Рет қаралды 20,713
শিলং-চেরাপুঞ্জি সেজেছে উঁচু পাহাড়, ঝরনা আর সবুজ প্রকৃতির অপরূপ মেলবন্ধনে। এটি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের একটি রাজ্য। সেখানে রোদ, বৃষ্টি ও মেঘের সঙ্গে মিশে যেতে পারেন অনায়াসে। আকাশের ঘন নীলের ফাঁকে উড়ে বেড়ায় সাদা মেঘের ভেলা। সিলেটের তামাবিল বর্ডার পেরোলেই মেঘালয় রাজ্য।
▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬▬
Disclaimer:
Don't Download & Copy Anything From This Channel. Its a Cyber Crime. All Videos of this Channel is Copyrighted by Md. Shahriar
___________________________________________
For Invitation & sponsorship contact
📧 sponsorshahriarofficial@gmail.com
Get connected with me 🙂
Facebook
/ shahriartraveler
Travel Group
/ 476923664249168
Instagram
/ sajonshahriar
✅ Make Sure you subscribe to my channel & press the bell icon to get the notifications of my New videos 🔥
_________________________________________________
আপনার যদি সিলেট ভ্রমণ শেষ হয়ে থাকে, তাহলে প্রস্তুতি নিয়ে চলে যেতে পারেন সেখানে। সবচেয়ে ভালো হয় চারজন সঙ্গী হলে। শিলং-চেরাপুঞ্জি মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী। বাংলাদেশের তামাবিল সীমান্ত থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৬৫ কিলোমিটার। পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত শিলংয়ের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার ফুট। পাহাড়, পাহাড়ি ঝরনা, আর পাহাড়ি লেক মিলে শিলং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। এছাড়া খাসিয়া ও স্থানীয়দের জীবনযাপন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য শিলংকে দিয়েছে বাড়তি রূপ। শিলংকে একসময় প্রাচ্যের স্কটল্যান্ড বলা হতো। সে কারণে একসময় বিলেত থেকে প্রচুর পর্যটক শিলংয়ে অবকাশ যাপন করতে আসতেন।
শিলং-চেরাপুঞ্জিতে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। প্রথমেই আসতে পারেন ওয়ার্ড লেক। এই লেকের চারপাশে আছে নানা প্রজাতির ফুলসহ গাছগাছালি। চাইলে লেকে নৌকায় বেড়ানো যাবে। পা-চালিত নৌকা ভাড়া নেয়া যাবে ঘণ্টা হিসেবে। লেডি হায়দারি নামে শহরের মাঝখানে আরও একটি পার্ক আছে। নানা প্রজাতির উদ্ভিদ দিয়ে সাজানো এই পার্কটিও সুন্দর। হেরিটেজ, উইলিয়ামসন, ডনভসকো নামে জাদুঘর আছে। এছাড়া বিমানবাহিনীরও জাদুঘর আছে। সময় থাকলে জাদুঘরগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। শিলং শহরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত দুটি বাড়ি এখনও আছে। এছাড়া শিলং শহরের মধ্যেই আছে মদিনা মসজিদ। নান্দনিক নির্মাণশৈলীর এই মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন। এটি এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় মসজিদ।
