Рет қаралды 258
মাথাভাঙ্গা ও চূর্ণী নদী বাঁচাও কমিটির পক্ষ থেকে গোবিন্দপুর থেকে স্বর্ণখালী বাজার পর্যন্ত নৌকা যাত্রা করা হয়। কৃষি সাহিত্য সংবাদ পরিবেশন করছি আমি মণীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
মূলত নদীকে সচক্ষে দেখা, বর্তমানে নদীর দুই পাড়ের কি হাল, কি অবস্থায় আছে এই নদি, এটাই ছিল আমাদের মূল উদ্দেশ্য।
আমাদের সফর সঙ্গী ছিলেন বিখ্যাত শিল্পী সুমন মজুমদার সহযোগী উত্তম ঘোষ।
এই সাথে এসেছিলেন কলকাতা থেকে সঞ্জয় দাস তপন বিশ্বাস মহাশয়
গোবিন্দপুর গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে ভগিরথ মন্ডল মনোজ বিশ্বাস সঞ্জিত হালদার ও বাসুদেব হালদার মালিঘাটার গোলক হালদার ও স্বর্ণখালীর খোকন রায় এবং সহযোগী তিনজন।
দুটো নৌকা বেঁধে এবং অপর একটি নৌকা নিয়ে আমরা সকাল ১১ টায় বেরিয়েছিলাম গোবিন্দপুর থেকে।
দেখলাম, নদীর অবস্থা খুবই করুন, একে তো বাংলাদেশের কেরু এ্যান্ড কোম্পানির ছাড়া দূষিত জলে নদীতে জলজ প্রাণী আর অবশিষ্ট নেই, নেই মাছের দেখা তবু দু-একজন জাল ফেলে এখনো মাছ পাবার আশায় ঘুরে বেড়ান।
নদীর দুই ধারে নির্বিচারে মাটি কাটা হয়েছে নদী তীরের গাছপালা নেই বললেই চলে।
নদীতে স্থানে স্থানে নোংরা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নির্বিচারে।
এই সাথে নদী দখল করে চাষবাস অবাধেই হচ্ছে।
কিছু কিছু স্থানে আবার দোকান ঘরও নির্মাণ করা হয়েছে।
একটা নদীমাতৃক সভ্যতা আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখতে দেখতে আমরা চলে এলাম স্বর্ণখালীতে দুপুর আড়াইটেতে।
একে তো বাংলাদেশের দূষিত জলে নদী হারিয়ে যেতে বসেছে সেই সাথে যুক্ত হয়েছে নদীকে ব্যবহার করে বাধাল কোমোট ইত্যাদি দিয়ে নদীর গতিপথ কে রুদ্ধ করে দেওয়া।
মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে গ্রামগুলি হল গোবিন্দপুর চাঁদপুর কোনে চাঁদপুর বানপুর মহেশ চন্দ্রপুর নাথপুর মালিঘাটা টা লদহ তেঘরী শ্যামনগর পাইকপাড়া গোপিপুর মথুরাপুর ও স্বর্ণখালী এসে আমরা আজকের মত যাত্রা শেষ করলাম
আমাদের সাংবাদিক দিবাকর দাসের রিপোর্ট। পরিচালনায় মাথাভাঙা- চূর্নী নদি বাঁচাও আন্দোলনের পুরোধা কৃষি সাহিত্য সম্পাদক স্বপন কুমার ভৌমিক।