয়েছেন। কেননা তাগুত কি তাতো বললেন না।