শিলং শহর থেকে একটু বের হলেই আছে বিশপ অ্যান্ড ব্যাডন ঝরনার ভিউ পয়েন্টে। এই পয়েন্ট থেকে দূরে পাহাড় দেখা যায়, আর সেই পাহাড়ের মাঝ দিয়েই ঝরনার পানি পড়ছে। আর ওই পাহাড়ের চূড়াতেই গড়ে উঠেছে শহর। দূর থেকে অপরূপ দেখতে! শিলং শহর থেকে কিছুটা দূরেই আছে উমিয়ামবরা পানিলেক। সবুজ পাহাড়ে ঘেরা এই লেক ওপর থেকে দেখতে দারুণ। এই লেক ঘিরে মেঘালয় ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন লিমিটেড গড়ে তুলেছে ওয়াটার স্পোর্টস কমপ্লেক্স। নানা প্রজাতির ফুলগাছ দিয়ে সাজানো এটি। শিশুদের জন্য আছে খেলাধুলার ব্যবস্থা। অর্চিড নামে রিসোর্টও আছে। সব মিলিয়ে অবকাশ যাপনের জন্য এ কমপ্লেক্স নানাভাবে সাজানো।
শিলং পিকটি শিলং শহরের কাছেই। এই পিক থেকে পাখির চোখে দেখা যায় শিলং শহর। এখান থেকে কিছুটা দূরেই রয়েছে এলিফ্যান্ট ফলস বা হাতি ঝরনা। এই ঝরনার পানি প্রবাহিত হয় তিনটি স্তরে। দূর থেকে দেখতে অনেকটা হাতির শুঁড়ের মতো বাঁকানো মনে হয়। সে জন্যই হয়তো এর নাম হাতি ঝরনা। এসব ছাড়াও শিলং শহর ও এর আশপাশে বেড়াতে পারেন। এখানকার সবকিছুই ভালোলাগার মতো।
শিলং থেকে চেরাপুঞ্জির উদ্দেশে রওনা হলে প্রথমেই পড়বে মকডক সেতু। দুই পাহাড়ের মাঝে ঝুলন্ত এ সেতু। আর চারপাশে উঁচু-উঁচু সবুজ পাহাড়। সে পাহাড়ের মাথায় সাদা মেঘ উড়ছে। যেন ইচ্ছে হলেই সে মেঘ ধরা যায়। দৃশ্যগুলো সত্যিই চোখ জুড়ানোর মতো! তারপর আসতে পারেন মজমাইনং থাইমা ইকো-পার্কে। ২০০৪ সালে উদ্বোধন হয় পার্কটি। পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এ পার্কটি মূলত সেভেন সিস্টার ঝরনারই পাহাড়। পাহাড়ের মাঝ দিয়েই সেভেন সিস্টার ঝরনার পানি গড়িয়ে নিচে পড়ছে। সেজন্য এ ঝরনা দেখতে হয় অন্য পাহাড় থেকে। তবে পার্কের কোনায় দাঁড়িয়ে আশপাশের পাহাড়, পাহাড়ের গায়ে লেগে থাকা তুলোর মতো সাদা মেঘ, আর নিচে দুই পাহাড়ের মাঝের ভাঁজ দেখতে অন্য রকম।
সবচেয়ে ভয়ংকর মজমাই গুহা। প্রায় গোলাকার আঁকাবাঁকা পাহাড়ি এ গুহাটির দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। গুহাটির কোথাও চিকন, কোথাও মোটা।
অ্যাডভেঞ্চারময় এই গুহার এক মুখ দিয়ে প্রবেশ করে বের হতে হয় অন্য মুখ দিয়ে। গুহার পরেই আছে সেভেন সিস্টার ঝরনার ভিউ পয়েন্ট। এখানে দাঁড়িয়ে দেখা যায় সাত ঝরনা। এক পাহাড়ে পাশাপাশি সাত ঝরনা সত্যিই দারুণ! এর চারপাশের সবুজ পাহাড় আর সাদা মেঘের মেলবন্ধন যেন মায়াময় দ্বীপেরই হাতছানি দেয়।
সেভেন সিস্টারের পর দেখতে পারেন টপভিউ। ভিউতে দাঁড়িয়ে দূর থেকে বাংলাদেশ দেখা যায়। এখানে একটি খাঁড়া পাহাড় আছে, যা অন্য পাহাড়গুলো থেকে আলাদা। এরপর থ্যাংখ্যারং পার্কেও বেড়িয়ে আসতে পারেন। বন বিভাগের এই পার্কে নানা প্রজাতির উদ্ভিদ আছে। এখান থেকেও বাংলাদেশ দেখার সুযোগ রয়েছে। এ পার্ক থেকেও দূরে একটি ঝরনা দেখা যায়।
শিলং-চেরাপুঞ্জির অন্যতম দর্শনীয় স্থান হলো নোহকালিকাই ঝরনা। ১১৭০ ফুট উচ্চতার এ ঝরনা ভারতের বৃহত্তম ঝরনাগুলোর অন্যতম। খাঁড়া পাহাড় থেকে সোজাসুজি পড়ছে এ ঝরনার পানি। তাই পানি পড়ার স্থানটি দেখতে নীল রঙের পুকুরের মতো।
তামাবিল বর্ডার পার হলেই ডাউকি। ডাউকির আশপাশটায় আছে চমৎকার সব দর্শনীয় স্থান। এর অন্যতম ডাউকি ব্রিজ। এটি দেখার পাশাপাশি ডাউকি নদীতে নৌকায় ভ্রমণও করা যাবে। পাহাড়ের মাঝ দিয়ে চলা এ নদীর পানি স্বচ্ছ কাচের মতো। বোরহিল ঝরনা এ অঞ্চলের আরেকটি দর্শনীয় স্থান।
#meghalaya
#cherrapunjitouristplaces
#BestWaterfallsofCherrapunji
#shahriarofficial