Рет қаралды 5,400
#biography
#viralvideo
#bangla
#nelsonmandela
#history
সময়টা ১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ প্রদেশের ট্রান্সকেই অঞ্চলের থেম্বু নামক এক রাজপরিবারে জন্ম নেয় রোলিহ্লাহলা ডালিভুঙ্গা নামে এক শিশু যার গোত্রীয় নাম ম্যান্ডেলা। পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে স্কুলে পড়াশোনা করার সুবাদে তাঁর স্কুলের এক শিক্ষিকা নাম দেন নেলসন। সেখান থেকেই তাঁর নামকরণ হয় নেলসন ম্যান্ডেলা। পরবর্তীতে তাঁর গোত্রের দেয়া ‘মাদিবা’ নামে সমগ্র দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনি অধিক পরিচিত হন।জন্মের পর থেকেই পাড়ি দিয়েছেন নানা বিপদযুক্ত পথ। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত করে গেছেন সত্য, ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের সংগ্রাম, দেখিয়েছেন মানব মুক্তির পথ। সভ্যতার আলোক শিখা জ্বেলে আফ্রিকার অন্ধকারাচ্ছন্ন কালো মানুষদেরকে মুক্ত করেছেন বর্বর শ্বেতাঙ্গদের বর্ণবাদের হাত থেকে। সাদা চামড়ার সৃষ্ট বর্ণবাদকে ভেঙে চুরমার করে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষষের মাঝে সৃষ্টি করেছেন সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের এক অপূর্ব দৃষ্টান্ত। এভাবে আফ্রিকার গণ্ডি পেড়িয়ে হয়ে উঠেছেন সমগ্র বিশ্বের মানবতাবাদী এক নেতা। বিশ্ব ইতিহাসে যে স্বল্পসংখ্যক মনীষী গেয়েছেন সাম্যের জয়গান তাঁদের মধ্যে অনন্য একটি নাম নেলসন ম্যান্ডেলা।তৎকালীন কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকানদের মধ্যে অধিকাংশই শাসক গোষ্ঠীর জন্য শ্রমিক হিসেবে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করতো। এদের মধ্যে খুব কমসংখ্যক কৃষ্ণাঙ্গ পড়াশুনা করার সুযোগ পেয়েছিল আর রাজবংশে জন্মাবার সুবাদে তাদের মধ্যে একজন হতে পেরেছিলেন ম্যান্ডেলা। রাজপ্রাসাদের কাছেই এক মিশনারী স্কুলে পড়াশুনায় হাতেখড়ি হয় তাঁর। এরপর আরও দু’টি স্কুলে পড়াশুনা শেষে ভর্তি হন ফোর্ট হেয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। মূলত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর থেকেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন মাদিবা১৯৬০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার শার্পেভিল শহরে প্রায় বিশ হাজার কৃষ্ণাঙ্গের এক শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায় পুলিশ যা শার্পেভিল গণহত্যা নামে পরিচিত। এ হামলায় ৬৯ জন নিহত এবং আহত হয় প্রায় ১৮০ জন। মুহূর্তমধ্যে ক্ষোভ, ঘৃণা, আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে। তৎকালীন বর্ণবাদী সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এএনসি । উক্ত ঘটনার নিমিত্তে ম্যান্ডেলা উপলব্ধি করেন অহিংস আন্দোলন নয়, সশস্ত্র বিপ্লবই ছিল সে সময়ের দাবী।
১৯৬১ সালে এএনসির সশস্ত্র সংগঠন ‘উমখোন্তো উই সিযওয়ে’ (বাংলায় “দেশের বল্লম”) প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর নেতৃত্ব প্রদান করেন নেলসন ম্যান্ডেলা। কিন্তু সশস্ত্র বিপ্লব সাধনের জন্য প্রয়োজন অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ যার কিছুই ছিল না তাদের কাছে। তাই গোপনে অস্ত্র, প্রশিক্ষণ ও সমর্থন জোগাড়ে বেড়িয়ে পড়েন তিনি। ভ্রমণ করেন ইংল্যান্ড, ইথিওপিয়া, মরক্কোসহ বেশ কয়েকটি দেশে। তাঁর পরিকল্পনা মোতাবেক আফ্রিকার বর্ণবাদী সরকারের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতী ও চোরাগোপ্তা হামলা চালতে থাকে। এর পাশাপাশি সরকারের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধে যাবার পরিকল্পনা চলতে থাকে। আফ্রিকার এই সশস্ত্র যুদ্ধে কিউবার ফিডেল ক্যাস্ট্রো অসামান্য ভূমিকা পালন করেন। ম্যান্ডেলার পরিচালিত এই সশস্ত্র বিপ্লবকে মার্কিন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ‘সন্ত্রাসবাদ’ আখ্যা দেয়। এবং এর ফলাফলরূপে ২০০৮ পর্যন্ত ম্যান্ডেলার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল।
Information from roar media bangla