Рет қаралды 1,767,805
একজন বাংলাদেশী জীবন্ত কিংবদন্তী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী শাবানা: (আফরোজা সুলতানা রত্না, মঞ্চ নাম "শাবানা" হিসাবেই সারাদেশ জুড়ে জনপ্রিয়) জন্ম ১৫ জুন ১৯৫২ ।
শাবানার জীবন অনেকটা চলচ্চিত্রের গল্পের মতই। তার বাবার নাম ফয়েজ চৌধুরী, মায়ের নাম ফজিলাতুন্নেসা। বাবা ফয়েজ চৌধুরী পেশায় টাইপিস্ট ছিলেন বলে জানা যায়, আর্থিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য তিনি পেশা পরিবর্তন করে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন বলে শোনা যায়। ফয়েজ চৌধুরী তার মেয়েকে নিয়ে এফডিসিতে আসতেন। ১৯৬২ সালে মাত্র নয় বছর বয়সে শাবানা ‘নতুন সুর’ নামের চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। ১৯৬৩ সালে তালাশ সিনেমার একটি নাচের দৃশ্যে অভিনয় করেন। এর পরে বিভিন্ন ছবিতে অতিরিক্ত শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। ‘আবার বনবাসে রূপবান’ এবং ‘ডাক বাবু’ চলচ্চিত্রে তিনি সহনায়িকার চরিত্রেও অভিনয় করেন। ১৯৬৭ সালে এহতেশাম পরিচালিত ‘চকোরী’ চলচ্চিত্রে চিত্রনায়ক নাদিমের বিপরীতে রত্না থেকে নাম পাল্টে শাবানা হয়ে প্রথম নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেন। চকোরী দারুন ব্যবসা সফল ছবি হ্ওয়ায় শাবানাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। সে সময় অনেকগুলো উর্দু ছবিতে অভিনয় করেন শাবানা। অবুঝ মন এবং মধু মিলন এই দুটো ছবিতে অভিনয় করার মাধ্যমে তিনি রাজ্জাকের জুটি বাধেন এবং একের পর এক জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়ে যান। সেসময় নায়ক আলমগীর,ফারুক,জসিম,ওয়াসিম সহ প্রায় অধিকাংশ নায়কের সাথে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে প্রচুর ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। একই সময়ে তিনি তার বাবার সাথে মিলে চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থা গড়ে তোলেন। এই প্রযোজনা সংস্থা থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম ‘মুক্তি’ যার পরিচালক ছিলেন শাবানার বাবা ফয়েজ চৌধুরী।
১৯৭৩ সালে সরকারী কর্মকর্তা ওয়াহিদ সাদিকের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন শাবানা। শাবানার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এস এস প্রোডাকশন দেখাশোনার দায়িত্ব নেন ওয়াহিদ সাদিক। শাবানা-সাদিকের সংসারে তিনটি সন্তান - দুই মেয়ে সুমি এবং উর্মি এবং পুত নাহিন।
১৯৯৭ সালে শাবানা হঠাৎ চলচ্চিত্র থেকে বিদায়ের ঘোষনা দেন এবং নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া বন্ধ করে দেন। ২০০০ সালে শাবানা সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সিতে বসবাস শুরু করেন। জীবন যাত্রায় পরিবর্তন এনে তিনি ধার্মিক জীবন শুরু করেন। উল্লেখ্য, শাবানার স্বামী ওয়াহিদ সাদিকের বড় ভাই হলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মরহুম এ এস এইচ কে সাদেক। গ্রামের বাড়িতে ২০ শতক জায়গার উপরে ছাত্রনিবাসসহ একটি আধুনিক মাদ্রাসা নির্মানের কাজ শুরু করেছেন বলে শাবানা জানান। রাজনীতিতে আসবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি নেতিবাচক মতামত প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, স্বামী ওয়াহিদ সাদিক যদি রাজনীতিতে যোগ দেন, তবে সেক্ষেত্রে তার সমর্থন থাকবে। বেগম রোকেয়া চরিত্রে অভিনয় করা অভিনয় জীবনের শেষ ইচ্ছা ছিল এমনটি জানিয়েছিলেন শাবানা। সুভাষ দত্ত ছবিটি নির্মানের উদ্যোগ নিয়ে কিছুদূর এগিয়েছিলেন, ১৯৯৫ সালে মহরতও অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য মন্ত্রনালয় ছবিটি সমাপ্ত করার উদ্যোগ নিতে পারে - এমনটি জানিয়েছিলেন শাবানা সাংবাদিকদের সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে। শীর্ষস্থানে থাকতেই চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নিয়েছিলেন শাবানা। তার সমসাময়িক অভিনেত্রীরা অনেকেই এখনো অভিনয় করলেও তিনি রয়ে গেছেন লোকচক্ষুর অন্তরালে। কিন্তু যে শাবানাকে দর্শকরা স্থান দিয়েছে হৃদয়ে, দৃষ্টিসীমানার বাইরে গেলেই কি তাকে ভুলে থাকা যায়? শাবানা জীবন্ত কিংবদন্তী হয়েই দর্শকের হৃদয়ে থেকে যাবে অনন্তকাল। আমরা তার মঙ্গল, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি, আল্লাহ তার সহায় হোন আমীন।
#shabana
#nasrin
#film
• নাসরিনের নাটকের শুটিং।...
• নায়িকা শাবনূর এর গ্রা...
• Video
• ইলিয়াস কাঞ্চন কি বললে...
• নায়িকা রঞ্জিতার অজানা...
• #চলচ্চিত্র শিল্পী সমিত...
💞Thanks for watching this video.🌹