Рет қаралды 497,132
প্রথমে ১১ বার দরূদ শরীফ পাঠ সহ সূরা ফাতিহা সম্পূর্ণ।
তেত্রিশ আয়াত হচ্ছে-
সূরা বাক্বারা: ১-৫
সূরা বাক্বারা: ২৫৫-২৫৭
সূরা বাক্বারা: ২৮৪-২৮৬
সূরা আ‘রাফ: ৫৪-৫৬
সূরা ইসরা: ১১০-১১১
সূরা সাফফাত: ১-১১
সূরা আর রাহমান: ৩৩-৩৫
সূরা হাশর: ২১-২৪
সূরা জিন: ১-৪
সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস এবং সবশেষে ১১ বার দরূদ শরীফ পাঠ করে শেষ হবে।
মহাগ্রন্থ আল কুরআনুল কারীমের ৩৩ আয়াত সম্পর্কে হাদিসে কি বলা হয়েছে সে সম্পর্কে একটু জেনে নেই।
ইবনে সীরীন বলেন, আমি এই হাদীস সম্পর্কে শুআইব ইবনে হারবকে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন, আমরা এটাকে ‘আয়াতুল হিরয’ বলি। বলা হয়, এতে একশত অসুখ থেকে মুক্তি রয়েছে। এরপর তিনি এগুলোর মধ্যে পাগলামী, কোষ্ঠরোগ ইত্যদির কথা উল্লেখ করলেন।
মুহাম্মদ বিন আলী বলেন, আমাদের এক শায়খের অর্ধাঙ্গ হলে আমি তা পাঠ করলাম। আল্লাহ তাআলা এর উসিলায় তার রোগ দূর করে দিলেন। (যাইলু তরিখি বাগদাদ, ইবনে নাজ্জার,: ৩/২৫৩-২৫৫ আদ দুররুল মানছুর, সুয়ুতী: ১/১৫০-১৫২)
উপরে হযরত ইবনে উমরা. থেকে যে হাদীস বর্ণিত হয়েছে সনদের বিচারে হাদীসটি দুর্বল। তবে ফযীলত বর্ণনার ক্ষেত্রে যেহেতু মুহাদ্দিসীনে কেরামের দিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিছু শর্ত সাপেক্ষে দুর্বল হাদীস গ্রহণযোগ্য। তাই উক্ত হাদীসের উপর আমল করতে কোনো অসুবিধা নেই।
৩৩ আয়াত বা আয়াতুল হিরয অথবা আয়াতুল হারব এর ফযীলত সম্পর্কে এতটুই পাওয়া যায়।
এছাড়া অভিজ্ঞতার আলোকেও এর অনেক উপকারিতা প্রত্যক্ষ করা গেছে। যেমন আমালে কোরআনী গ্রন্থে আছে এগুলো যথারীত পাঠ করলে যাদু-টুনা, ভূত, দেও-দানব, চুর-ডাকাত, এবং সকল প্রকার আপদ-বিপদ দূর হয়। তাছাড়া এই ৩৩ আয়াতের মধ্যে আয়াতুল কুরসীও রয়েছে। রাতে শয়তানের আক্রমন থেকে বাঁচার জন্য নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা পাঠ করার কথা বলেছেন, যা সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। সুতরাং শয়তান, জিন, যাদু-টুনা ইত্যাদি থেকে রক্ষার জন্য এটি পড়তে কোন অসুবিধা নেই।
এখানে কূফী গণনা অনুযায়ী সর্বমমোট ৩৮ টি আয়াত উল্লেখ করা হয়েছে। ৩৩ আয়াত বলতে এগুলোই বুঝায়। ৩৮ আয়াতকে ৩৩আয়াত বলার কারণ আয়াত সংখ্যার মধ্যে মতানৈক্য। হয়তো অন্য কোনো গণনা অনুযায়ী সর্বমোট ৩৩ আয়াত হয়, তাই ৩৩ আয়াত হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। বিষয়টি তাহক্বীকের প্রয়োজন। ইনশাঅল্লাহ কোনো সুযোগে দেখার চেষ্টা করবো। যদিও এগুলোর শুরুতে সূরা ফাতেহা এবং শেষে চারকুল (কাফিরুন, ইখলাস, ফালাক্ব, নাস) পড়া ৩৩ আয়াতের অন্তর্ভুক্ত নয় তথাপি শাহ ওয়ালী উল্লাহর. এগুলো মিলিয়ে পড়তে পছন্দ করতেন যেমনটি 'শিফাউল আলীল' গ্রন্থে রয়েছে। তাই এগুলোো পড়ে নেয়া ভাল। কেননা হাদীস শরীফে এগুলোরও অনেক ফযীলত বর্ণিত হয়েছে।
ইবনে নাজ্জার রহ. 'যাইলু তরিখি বাগদাদ' গ্রন্থে (৩/২৫৩-২৫৫) বর্ণনা করেছেন যে, ইবনে সিরীন রহ. বলেছেন, আমরা ‘নাহরে তাইরী’তে অবতরণ করলাম। সেখানকার লোকেরা আমাদেরকে বলল, তোমরা চলে যাও কেননা এখানে যারাই অবস্থান করেছে তাদের মাল ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। আমার সকল সাথী চলে গেল। কিন্তু আমি হযরত ইবনে উমর রা. এর সূত্রে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হাদীসটির কারণে থেকে গেলাম। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি রাতের বেলা ৩৩ আয়াত পড়বে তাকে কোনো হিংস্র জন্তু অথবা আগন্তুক চোর ক্ষতি করতে পারবে না। আর সকাল পর্যন্ত তাকে এবং তার পরিবার-পরিজন এবং তার মালকে রক্ষা করা হবে। রাতের বেলা আমি ঘুমালাম না। আমি দেখতে পেলাম, তারা ৩০ বারেরও বেশি তলোয়ার খাপমুক্ত করে এসেছে কিন্তু আমার কাছে পৌঁছতে পারে নি। সকালবেলা আমি চলতে শুরু করলাম, তখন তাদের এক সর্দার আমার সাথে সাক্ষাৎ করে বলল, তুমি মানুষ না জিন। আমি বললাম মানুষ। সে বলল আমরা সত্তরবারের বেশি তোমার কাছে আসলাম, যখনই এসেছি তোমার এবং আমাদের মাঝে লোহার একটি দেয়াল বাধা হয়ে দাড়িয়ছে। আমি তাকে উপরোক্ত হাদীসটি শুনালাম।
যে ব্যক্তি এই ৩৩ আয়াত ভক্তির সাথে পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার সকল নেক মকসুদ পূর্ণ করে দিবেন এবং সে নিরাপদে কালযাপন করবে। সে সব সময় আল্লাহ তায়ালার রহমতের মধ্যে থাকতে পারবে।
মহান আল্লাহ তাআলা মহা গ্রন্থ আল কুরআনের এই ৩৩ আয়াত আমাদের বেশি বেশি শুনার এবং পড়ার এবং আমল করার তৌফিক দান করুন। আমিন।
ভিডিওর কপিরাইট অন্যের তাই ইউটিউব থেকে ডাউনলোড করা যায় না তবে কেউ যদি ডাউনলোড করতে চান তাহলে নিচের দেওয়া লিংক থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।
drive.google.c...