Рет қаралды 30,163
নতুন জীবনের চাবি - প্রানায়াম
নমস্তে হর শোচিষে নমস্তে অস্ত্বর্চিষে।
অন্যাঁস্তে অস্মত্তপন্তু হেতয়ঃ পাবক অস্মভ্যং শিবো ভব। (শুক্ল যজুর্বেদ ৩৬/২০)
হে অগ্নি, সকল রসের শোষক, পদার্থের প্রকাশক তোমার তেজকে নমস্কার। তোমার জ্বালাসমূহ আমাদের ছাড়া অপরকে জ্বালা দিক, আমাদের প্রতি শোধক ও শান্ত হও।
পাশ্চাত্য বিজ্ঞান ও প্রাচ্য বিজ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে, একটা গোপন বিদ্যা বা গোষ্ঠী বিদ্যা আর একটা সার্বজনীন বিদ্যা। পাশ্চাত্য বিজ্ঞান বা আধুনিক বিজ্ঞানে সব মানুষের অধিকার, আর প্রাচ্য বা আধ্যাত্মিক বিদ্যা একটা বিশেষ মনুষ্য গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। আর এই কারণেই প্রাচ্যের যে অধ্যাত্ম বিদ্যা তা দিনে দিনে লোপ পেয়ে গেছে। আর আধুনিক বিজ্ঞানের প্রসার ঘটেছে। বেদে অর্থাৎ জ্ঞানে আমাদের মা-বোনের অধিকার ছিল না । এমনকি আপনি যদি ব্রাহ্মণের ঘরে জন্ম না নিয়ে থাকেন, তবে বেদ আপনার জন্য নয়। ভারত একসময় চিকিৎসা শাস্ত্রে, সমৃদ্ধ ছিল। আজ আর নেই, তার কারন হচ্ছে, ভারতের যে চিকিৎসা পদ্ধতি, তার কার্য্য কারন আমরা এখন আর জানি না। ভারতের অনেক মহাত্মা নাকি মরা মানুষকে জ্যান্ত করতে পারতেন। একজনের কাটা মাথা এমনকি অন্যের শরীরেও জোড়া লাগাতে পারতেন। শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনের মাথাকে জোড়া লাগিয়েছিলেন। রাজা দক্ষের শরীরে ছাগলের মাথা বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গনেশের শরীরে হাতির মাথা বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এসব আমাদের কাছে গল্প কাহিনী। এর যদি কোনো সঠিক পদ্ধতি আমাদের জানা থাকতো, তবে আমরা বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারতাম। ঋষি পুরুষ আপনাকে ছুঁয়ে দিলে, আপনার মধ্যে বিদ্যুতের চমক বইতে পারে। ঠাকুর রামকৃষ্ণ নরেনকে ছুঁয়ে দিতেই, নরেনের মাথা বনবন করে ঘুরেছিল, অখণ্ড ব্রহ্মের অনুভূতি হয়েছিল । এমনকি মহাত্মাগণ মানুষের মনের পরিবর্তন করে দিতে পারতেন। অর্থাৎ মানসিক রোগের চিকিৎসার কথাও তারা জানতেন। আজ সে সব কথা আমাদের কাছে, বুজরিকির মতো শোনায়। তার একমাত্র কারন হচ্ছে, এই বিদ্যা তথাকথিত গুরুদেবরা নিজেদের মধ্যে কুক্ষিগত করে রাখতেন । ফলে গুরুদেবের মৃত্যুর পরে, সেই সব বিদ্যা লোপ পেয়ে গেছে। অথবা এসব বিদ্যা সীমিত মানুষের মধ্যে কুক্ষিগত হয়ে রয়েছে। সার্বজনীন হতে পারে নি। আমরাও পাশ্চাত্য বিজ্ঞানের উপরে নির্ভরশীল হয়ে গেছি। তবে আমি একটা কথা বিশ্বাস করি, আমাদের পুরান কাহিনীতে যে সব কথা রূপকের মাধ্যমে লেখা আছে, তার যদি যথাযথ অর্থ আমরা বুঝতে পারতাম, তবে অনেক গুহ্যবিদ্যা আমাদের কাছে ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠতে পারতো। মানুষ যা কিছু কল্পনা করতে পারে, তা এই বিশ্ব-ব্রমান্ডের কোথাও না কোথাও ব্যক্ত বা অব্যক্ত অবস্থায় অবশ্য়ই আছে। আমাদের ভাবনা যত গভীর হবে, আমরা তখন অবশ্য়ই সেইমতো কর্ম্মে প্রবৃত্ত হবো, আর আমাদের কল্পিত বস্তু তত প্রস্ফুটিত হবে। তাই আমাদের পুরানের গল্প, আমার কাছে কল্পনা নয়, সত্যি।
ওম শান্তি শান্তি শান্তিঃ। হরি ওম। - SASANKA SEKHAR PEACE FOUNDATION - ETERNAL PEACE SEEKER