Рет қаралды 3,551
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট ব্লকের কাছেই আছে এক গ্রাম যার নাম ক্ষীরগ্রাম। যেখানে আছে যোগাদ্যা নামে বাংলার এক লৌকিক দেবতা ও ৫১ সতী পীঠের এক পীঠ। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী দক্ষযজ্ঞে সতী দেহত্যাগ করলে মহাদেব মৃতদেহ স্কন্ধে নিয়ে উন্মত্ত হয়ে নৃত্য করতে থাকেন, বিষ্ণু সেই দেহ তাঁর চক্রদ্বারা ছেদন করেন ৷ সতীর মৃতদেহের খন্ডাংশ গুলি একান্নটি স্থানে পতিত হয় ৷ সেই থেকে এই একান্নটি স্থান দেবীর পীঠস্থান নামে পরিচিত। ক্ষীরগ্রামও এক সতীপীঠ, দেবীর ডান পায়ের বুড়ো আঙুল।দেবী সতী রুপে পূজিত প্রাচীন যোগাদ্যা মূর্তিটি একসময় কোনও ভাবে হারিয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে বর্ধমানের মহারাজা কীর্তি চন্দ এই গ্রামে দেবী যোগাদ্যার একটি মন্দির নির্মাণ করান। এবং সম্ভবত তারই আদেশে হারিয়ে যাওয়া মূর্তিটির অনুকরণে একটি দশভুজা মহিষমর্দিনী মূর্তি তৈরি করেন দাঁইহাটের প্রস্তর শিল্পী নবীনচন্দ্র ভাস্কর। নতুন তৈরি হওয়া মূর্তিটি অবশ্য বছরের অন্যান্য সময়ে ডুবিয়ে রাখা হত ক্ষীরদিঘির জলেই। কিন্তু এরই মধ্যে হঠাৎই ঘটে যায় এক কাণ্ড। ক্ষীরদিঘি সংস্কারের সময় হঠাতই পাওয়া যায় ‘হারিয়ে যাওয়া’ পুরনো সেই যোগাদ্যা মূর্তিটি। মূর্তি ফেরত পাওয়ার আনন্দে আশপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের সাহায্যে গ্রামের মানুষ গড়ে তোলেন সম্পূর্ণ আলাদা একটি মন্দির। সেই মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হন ফিরে পাওয়া সেই প্রাচীন দেবী-মূর্তি। ফলে বহিরাগতরা এখন গ্রামে গেলেই দর্শন পান দেবীর। তবে সংক্রান্তিতে দুই মন্দিরেই চলে দেবীর আরাধনা।
বন্ধুরা , যদি ভিডিও ভালো লাগে তাহলে লাইক কমেন্ট, সেয়ার ও সাবস্ক্রাইব করে চ্যানলের সঙ্গে থাকবেন এই আশা রাখি ।
ব্যক্তিগত মতামত ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য নিচের মেইল আইডি তে মেইল করুন। manasbangla9@gmail.com
Stay Connected with me on Social Network :
Twitter : / manasbangla
Facebook : / manasbangla
Instagram : / manasbangla
সতীপীঠ যোগাদ্যা বা যুগাদ্যা মন্দিরের ইতিহাস
বর্ধমানের দর্শনীয় স্থান
৫১ সতীপিঠের কাহিনী
দক্ষযজ্ঞের কাহিনী
পবিত্র কুন্ডের জল
বর্ধমানের প্রাচীন মেলা উৎসব
বর্ধমানের রাজ পরিবার ও নবীনচন্দ্রে কাহিনী
#manasbangla #barddhaman #Jogadyatemple