Рет қаралды 399
আমার ৭ম ভ্লগে আপনাদের আবারো স্বাগতম। এবারে নওগাঁর একটি বিখ্যাত স্থাপনা গাঁজা সমবায় হিমাগার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। হিমাগারটি নওগাঁর মুক্তির মোড় থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত।
গাঁজা সংগঠন এর মাধ্যমে এই হিমাগারটি পরিচালিত হত। সংগঠনটির জন্ম ব্রিটিশ আমলে। তখন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় নওগাঁয় বাণিজ্যিকভাবে গাঁজার চাষ হতো। প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমি ছিল গাঁজা চাষের আওতায়। এতে যুক্ত ছিলেন প্রায় সাত হাজার চাষি। জেলার কীর্তিপুর, বক্তারপুর, বর্ষাইল, হাঁপানিয়া ও তিলকপুর ইউনিয়নে এ মাদকের চাষ হতো। নওগাঁর এই গাঁজাচাষিদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯১৭ সালে গড়ে তোলা হয় গাঁজা উৎপাদনকারী পুনর্বাসন সমবায় সমিতি লিমিটেড। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালে সরকার গাঁজা উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিপণন বন্ধ করার একটি আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৮৭ সালে নওগাঁয় গাঁজার চাষ বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই চাষের ওপর নির্ভরশীল কৃষক পরিবারগুলোর একমাত্র অবলম্বন হয়ে দাঁড়ায় তাদের সমবায় সমিতি। সেখান থেকে তারা সামান্য ভাতাও পেত।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।