Рет қаралды 322,600
ষাট ও সত্তর দশকে নকশাল আন্দোলন নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। এ রাজ্যের আশেপাশের বিহার উড়িষ্যা আসামেও এ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। এ আন্দোলনের আঁচ মধ্যপ্রদেশ-অন্ধ্র প্রদেশেও লেগেছিল। এ আন্দোলনে হাজার হাজার মানুষ নিহত হন।
১৯৬৬ সালের খাদ্য আন্দোলনের পর ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র একাংশ তাদের নেতৃবৃন্দের বিরোধিতা করে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) একটি পৃথক উগ্র বামপন্থী দল গঠন করেন। এ বিপ্লবী দলের নেতৃত্বে ছিলেন চারু মজুমদার, সুশীতল রায়চৌধুরী, কানু সান্যাল ও জঙ্গল সাঁওতাল। এ বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল ১৯৬৭ সালের ২৫ মে তারিখে। তখন নকশালবাড়ি গ্রামের কৃষকদের উপর স্থানীয় ভূস্বামীরা ভাড়াটে গুন্ডার সাহায্যে অত্যাচার করছিল। এরপর এই কৃষকরা ঐ ভূস্বামীদের সেখান থেকে উৎখাত করে।
চারু মজুমদার চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মাও সে তুং এর অনুসারী ছিলেন। তিনি মনে করতেন ভারতের কৃষক এবং গরিব মানুষদের মাও সে তুং এর পদাঙ্ক অনুসরণ করে শ্রেণিশত্রুদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করা প্রয়োজন। তার কারণ তারাই সর্বহারা কৃষক শ্রমিকদের শোষণ করে। তিনি নকশালবাড়ি আন্দোলনকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তার লেখনীর মাধ্যমে। তার বিখ্যাত রচনা হল ‘’’হিস্টরিক এইট ডকুমেন্টস্’’’ বা আট দলিল যা নকশাল মতাদর্শের ভিত্তি রচনা করে। চারু মজুমদার হয়ে উঠেছিলেন নকশাল আন্দোলনের প্রাণপুরুষ। তাকেঁ কলকাতা পুলিশের যে দলটি গ্রেপ্তার করেছিল তা নেতৃত্বে ছিলেন রুনু গুহ নিয়োগী নামের এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা। পরবর্তী সেসব স্মৃতিচারণ করে একট বই লিখেছিলেন তিনি। সাদা আমি কালো আমি নামে। সেই বই থেকে চারু মজুমদারের গ্রেপ্তার অভিযানের অংশ টুকু পড়ে শোনাচ্ছি।
আরও ভ্লগ-
• ভারতে ডাক ব্যবস্থা চাল...
• অবিভক্ত বাংলার উদ্যোগ ...
• বসুবাড়িতে মহাত্মা গান্...
• হামাসের ইতিহাস | Histo...
• পূর্ব বাংলায় রেললাইন স...
• ডলার কীভাবে বিশ্ব অর্থ...
• নকশালনেতা চারু মজুমদার...
• মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প...
যোগাযোগের মেইল:
onushtup@gmail.com
#EtihasherKholamkuci #ইতিহাসেরখোলামকুচি #চারুমজুমদার #নকশালআন্দোলন #পশ্চিমবঙ্গেরইতিহাস #CharuMajumda #ইতিহাস #history #politics #viralvideo